লাইট টকিঃ
লাইটের মাধ্যমে কথা বলা। হ্যাঁ। ২০০০ সালের কথা। আমি নবকিশোর বিজ্ঞান ক্লাবের রিসার্চ সেক্রেটারি। কত কিছু নিয়ে ভাবি, কি করা যায়। আমাদের ক্লাবের রিসার্চ ইলেক্ট্রনিক্স ভিত্তিক। মাইক্রোওয়েভের উপর কাজ করছিলাম তখন। ভাবলাম, ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক ওয়েভের উপর যদি শব্দ তরঙ্গ সওয়ার করিয়ে দূরে পাঠানো যায়, তাহলে আলোর উপর সওয়ার করানো যাবেনা কেন?
যেই ভাবা সেই কাজ। যোগাযোগ করলাম, আমার খুবই শ্রদ্ধেয় এবং প্রিয় শিক্ষক, নবকিশোর বিজ্ঞান ক্লাবের সম্মানিত সভাপতি, মাগুরা সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দি কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক, জনাব রুহুল আমীন স্যারের কাছে। তিনি আমাদেরকে ব্যাপক ধারণা দিলেন মড্যুলেশনের ব্যাপারে। এবং আমরা (আমাদের ক্লাবের আরেক গবেষক, রাকিবুল ইসলাম রিয়াজ) সফল হলাম।
ডায়াগ্রাম
আমাদের মূল ট্রান্সমিটার ছিল লাল লেজার পয়েন্টার। অডিও সিগন্যাল কে লাইটের সাথে মড্যুলেশনের মাধ্যমে দূরে নিক্ষেপ করা হয়। রিসিভার অংশে লাইট থেকে অডিও সিগন্যালকে আলাদা করে এমপ্লিফাই করে আবার অডিও সিগন্যাল উদ্ধার করা হয়। আর, আমরা খুবই কম খরচে এটা করেছিলাম। আর মান সাউন্ড মান এফ এম থেকেও ক্লিয়ার।
সুবিধাঃ
কম খরচে তৈরি করা যায়, পরিবেশ বান্ধব, তাপ বা অতিরিক্ত সিগন্যাল হিসাবে শক্তির কোন অপচয় নেই। পানির মধ্যেও যোগাযোগ করা সম্ভব।
অসুবিধাঃ
ধূলা বা কুয়াশায় সিগন্যাল বাধাঁগ্রস্থ হয়, মোবাইল যন্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
আমরা লাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট এক্সেস এবং ফাইল আদান প্রদানের বিষয় নিয়ে কাজ করছি, এবং সফলতার মুখ দেখতে পাচ্ছি, শীঘ্রই। আলোর মাধ্যমে তথ্য আদান প্রদান করলে একই আলো দিয়ে দুইটি কাজ পাওয়া যাবে, যা মাইক্রোওয়েভ রেডিয়েশন থেকে পরিবেশকে রক্ষা করবে। |
Nice project! I need one. How can I get it?
উত্তরমুছুন