শুক্রবার, ৭ মে, ২০১০

সবার জন্য অ্যামেচার রেডিও

লিখেছেন নাজিরুল ইসলাম খাঁন (জিকো)
Thursday, 06 November 2008


S21 Romeo Victor কলিং S21 Romeo Bravo ওভার
S21 Romeo Victor দিস ইজ S21 Romeo Bravo গো অ্যাহেড
S21RV: Romeo Bravo-র লোকেশন কি? QSL ?
S21RB: QSL. আমি এখন Morning QTH-এ আছি, খবর কি তোমার?ওভার টু রোমিও ভিক্টর
S21RV: খবর ভালো, রোমিও ব্রাভো, আমি এখন বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এলাম সফ্টওয়্যার মেলা দেখতে। QSL ?
S21RB: QSL. হ্যাঁ, আমিও আসব বিকালে সময় পেলে। ঠিক আছে রোমিও ভিক্টর, এখন একটু ব্যাস্ত আছি, পরে কথা হবে।
S21RV: ঠিক আছে, রোমিও ব্রাভো, ফর দা টাইম বিয়িং, স্ট্যান্ডিং বাই এন্ড 73.
S21RB: ওকে, 73 এন্ড বাই বাই।

এটা কোন পুলিশ বা কোন বাসের সুপারভাইজারদের কথোপকথন নয়। আমার মনেও এই দুইটি অপশন এসেছিল যখন আমি বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা দেখতে গিয়ে কাঁধে ব্যাগ নিয়ে সাদাসিধে একটা ছেলেকে ওয়াকিটকি (ওয়্যারলেস)দিয়ে কথা বলতে দেখলাম। তখন পাশে দাড়িয়ে কান পেতে ওপরের কথোপকথন শুনতে পেলাম, সেই ছেলেটি অপর প্রান্তের রোমিও ব্রাভো নামে কারও সাথে কথা বলছে। তাদের এসব সাদাসিধে কথা শুনে আমার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। তাদের নিজেদের কথা শেষ করে আমার সামনের ছেলেটি যখন হাঁটা শুরু করলো, তখন আমি যেঁচে পড়ে তাঁর সাথে কথা বললাম। কথা প্রসঙ্গে ছেলেটির কাছে জানতে পারলাম, তাঁর নাম (রোমিও ভিক্টর) ইভান এবং ইভান AIUB তে BSc পড়ছেন দ্বিতীয় বর্ষে, আমার বয়সী। তখন তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাকে হাসি মুখে খুলে বললেন সবকথা। তাদের বলা হয় “রেডিও হ্যাম (Radio HAM)”, অ্যামেচার, যারা নিজেরা তাদের সময় এবং অর্থ ব্যয় করে চেষ্টা করেন প্রয়োজনের সময় দেশ এবং দেশের মানুষকে সেবা করতে। অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারীরা তারা তাদের এই অ্যামেচার রেডিও ব্যবহার করে কথা বলতে পারেন আর্ন্তজাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের নভোচারীদের সাথে, তাদের অ্যামেচার স্যাটালাইট ব্যবহার করে গবেষণা ও পরীক্ষামূলক কাজ করেন, নানা ধরণের রেডিও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করেন। কথা বলতে বলতে রোমিও ভিক্টরের (ইভান) হাতের রেডিওতে শুনতে পেলাম, কে যেন ইংরেজি ভাষায় কি বলছে। ইভান তক্ষুণি রেডিওতে ঐ লোকের সাথে কথা বলতে শুরু করলো ইংরেজীতে। তাদের কথাবার্তাও ছিলো একদম সাধারণ। কথা শেষে ইভান আমাকে বললো, সে তখন কথা বলছিলো লন্ডনের আরেকজন অ্যামেচারের সাথে। আমি যতোই শুনছিলাম, ততোই যেন বিস্মিত হচ্ছিলাম। আমি টেলিকমিউনিকেশন ইন্জিনিয়ারিং-এর ছাত্র হওয়ায় আমার আগ্রহ বেড়েই চলছিল। তখন ইভানকে “কিভাবে অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারী হওয়া যায়” জিজ্ঞাসা করতেই সে আমাকে বললো, ঘটনা খুব সহজ। শুধু বিটিআরসি (Bangladesh Telecommunication Regulatory Communication) থেকে একটা ছোট্ট পরীক্ষা দিয়ে আমি “অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারী লাইসেন্স” পেতে পারি। যখন আমি ইভানকে জিজ্ঞাসা করলাম, সারা মাসে আপনারা যে কথা বলেন, কোনো বিল দিতে হয়না ??? তখন ইভান আমাকে হাসতে হাসতে বললেন, সারা বছর যতক্ষণ ইচ্ছা কথা বলা সম্ভব, শুধু প্রতি বছর লাইসেন্স রিনিউ করতে হবে নামমাত্র মূল্যে, এছাড়া আর কোন টাকা লাগবেনা। আমি যেন নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। এই ছেলেটা বলে কি !!! এতো সহজ !!! তখন ইভান আমাকে একটা কথা বলে দিলো যে, অ্যামেচার রেডিওকে কোন প্রকার ব্যবসায়িক এবং রাজনৈতিক উদ্দ্যেশে বা কাজে ব্যবহার করা যাবেনা। এসম্পর্কে জানতে পারবো কোথায় জানতে চাইলে ইভান “বাংলাদেশ অ্যামেচার রেডিও লীগ (বার্ল)”-এর ওয়েবসাইট www.barl.org এ বিস্তারিত লেখা আছে বলে জানাল এবং Radio HAM সর্ম্পকে নিজেকে ইন্টারনেটে খোঁজ নিতে বললো।

আমি সেই দিনই বাসায় এসে ইন্টারনেটে খোঁজ নিয়ে দেখলাম, ইভানের প্রত্যেকটি কথা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। এটা ২০০৭ সালের প্রথম দিকের কথা। সেই থেকে আজ পর্যন্ত আমি ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারীদের সাথে কথা বলে দেখতে পেলাম, তারা সবাই যে সাইন্স ব্যাকগ্রাউন্ড, তা নয়, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ ব্যাংকার, কেউ বিবিএর ছাত্র, আবার কেউবা সাধারণ পেষাজীবী। তাদের প্রত্যেকে এতো ভালো এবং সহযোগীতা মনোভাবাপন্ন, যে বলার মতো না। তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম যে আমাদের দেশে প্রায় ২০০ অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারী রয়েছে অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে রয়েছে প্রায় ১৬০০০ হ্যাম বা অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারী। বিশ্বের প্রতিটি দেশেই অসংখ্য হ্যাম বা অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারী রয়েছে এবং তাদের সবাই নানান পেশার মানুষ। তাদের সবারই একটি করে “কলসাইন(Call Sign)” আছে।
বাংলাদেশে অ্যামেচার রেডিও-এর কার্যক্রম সর্ম্পকে জানা যাবে www.barl.org থেকে। এছাড়াও অ্যামেচার রেডিও সংক্রান্ত আরও তথ্য জানার জন্য খোঁজ নিতে পারেন নিচের সাইটগুলো থেকে
www.arrl.org
www.qrz.com
www.itu.int
এবার আপনাদের বলি, অ্যামেচার রেডিও কিন্তু শুধু কথা বলার জন্য নয়, এই রেডিও ব্যবহার করে আপনি অ্যামস্যাট (অ্যামেচার স্যাটালাইট AMSAT), অ্যামেচার টেলিভিশন, স্লো-স্ক্যান টিভি (STV), ফাস্ট-স্ক্যান টিভি (FSTV), ডাটা ট্রান্সমিশনের বিভিন্ন মোডের ব্যবহার, মোর্স কোড (টরে-টক্কা), রেডিওকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করার মতো আরো অনেক মজার মজার কাজ করতে পারবেন। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, এসব কাজে আমাদের সাহায্য করার জন্য সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ HAM বসে আছে, যাদের পেশা অথবা শখই হলো বিনামূল্যে অন্যান্য HAM দেরকে সাহায্য করা এবং অ্যামেচার রেডিও নিয়ে গবেষণা করা, এদের মধ্যে অনেকেই শুরুতে বিজ্ঞানের “ব”-ও বুঝতেন না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ১৬০০০ হাজারের বেশি হ্যাম এই বিষয়ে যথেষ্ট এগিয়ে আছে। তারা স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে কাজ করে অ্যামেচার রেডিও নিয়ে আরও গবেষণা করার জন্য মহাকাশের বুকে নিজেদের অ্যামস্যাট (অ্যামেচার স্যাটালাইট) পাঠিয়েছে, যা বিশ্বের যে কোন হ্যাম বিনা পয়সায় ব্যবহার করতে পারে ! এসব কাজে বিশ্বের সব দেশের সরকার/যথাযথ কতৃপক্ষ যথেষ্ট এবং সর্বাত্বক সহায়তা করেন, যার ছিটেফোঁটাও বাংলাদেশে নেই।
বাংলাদেশে দীর্ঘ চার বছর অ্যামেচার রেডিও ব্যবহারকারীদের পরীক্ষা নেয়া এবং লাইসেন্স প্রদান বন্ধ থাকলেও সাম্রতিককালে বাংলাদেশের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ মহলের সহায়তা এবং অ্যামেচারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) আবার তাদের পরীক্ষা নেয়া এবং লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত www.btrc.gov.bd তে পাওয়া যাবে।
আর অ্যামেচারদের সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে সহায়তা নিতে পারেন “গুগলের”।
ধন্যবাদ।

জিকো
www.zicobaby.tk
তথ্যঋণ: বেলায়েত হোসেন রবিন (কলসাইন >> S21RB)।

গুগল ট্রান্সলিটারেশন দ্বারা সহজেই বাংলা লেখা

লিখেছেন এস. এম. মেহেদী আকরাম [রয়েল]
Wednesday, 24 March 2010

গুগল ট্রান্সলিটারে বাংলা ভাষা না থাকলেও গুগল অভিধানে এবং গুগল ট্রান্সলিটারেশন বাংলা ভাষা ব্যবহার রয়েছে। গুগল ট্রান্সলিটারেশন দ্বারা সহজেই জিমেইলে সরাসরি এবং একটি প্লাগইন দ্বারা ফায়ারফক্সে ফনেটিকে (যেমন Ami Bangladeshke Valobasi লিখলে আসবে ‘আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি’) বাংলা লিখা যায়।গুগল ট্রান্সলিটারেশন এ্যাড-অন্সটি https://addons.mozilla.org/en-US/firefox/addon/8731 থেকে ইনস্টল করে ফায়ারফক্স রিস্টার্ট করুন। এবার টুলস মেনু থেকে Add-Ons এ ক্লিক করে Google Transliteration এর অপশন্সে ক্লিক করে Enable Transliteration for text boxes too চেক করুন।এখন ফায়ারফক্সের কোন টেক্সট বক্সে বা টেক্সট এরিয়াতে কিছু লিখতে গেলে ডানে ভাষার তালিকা আসবে। সেখানে ড্রপডাউন থেকে Bengali নির্বাচন করে বামপাশের চেক বক্স চেক করুন। এরপর থেকে টেক্সবক্সে ইংরেজীতে কিছু লিখে (ফনেটিক) স্পেস দিলে তা বাংলাতে রূপান্তর হবে।জিমেইলে ব্রাউজারের সাহায্য ছাড়ায় ফনেটিকে বাংলা লিখা যায়। এজন্য জিমেইলে লগইন করে Settings এ ক্লিক করুন। এবার General ট্যাবে থাকা অবস্থায় Enable Transliteration – type using phonetic English চেক বক্স চেক করুন এবং Default transliteration language এর ড্রপ-ডাউনে বাংলা নির্বাচন করুন (সাধারণত বাংলা নির্বাচিত থাকে)। যদি অপশনটি না থাকে তাহলে Show all language options এ ক্লিক করলে Default transliteration language চলে আসবে। ব্যস এবার সেভ করুন।এখন মেইল কম্পোজ করতে গেলে (অবশ্যয় Rich formatting হতে হবে) ফরম্যাটিং বারের বামে ‘অ’ অক্ষরটি দেখা যাবে। এই ‘অ’ অক্ষরটিতে ক্লিক করলে Transliteration সক্রিয় হবে। এখন ম্যাসেজ বডিতে (ফনেটিকে) কিছু লিখে স্পেস দিলে তা বাংলাতে রূপান্তর হবে। এই Transliteration বন্ধ করতে ‘অ’ অক্ষরটি উপরে ক্লিক করলেই হবে।কম্পিউটারে যদি ইউনিকোডের কোন বাংলা ফন্ট ইনস্টল করা না থাকে তাহলে যেমন বাংলা সাইট দেখা যায় না তেমনই বাংলাতে লিখাও যাবে না। তবে http://unicodehelpcenter.blogspot.com সাইট থেকে বাংলা ফন্ট নামানোর পাশাপাশি কম্পিউটারে বাংলা কনফিগার করার পদ্ধতি এবং এই সাইটেই সফটওয়্যার ছাড়ায় বিজয়/ফনেটিক/ইউনিজয় কীবোর্ডের মাধ্যমে বাংলা লিখতে পারবেন।
পূর্বে প্রকাশ: http://www.shamokaldarpon.com/?p=2052

তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের কি কি পলিসি ও আইন দরকার

লিখেছেন ড. মশিউর রহমান
Wednesday, 04 November 2009


নিত্যনতুন প্রযুক্তি আমাদের জীবনের সাথে সংযুক্তি হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নয়ন খুবই দ্রুততার সাথে ঘটছে আর নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হচ্ছে। এখন মানুষ facebook, linkedin, myspace জাতীয় সামাজিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে। দোকানে যাবার পরিবর্তে অনলাইনেই সব কাজ সারছে। বাংলাদেশ এর থেকে ভিন্ন কিছু নয়। কিন্তু আমাদের আইন ও সরকারের পলিসি এর সাথে সামঞ্জস্য রাখতে পারছেনা। প্রযুক্তির জগতে আমাদের উন্নয়নের জন্য, এর সুবিধাগুলি ভোগ করা এবং সেই সাথে অনাকাঙ্খিত সমস্যাগুলি থেকে রক্ষা পাবার জন্য আমাদের বর্তমান আইনগুলিকে আধুনিক করার প্রয়োজন। যে সমস্ত আইনগুলির আধুনিকায়ন প্রয়োজন সেইগুলি নিয়ে আমরা বর্তমানে বাংলাদেশ আইন কমিশনের সাথে কাজ করছি। এই বিষয়ে আপনাদের মন্তব্য কাম্য। কোন কোন আইন আমাদের তৈরী করা প্রয়োজন এবং কি কি ক্ষেত্রে আপনারা অসুবিধা ভোগ করছেন তা মন্তব্যে লিখুন।

•কেউ ইমেইলে আপনাকে হুমকি দিলে বর্তমান কোন আইন দিয়ে আমরা তা মোকাবেলা করব?

•কেউ আপনার কম্পিউটার, সার্ভার বা কোন সিস্টেম হ্যাক করলে তা কোন আইন দিয়ে প্রতিরোধ করা যাবে।

•অনলাইনে কেনা কাটি করার ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার কি বলছে?

•কিভাবে অনলাইনে আমরা সফটওয়্যার কিনব?

•ব্যক্তিগত গোপনিয়তা কোন আইনে রক্ষা করা হবে?

•ইন্টারনেট সংযোগ পলিসি

•স্প্যাম ইমেইল পলিসি

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে তথ্য সংরক্ষণ

Firoj Alam
Friday, 28 December 2007


আমাদের দেশে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি এখনও সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠে নাই। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও বা ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কাছে অনেক তথ্য যেমন দলিল পত্র, পান্ডুলিপি, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি রয়েছে, যা দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধরণের গবেষণা পত্র, গবেষণা উপাদান, প্রকাশনা / প্রকাশিত পুস্তিকা রয়েছে যা তাদের নিজেদেরসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ ছাত্র-ছাত্রীদের প্রয়োজন হয়। অনেক সময়েই এগুলো সংগ্রহ করতে ছাত্র-ছাত্রীদের হিমশিম খেতে হয়। প্রয়োজনের সময় অনেক তথ্য পাওয়া যায় না। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার ফলাফল অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের প্রয়োজন হতে পারে। সেক্ষেত্রে আরও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এধরনের সমস্যা কাটিয়ে উঠার জন্য প্রয়োজন স্বল্প ব্যয়ে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। আর এরকমই একটি আধুনিক সংরক্ষণ পদ্ধতি হচ্ছে ডিস্পেস সফটওয়্যার। ডিস্পেস একটি সফটওয়্যার যেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বা যেকোন প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় রিপোর্ট, দলিল, অডিও/ভিডিও ফাইল ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায় এবং ইন্টারনেটের সংযোগ থাকলে পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকেই ব্যবহার করা যায়।
ডিস্পেস কি?
ডিস্পেস একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার প্যাকেজ। এটি অনেক ধরনের তথ্য ডিজিটাল আকারে সংরক্ষন করতে পারে। Institutional Repository বা প্রাতিষ্ঠানিক তথ্য ভান্ডার হিসাবেও এটি পরিচিত। ডিস্পেস যে কোন ধরনের তথ্য সংরক্ষন করতে পারে যেমন: অডিও, ভিডিও বা যে কোন ধরনের টেক্রট, পিডিএফ। ডিস্পেস এর মধ্যে ধারণ করা সব তথ্য খুব সহজেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিতে পারে। এটি খুব সহজেই তথ্যের সূচি তৈরী করে যাতে ব্যবহারকারী গণ সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে পেতে পারে। এতে ডিজিটাল তথ্য অনেক দিনের জন্য সংরক্ষণ করা যায়। ডিস্পেস গবেষণা পত্র, প্রকাশনা ইত্যাদিকে অত্যন্ত সুদৃশ্য ও সুশৃঙখল ভাবে সংরক্ষণ করে যাতে আরও সহজে সুন্দর ভাবে ভবিষ্যতে ব্যবহার করা যায়।
২০০২ সালে যুক্তরাষ্টের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এবং হিউলেড-প্যাকারড (এইচ-পি) এর যৌথ উদ্যোগে ডিস্পেস তৈরী হয়। বর্তমানে সারা বিশ্বের ২৪০ টিরও বেশি প্রতিষ্ঠানে এটি ব্যবহার হচ্ছে। ডিস্পেসে যে কোন ধরণের তথ্য যেমন: গবেষণা পত্র, ত্রিমাত্রিক ডিজিটাল ছবি, চলচ্চিত্র, ভিডিও, গবেষণা উপাদান, প্রকাশিত পুস্তিকা প্রভৃতি সংরক্ষণ করা যায়।
ডিস্পেস একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার হওয়ায় এটি যে কেউ যে কোন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারে এবং নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন/পরিমার্জন করতে পারে।
ডিস্পেসে কিভাবে তথ্য সংরক্ষন করা হয়?
ডিস্পেস ব্যবহার খুব সহজ। আপনি আপনার ওয়েব ব্রাউজার যেমন: ইন্টারনেট এক্রপ্লোরার বা মজিলা অথবা ফায়ার ফক্র ব্যবহার করে এতে আপনি তথ্য রাখতে বা ব্যবহার করতে পারবেন। তথ্য রাখার জন্য কি ধরনের তথ্য, তথ্যর নাম, তথ্যর ভূমিকা, প্রকাশিত তথ্য ইত্যাদির প্রয়োজন হয়। যা মেটাডাটা নামে পরিচিত।
ডিস্পেস ব্যবহারের সুবিধা কি?
সবচেয়ে বড় সুবিধা এটি পুরোপুরি ফ্রী এবং আপনার ইচ্ছামত এটিকে ব্যবহার করতে পারবেন।। এটি ব্যবহার করতে কিছু প্রযুক্তিগত জ্ঞান, আর একটি সার্ভার কম্পিউটার, ডোমেইন নেইম সহ আইপি এড্রেস দরকার হয়। যদি কেউ নিজেরাই সার্ভার সেটাপ করতে চান তাহলে সার্ভার কম্পিউটারসহ আইপি এড্রেস লাগবে অথবা অন্য যেকোন ওয়েব সার্ভার কিনে আপনার ডিস্পেস সংস্হাপন (ইনষ্টল) করতে পারেন। ডিস্পেসের মাধ্যমে যে কোন প্রতিষ্ঠান তাদের সংরক্ষনকৃত ডিজিটাল তথ্য আগের চেয়ে অনেক সহজে ব্যবহার করতে পারবে। এর সার্চ ইঞ্জিন খুবই উন্নত। বিভিন্ন ভাবে সার্চ করার সুবিধা রয়েছে। ডিস্পেস যেহেতু ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার, ফলে পৃথিবীর যে কোন প্রান্ত থেকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে তথ্য আদান-প্রদান ও ব্যবহার করা যায়। ডিস্পেস এর আরও কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন:
১. গবেষণা ফলাফল বিশ্বব্যাপী খুব দ্রূত ছড়িয়ে দেয়া যায়।
২. পাঠ্যসূচী, শিক্ষা উপকরণ, শিক্ষকের বক্তৃতা ইত্যাদি এতে সংরক্ষণ করা যায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার জন্য।
৩. সংরক্ষণকৃত তথ্য নিজস্ব ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটেও দেয়া যায়।
৪. ছাত্র-ছাত্রীদের গবেষণা পত্র বা প্রজেক্ট রাখা যায়।
৫. নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রকাশনা বা প্রকাশিত গ্রন্হ এতে সংরক্ষণ করা যায়।
৬. প্রকাশনা বা প্রকাশিত গ্রন্হের পাশাপাশি ছবি, চলচ্চিত্র, ভিডিও ইত্যাদিও এতে রাখা যাবে।

ডিস্পেস কারা ব্যবহার করতে পারবে?
ডিস্পেস যেহেতু একটি উন্মুক্ত সফটওয়্যার ফলে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-আধা সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় তথ্য সংরক্ষেনের জন্য ডিস্পেস ব্যবহার করা যাবে।

ডিস্পেস কিভাবে ইনষ্টল করতে হবে?
ডিস্পেস ইনষ্টল করা খুব জটিল কাজ নয়। তবে এর জন্য কিছু প্রযুক্তিগত জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। ডিস্পেস এর ওয়েব সাইট থেকে ডিস্পেস সফটওয়্যার এবং ইনষ্টলেশন পদ্ধতিটি ডাওনলোড করে নিলে এটি ইনষ্টল করতে পারবেন। ডিস্পেস ইনষ্টল করার পূর্বে যে যে সফটওয়্যার লাগবে তা হলো:
Apache -Ant
java
Jakarta-tomcat web server
Postgresql
Java- Postgresql-jdbc driver.
এবং অবশেষে ডিস্পেস (Dspace) সফটওয়্যার
আরও বিস্তারিত জানতে ডিস্পেস ওয়েব সাইট (www.dspace.org ) ভিজিট করা যেতে পারে।
মো: কামাল পারভেজ email: quantum।kamal@gmail.com

স্প্যামবটের হাত থেকে এই ইমেল ঠিকানা সুরক্ষিত আছে। পড়ার জন্যে জাভাস্ক্রিপ্ট অন করুন।
ফিরোজ আলম email:

firojalam04@gmail.com

স্প্যামবটের হাত থেকে এই ইমেল ঠিকানা সুরক্ষিত আছে। পড়ার জন্যে জাভাস্ক্রিপ্ট অন করুন।

Reference: www.dspace.org
http://www.hp.com/hpinfo/newsroom/press/2007/070717a.html
http://www.news.com/2100-7344_3-6197345.html