Technology লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Technology লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

অধিব্রীহি

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, যে নামটি দেখছেন, অর্থাৎ অধিব্রীহি, নামটি ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞানী ধানের জাতের নাম দিয়েছেন, আমি পদ্ধতির নাম দিয়েছি। পঞ্চব্রীহি একবার লাগালে পাঁচবার ধান দেয়। আর অধিব্রীহি পদ্ধতি সমপরিমাণ জায়গায় ২ গুণ ধান দেয়।

কি! বিশ্বাস হচ্ছেনা! নতুন পাগলের আগমন!?

না ভাই, পাগল আমি বেশ পুরনো। তবে অধিব্রীহি পদ্ধতির বয়স মাত্র ২ বছর। আর এটা পাগলামি নয় ভাইজান, বিজ্ঞান। ধান তো এমনিতেই বেশি হবেনা! চাষ পদ্ধতির কারণে আপনি এমন পাবেন।

কেমন পাবেন? প্রতি শতাংশ জায়গায় সাধারণত ধান হয় গড়ে সবচেয়ে ভালো হলে ৩০ কেজি। অধিব্রীহি পদ্ধতিতে পাবেন ৬০ কেজি। ৪ বার ধান করতে পারবেন একই জায়গায়। তাতে আসবে ২৪০ কেজি। অর্থাৎ, ৬ মণ ধান।

পদ্ধতিটি কিন্তু একোয়াপনিক এর। তারমানে ধান চাষে আপনার খরচ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি (সাধারণ চাষের তুলনায়) আর একোয়াপনিক হলো মাছ ও সব্জি চাষের একটা অর্গানিক পদ্ধতি, যেখানে স্বল্প জায়গায় অকল্পনীয় হারে বেশি মাছ উৎপাদিত হয়। তেলাপিয়ার একটা হিসাব যদি ধরি, তা সাধারণ পদ্ধতিতে এক শতাংশ পানিতে ২০০ কেজি করা সম্ভব। কিন্তু একোয়াপনিক সিস্টেমে সমপরিমাণ জায়গায় করা যাবে ৪০০০ কেজি। এবার, এই এতো মাছ চাষের জন্য একোয়াপনিক সিস্টেমে লাগবে উদ্ভিদ, তথা সব্জির চাষ। সেখানেই, আমরা করেছি ধান। আর এখানেই পদ্ধতিতে একটু পরিবর্ধন করে ধান করা যাবে ২ গুণ।





শতাংশ প্রতি ধান হবে ২৪০ কেজি বছরে। আর হবে শতভাগ অর্গানিক। যেমন ধান আজ থেকে শত বছর আগে ছিলো।



একোয়াপনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে চারা থেকে শুরু করে কোনো চাষই লাগবে না। এছাড়াও নিড়ানো, সেচ কিছুই লাগবে না। তাহলে কেমন পদ্ধতি বলুনতো! আর আপনি এভাবেই হতে পারবেন স্যুটেড বুটেড একজন কৃষক।





আর নিচের এই ছবিটি হলো অধিব্রীহি সিস্টেমের। ছবিটি সাজানো।


অধিব্রীহি। অধিক ধান ফলানোর একটি সিস্টেম মাত্র।

কেউ যদি অতি খাটো কোনো ধান গাছের আবিষ্কার করেন, তাহলে এই অধিব্রীহি পদ্ধতিতে ধান চাষ আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ দেখা দেবে, ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

বায়োফিল্টার

বায়োফিল্টার এমন একটা ফিল্টারিং, যেখানে কোন বিষাক্ত বর্জ্যকে প্রাকৃতিক কায়দায় নির্বিষ করা হয়।
যদিওবা এই পদ্ধতি কারখানার বর্জ্য বা পৌর-বর্জ্য সহ, বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্যকে নির্বিষ করার কাজে হয়। তবে এখন আমরা আলোচনা করবো RAS এর এমোনিয়া (NH3) ফিল্টারিং এ বায়োফিল্টারিং নিয়ে। তবে খুব সংক্ষিপ্ত।

খুব সোজা জিনিষটা। কিভাবে? হ্যা বলছি।
পৃথিবীতে যত রকম বিষাক্ততা তৈরি হয়, দুর্ঘটনাক্রমে, বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বা নিত্যপ্রয়োজনে, যেভাবেই হোক, সেই বিষাক্ত বর্জ্যকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্নভাবে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্যাক্টেরিয়া সেগুলো থেকে আহার গ্রহণ করে, বংশ বৃদ্ধি করে। আর খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই বিক্রিয়ার মাধ্যমে  যে জৈবিক সংশ্লেষণ ঘটে। তাতে বিষাক্ত অনু ভেঙ্গে অবিষাক্ত একাধিক অনু তৈরি হয়। এভাবে সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখেন।

যাহোক RAS এ মাছ টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এমোনিয়া দুর করতেই হবে। কারণ মাছের বর্জ্য থেকে প্রচুর এমোনিয়া তৈরি হয়। আর এটি পানিতে দ্রবণীয় জীবননাশী নাইট্রোজেন বিষ। এই এমোনিয়া (NH3) কে নাইট্রোসোমোনাস নামক ব্যাক্টেরিয়া অক্সিডাইজড করে নাইট্রাইট (NO2-) এ পরিণত করে। এটাও কিন্তু জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্তক বিষাক্ত। এবার? হ্যা, এরপর আছে আরেক টিম। নাইট্রোব্যাক্টার নামক ব্যাক্টেরিয়া। এরা আরেকটু অক্সিডাইজড করে নাইট্রেট (NO3) এ পরিণত করে। এখানে একটি গ্রাফ দেখুন-


আর নাইট্রেট  (>২০০মিলিগ্রাম/লিটার) মাত্রা পর্যন্ত  RAS এর জন্য ক্ষতিকারক নয়। হয়ে গেলো।

RAS এ বায়োফিল্টারিং এর জন্য কিভাবে কি করবেন?
নাইট্রোসোমোনাস এবং নাইট্রোব্যাক্টার এর জন্য বাড়ি করে দিবেন। 😊
রস করছি না। ব্যাক্টেরিয়াদের জন্য কলোনি করার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে এই ব্যাক্টেরিয়া সমূহ বসবাস সহ বিস্তার লাভ করবে। এমোনিয়া সমৃদ্ধ পানি যখন এই কলোনি সমূহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে, তখন উপরোল্লেখিত  প্রক্রিয়া সমূহ সংগঠিত হতে থাকবে। এবং ...


ব্যাক্টেরিয়ার বাড়ি তৈরিতে যে উপাদান ব্যবহৃত হয়, তার নাম বায়োমিডিয়া
এখানে DIY বায়োমিডিয়া দেখতে পাচ্ছেন। এমনি কোন জিনিষ হলেই হবে। বিভিন্ন দেশে রেডিমেড বায়োমিডিয়া পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি।


আমাদের ব্যবহৃত বায়োমিডিয়া।

তৈরি করুন। কাজে লাগান। কাজ দেবে। অন্যান্য হেল্প এর জন্য যোগাযোগ করতে হলে ...
কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ।

রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

অ্যাকোয়াপনিক (একোয়াপনিক) Aquaponic


আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অ্যাকোয়াপনিক/একোয়াপনিক (Aquaponic) একটি ইংরেজী শব্দ। যদিওবা এটি একক শব্দ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, আসলে কিন্তু দুটি আলাদা শব্দ থেকে এসেছে। Aquaculture এবং Hydroponic দুটি আলাদা পদ্ধতি। একোয়াকালচার হলো পানিতে জন্মে এমন প্রাণীসমূহ  চৌবাচ্চা বা কোন বাক্সে পানি রেখে পোষা বা চাষ করা। সোজা কথা হলো একোরিয়াম। তবে চাষের ক্ষেত্রে তো আর এমন কাচের আধার ব্যবহৃত হয়না। আর হাইড্রোপনিক হলো পানিতে সব্জি জাতিয় ফসল ফলানো সিস্টেম। আর এই দুই সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে একোয়াপনিক সিস্টেম।

একোয়াকালচার

হাইড্রোপনিকস


একোয়াকালচার
হাইড্রোপনিক
জায়গা স্বল্পতার জন্য বা আধুনিক সুবিধার জন্য মানুষ মাছের চাহিদা মেটাতে এই একোয়াকালচার সিস্টেম চালু করে। অল্প স্বল্প জমিতে (যেখানে পুকুর করা সম্ভব নয়) বা বাড়ির ছাদে চৌবাচ্চা তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করে। অনেকগুলো সুবিধার সাথে বড় একটি অসুবিধা হলো পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া। একোরিয়ামের পানি যদি নিয়মিত না পাল্টানো হয়, তাহলে মাছের বিষ্টা এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে মাছ মারা যায়।...

«
»
«
»
«
»
«
»
«
একই কারণে ছাদে বা ঘরোয়া পরিবেশে মাটি
ছাড়া শুধু পানি ব্যবহার করে সব্জি চাষ করেও
অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যেখানে
মাটি থেকে বিভিন্ন সংক্রমণের পরিমাণ অনেক
কম থাকলেও পানিতে উদ্ভিদের খাদ্য হিসাবে
রাসায়নিক সার মেশাতে হয়। ফলন অনেক
ভালো হলেও পুরোপুরি অর্গানিক না হওয়ায়
মানুষের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়।


  
একোয়াকাচা হাড্রোনি             


ঠিক একারণে, একোয়াকালচার আর হাইড্রোপনিক দুই সিস্টেমকে একত্রিকরণ করা হয়, যা উপরের খুবই সাধারণ চার্ট হতে খুব সহজেই বোঝা যায়।

একোয়াপনিক 

একোরিয়াম বা খাঁচায় মাছ চাষ করলে জায়গা স্বল্পতা ও মাটির সংস্পর্শ না থাকায় মাছের উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য জমে খুব স্বল্প সময়েই বিষাক্ত এমোনিয়া তৈরি করে। এর ফলে মাছ মারা যায়। তাই নিয়মিত পানি বদলানো খুবই জরুরী। এদিকে হাইড্রোপনিক সিস্টেমের কথা তো বলেইছি। যেখানে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয়। এখন, একোয়াকালচার আর হাইড্রোপনিক একত্রিত করেই হয়ে গেলো সকল সমস্যার সমাধান। আর নতুন এই সিস্টেমের নামই হলো একোয়াপনিক।

একোয়াপনিক 

একোয়াপনিক সিস্টেমে সামান্য খরচেই মাছ এবং সব্জি চাষ করা যায়। শুধু জায়গা স্বল্পতাই নয়, যারা কৃষি কাজে অভ্যস্ত নয়, বা মাঠে কাজ করতে পারেন না, তাদের জন্য এই পদ্ধতিতে মাছ এবং সব্জি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করাও সম্ভব। এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র মাছকে খাবার দিতে হয়, আর মাছের বর্জ্যসহ পানি সব্জিতে দিতে হয়। মাছের জন্য বিষাক্ত এমোনিয়া ব্যক্টেরিয়া দ্বারা ভেঙ্গে উদ্ভিদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি করে। ফলে সব্জিতে কোন ধরণের সারই প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়েনা। তার মানে, একোয়াপনিক সিস্টেমের চাষাবাদ বিভিন্ন দিক দিয়ে সাশ্রয়ী, এবং অরগানিক হবার কারণে ভীষণ উপকারীও বটে।

একোয়াপনিক 

আজ একোয়াপনিক সিস্টেম সম্বন্ধে জানানো হলো। সামনে বাংলাদেশে খুবই সহজে কিভাবে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায়, তার আলোচনা হবে।

সবার সুস্থতা কামনা করে সামনের পোষ্টের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপাতত বিদায় নিচ্ছি।

সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭

দশের লাঠি একের বোঝা

দশের লাঠি একের বোঝা। কথাটি ছোট বেলায় দেখেছিলাম, বইয়ের পাতায়। কথাটির যে ভাব, তা সম্প্রসারণ করে অনেক কিছু পেতাম, বুঝতাম, বা বুঝাতাম। সুন্দর একটা বাস্তব কথা। তবে আমি এখন যদি বলি যে, কথাটি মিথ্যা, তাহলে কি বিশ্বাস করবেন? করবেন না জানি। তবে মিথ্যাই যদি না হবে, তার প্রয়োগ নেই কেন?!?

আজ সমাজের যেদিকে তাকাই, দেখি নিরাশাবাদীরা ঘুরছে। তারা কাজ পায়না। দেশ ছেড়ে সোনার হরিণের খোঁজে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে পাড়ি জমায়। তারপর! থাক। এটা নিয়ে এখন বলছি না। তবে কিছু মানুষ উপার্জনের জন্য কোন চাকরী, মানে যে কোন চাকরী খোঁজে। নাহলে হা হুতাশ করতে করতে পরিবেশ দূষিত করে ফেলে।

আমি সবসময়ই একটা কথা বিশ্বাস করি, তা হলো, আমাদের দেশে কাজের অভাব নেই। খুব ভালো কাজ করা যায় এবং খুব ভালোভাবে উপার্জন করা যায়। তবে কিভাবে কি করলে আসবে এই সুন্দর উপার্জন? সত্যিই তো! একটা প্রশ্ন এসে যাচ্ছে তাই না?

আমাদের দেশে কি কোন কাজ নেই?!

নিরাশাবাদীরা বলবে কই! দেশে কাজ কই? আবার বলবে, কাজ ঠিকই আছে, তবে পয়সা দেবে কে? মানে পুঁজি। হ্যা, পুঁজি ছাড়া অনেক কিছু হয়না। আবার অনেক কিছুই হয়। এখানেই আমার সেই কথাটি আসছে। আপনার আলো লাগবে এবং তা ১০০ ওয়াট পরিমাণ। আপনার কাছে আছে ১০ ওয়াট পরিমাণ কয়েকটি। জলদি লাগিয়ে ফেলুন, দেখবেন যতটি বাল্ব লাগিয়েছেন, তত গুণ আলো বেড়েছে। অর্থাৎ, ১০০ ওয়াটের জন্য আপনার ১০ টি বাল্ব লাগবে। এখানে বাল্বের সাথে উপার্জনের কি সম্পর্ক! আশ্চর্য হচ্ছেন? এবার আসুন,  আপনি নিজেকে যদি ১০ ওয়াট মনে করেন, ১০০ ওয়াটের জন্য আপনার মতো আরো ৯ জনকে খুঁজুন। হয়ে গেলো। দশটা লাঠি একসাথে বোঝা তৈরি করে ঠিকই, তবে দশজনের জন্যে একেকটা লাঠিই, বোঝা নয়। কথাটিকে শুধু বইয়ের পাতায় রাখলে হবে না। বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে দেখুন, সত্যিই ফল পাবেন।

আমাদের দেশের শিক্ষার কোন মূল্যই নেই। কি মূল্য আছে বলুন? সার্টিফিকেট অর্জনের জন্যই শুধু শিক্ষার দরকার ছিল। সার্টিফিকেট পেয়ে গেলে শিক্ষাটা মূল্যহীন। কাজেই যদি না লাগাতে পারি, তাহলে এই শিক্ষা বা বিদ্যার কি মূল্য? আমাদের দেশে বিদ্যাটা গ্রন্থগতই রয়ে যায়। প্রয়োজনে যদি কাজে লাগে, ওটাতো কোন বিদ্যাই নয়! তাহলে? কি হবে বস্তা বস্তা বই পড়ে?

যাহোক, প্যাঁচাল বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি বলতে চাচ্ছি, অন্য দেশে মানুষ কয়েকজনে মিলে সমবায় তৈরি করে। তৈরি করে কোম্পানি। ছোট থেকে আস্তে আস্তে বিশাল অস্তিত্ব তৈরি হয়। নিজেদের পাশাপাশি বিরাট কর্মসংস্থান তৈরি করে বিপুল লোকের উপার্জনের উপায় তৈরি হয়। আর আমরা! একজনের সাথে আরেকজন মিশতেই পারিনা।




পরদেশে গিয়ে তাদের কর্মচারী হয়ে তাদের উন্নয়নে জীবন পার করছেন। সেই কর্মচারী হতেও আপনাকে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তো ব্যয় যখন করছেন, তখন নিজে কর্মচারী না হয়ে কর্মচারী রাখুন না। স্ব-কোম্পানির কর্মকর্তা হোন, ফ্যাক্টরির মালিক হোন। পারবেন। শুধু চেষ্টা করে দেখুন।

বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুর জন্ম কিভাবে জানেন? বা নোকিয়া কোম্পানির জন্ম কাহিনী? বেকার কিছু যুবক, কর্মহীন অবস্থায় শুধু পরিবারেরই নয়, সমাজেরও যেন বোঝা হয়ে গিয়েছিল ওরা। পরে নিজেদের কার কি করার মতো ক্ষমতা আছে, সে সেই ধরণের কাজের বর্ণনা তুলে ধরল। তারপর সিদ্ধান্ত নিলো ইলেক্ট্রোনিক্স রিপেয়ারিং শপ দেবে। দিলোও তাই। নাম দিলো নিজেদের শহরের নামে, নোকিয়া। সেই বেকারদের কোম্পানি সারা বিশ্ব অনেকদিন কাঁপিয়েছে।

আসুন, আপনার মেধা কাজে লাগান। পরোপকারী কারো সহায়তা নিন। নিজের মেধার প্রকাশ এভাবেই করুন।
দশের লাঠি একের বোঝা, এর ইংরেজী কিন্তু খুবই সহজ এবং এর দ্বারা অর্থটা বুঝতেও সহজ হবে। ওরা বলে টীমওয়ার্ক (teamwork)।  এই টীমকে আমরা এভাবে দেখতে পারি।


Togather
Everyone
Achive
More
}

TEAM


একটা কাজ একা না করে একটা পুরা টীম মিলে যদি করা হয়, তাহলে খুবই সহজ হয়ে যায়। পিঁপড়েরা টীম ধরে কাজের মাধ্যমে কত অসাধ্যই না সাধন করে। বৃহৎ এবং শক্তিশালী শত্রুর হাত থেকে বাঁচতেও সহায়তা করে এই টীম বা দলবদ্ধতা।



তাই সবার কাছে আহ্বান, দলবদ্ধ হোন, টীম তৈরি করুন, বা তৈরি করুন একটা কোম্পানি। পরদেশে না গিয়ে দেশে বসেই, নিজের যতটুকু আছে, সমবায় বা কোম্পানি তৈরির মাধ্যমে ভিত পোক্ত করুন, নিজে বড় হোন, দেশকেও বড় করুন।

মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

ইনকাম(income) / উপার্জন

               উপার্জন শব্দটার সন্ধি-বিচ্ছেদ করলে আমরা পাচ্ছি উপ+অর্জনইংরেজীতে যা ইনকাম (income) ভাগ ভাগ করে অর্থ সবসময় তো আর মেলে না। বাংলায় যেমন উপ শব্দটার অর্থ সহযোগী, সহকারী, কাছাকাছি, পাশাপাশি ইত্যাদি। ইংরেজীতে আলাদা ভাবে অর্থ করলে পাওয়া যাচ্ছে in মানে মধ্যে বা ভেতরে, আর come মানে আসা।

       যাহোক, উপার্জন যদি সহযোগী বা পাশাপাশি অর্জন হয়, তবে অর্জনটা কি? হ্যাঁ, আমার ও প্রশ্ন এটা। তবে আমি যে সমাধানটা পেয়েছি তা জানাচ্ছি। কোন কিছু আশা করে বা লক্ষ্য করে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে যেতে সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়াটাই  হল অর্জন। যার ইংরেজী হল achievement.

       তারমানে, কোন লক্ষ্য নিয়ে কাজে নেমে লক্ষ্য পূরণ বা সেই কাঙ্ক্ষিত অর্জন পাওয়া পর্যন্ত যা পাওয়া যায়, তা হল উপার্জন। এক্ষেত্রে উপার্জনটা আমাদের লক্ষ্য হওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। ভালো কোনও উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে কাজে লেগে পড়ুন, মন দিয়ে কাজ করুন, অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। মাঝ দিয়ে আপনার উপার্জন তো আছেই।

উপার্জন করতে গিয়ে আমরা বরাবরই যে ভূল করে থাকি তা হলঃ-
লক্ষ্যের ধার ধারিনা। ভালো কিছু হব বা করব, এটার কথা মাথায় না এনে শুধু উপার্জন দরকার ভেবে কাজ খোঁজা।
আসলে এটা আমাদের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারো লক্ষ্য কি হওয়া উচিৎ, তা তার মেধা, তার নিজের ইচ্ছায় হবে, নিজে লক্ষ্য নির্ধারণ করবে। সেই অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলবে, লেখাপড়া করবে। লক্ষ্য অর্জনে নিরলস কাজ করতে করতে একদিন লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। অভিভাবক বা সমাজ তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। কিন্তু লক্ষ্য বেঁধে দেবেনা। আসলে কি তাই হয়? কস্মিন কালেও নয়। আমাদের অভিভাবকগণ নিজের ইচ্ছেমত সন্তানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। কখনো ভেবে দেখেন না, তার সন্তানের মধ্যে কোন ধরণের প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।

         কোনও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রকে খুব আগ্রহের সাথে ডি সি ম্যাগনেটিক মোটরের উন্নয়ন বা তৈরি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। হতাশ হলাম। বলল, “ভাইয়া, জাস্ট তত্বগুলো পড়েছি, বাস্তব জিনিষের কিছুই বুঝিনি। বললাম, “তাহলে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব, এখন কি করবে?” বলল, “দেখি, কোন চাকরী টাকরি...

        রইস উদ্দিনকে বলেছিলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু করতে। তার কথা হলো, টাকা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। অনেক করে বুঝালাম, অনেক যুক্তি দেখালাম, উদ্যোগ থাকলে লক্ষ্য অর্জনে টাকা কোন বাঁধা নয়। কিন্তু তার একই কথা, টাকা ছাড়া নাকি দুনিয়ায় কোনোকিছুই সম্ভব নয়। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, লেখাপড়া শেষ করে কি করবে। বলেছিল, দেখি, একটা চাকরী বাকরি। গরীব মানুষ, এছাড়া আর কিই বা করার আছে।

       আর যখন কটা কামারের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি দেখে রইসউদ্দীনের কথাটি বলেছিলাম, তখন সজোরে মাথা নাড়িয়ে বলল, "কি হয়ে যাচ্ছে দিন দিন মানুষ গুলো। তাদের লক্ষ্যই যদি এতোটুকু হয়, তাদের থেকে দেশ কি আশা করবে!"

      কামার, অথচ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সে আমার কাছে আর দশজনার মতো নয়, বিশেষ মানুষ হিসেবেই ধরা পড়েছে। তার কথা, বড় কিছুর স্বপ্ন দেখতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে এগিয়ে যেতে যেতে অবশ্যই একদিন লক্ষ্যভেদ হবেই। না হলেও কাছাকাছি তো হবে। তবে স্বপ্ন ছোট হলে তো... বড় কিছুর আশা করাটাই ভূল।

        দুঃখ হলো। আশেপাশে এমনি হাজারো রইস উদ্দীন লেখাপড়া করছে শুধুমাত্র একটা চাকরীর আশায়। তারা জানেনা, কি চাকরী করবে, কে দেবে চাকরী। আর কেনই বা দেবে। তাদের লক্ষ্য কোনও মতো উপার্জন। কোনকিছু অর্জন করার কথা তারা ভাবেও না। এরা উপার্জন করতে গিয়ে ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা করে না। আর এভাবেই সমাজ, তথা দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে।
দেশে বিদেশে হাজারো উপার্জনওয়ালাদের দেখেছি। তারা কিছু পয়সার জন্য দেশকে (দেশের মান সম্মানকে) বেচে দিতে মোটেও দ্বিধা করে না। নচিকেতার সেই গানের মতো, কিছু পয়সা পেলে তারা বাপকেও দেবে বেচে। তারা বলে, লজ্জা/সম্মান নাকি তারা এয়ারপোর্টে রেখে গেছে। বিদেশে আবার লজ্জা কিসের! দেশে ফেরার সময় আবার এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে ফিরবে। দেশের মানুষ চায়ও তাই। তারা অর্থ দেখে। কিভাবে কামাচ্ছে তা কখনো দেখে না।

         এটাই কি মানুষের জীবন হওয়া উচিৎ?
কখনই নয়। আমি যাই করিনা কেন, একটা উদ্দ্যেশ্য থাকতে হবে। মানুষ হয়ে জন্মেছি। কোনমতো এদিক সেদিক করে জীবনটা কাটিয়ে দিলেই কি হলো! তাহলে তো সক্রেটিসকে চিনতাম না। আলেকজান্ডারকে জানতাম না। সম্রাট বাবর, আকবর, মাওলানা ভাসানী, শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হক। হাজারো নয়, লাখো নয়, অগণিত মানুষের নাম আছে সারা দুনিয়ার ইতিহাসের পাতায়। আমাদের মতো ভাবলে তাঁরাও কিন্তু হারিয়ে যেতেন কালের গর্ভে।

        যাহোক। উপার্জন নিয়ে কথা বলতে এত কথা। হ্যাঁ। আয় উপার্জন করা লাগে। নাহলে সংসার তো চলবে না। তবে আপনি যাই করুন না কেন, আপনার কর্মের সাথে সততা, নিষ্ঠতা, নিজের সবথেকে ভালোটুকু দুনিয়াকে দিন। সেও আপনাকে মনে রাখবে। দারোয়ান, তবে খুব ভালো দারোয়ান। গাড়িচালক, তবে খুব ভালো গাড়িচালক। ব্যবসায়ী, খুব ভালো ব্যবসায়ী। ডাক্তার হয়েছেন। ভালো, আপনার উপার্জন কিন্তু কম নয়। কিন্তু তারপরও কেন মরা রোগীকে নিয়ে ব্যবসা করবেন! কত দরকার  আপনার?!? সর্দীই তো লেগেছে। তাহলে সাতটা চেকআপ কেনো!?! আবার সেই নচিকেতার কথা মনে পড়ে গেলো। হাসপাতালের বেডে, টিবি রোগীর সাথে, খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা।

        আমি যা বলতে চাইছি তাহলো, ভালো পথে রোজগার করুন। ন্যায় পথে নীতির সাথে রোজগার করুন। অসৎ পন্থা কখনোই অবলম্বন করবেন না। কারণ, অসৎ পথে অর্থ আসবে ঠিকই, তাকে উপার্জন বলা যাবেনা। আর অর্জন, সেতো অনেক দূরের কথা।

        উকীল, পুলিস, শিক্ষক, যাই হোন না কেন। উদ্দেশ্য রাখুন ভালো কিছু করার। পৃথীবি আপনাকে মনে রাখবে। ভয় নেই। আপনার উপার্জন বন্ধ হবে না। সাথে পেয়ে যাবেন বিরাট এক অর্জন।

রবিবার, ২২ মার্চ, ২০১৫

দেশীটেক বিজ্ঞান ক্লাব

এইমাত্র, অর্থাৎ ২২/২/১৫, ০:৩০ মিনিটে একটি সিদ্ধান্ত নিলাম।
একটি বিজ্ঞান ক্লাব খুলব। আমাদের কোম্পানির নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখতে চাই
"দেশীটেক বিজ্ঞান ক্লাব"। যা ইংরেজীতে "Deshitech Science Club".



শ্রদ্ধেয় রুহুল আমীন স্যারকে সভাপতি করে রাকিবুল ইসলাম রিয়াজকে প্রস্তাব দিব।

হয়তো প্রশ্ন আসবে, নবকিশোরের কি হবে?
হ্যা, ওটা আমাদের প্রথম ও প্রধান ক্লাব ছিল। কিন্তু ভারতে এনামে ক্লাব আছে।
শিঘ্রই নিতীমালা প্রণয়ন করা হবে ইনশা আল্লাহ।

সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১৩

تنزيل الفيديوهات من موقع YouTube في الهاتف الذكي

الجميع يحب لتحميل ملفات الفيديو من يوتيوب. ولكن كيف! نعم، تيوب ميت. هذا هو تطبيق شعبية جدا لتحميل مقاطع الفيديو من يوتيوب، وهكذا بسهولة

مجرد بتحميل هذا التطبيق من هنا، وتثبيته، واستخدامه

ملاحظة متعلق بالفضاء: - عليك أن تخبر جهازك انه موافق لتثبيت التطبيقات من مصادر أخرى غير جوجل بلاي. سوف تحتاج إلى التحقق من المربع وضع علامة "مصادر مجهولة". على الروبوت 4.x أو سوف تجد أنه من ضمن إعدادات> الأمان.

Download YouTube videos to your android

Everybody like to download videos from YouTube. But how! Yes, tube mate. It is a very popular app for download favorite videos from YouTube, and so easily.

 download tubemate
Just download this app from here, install it, and use...



{Spacial note:- You'll need to tell your device it's OK to install apps from sources other than Google Play. You'll need to check the box marked "Unknown sources." On Android 4.x, you'll find it under Settings> Security.}

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৩

বর্নালি জুম চাষ (Bornali zum)

বর্নালি জুম। কেমন যেন একটা লাগছে। জুম চাষের কথা শোনেনি এমন ক'জন আছে? তবে এটি একটু ভিন্ন। জুম চাষ করা হয় পাহাড়ে। আর এটি করতে হবে অভাবে।

অভাবে! এটি আবার কেমন কথা! হ্যাঁ, অভাবে, জায়গার অভাবে। যাদের নিজস্ব প্রচুর জায়গা নেই। শহরের বাড়িতে হয়ত ছাদে একটু জায়গা। তারাই, সামান্য জায়গা থেকে সহজে প্রয়োজনীয় শাক সব্জির চাহিদা মেটাতে পারেন এই বর্নালি জুম পদ্ধতিতে।

বর্নালি জুম কেন করবেন? বাজারে আমরা যে সকল শাক সব্জি পাই, তাতে প্রিজারভেটিভ, কীটনাশক প্রভৃতির ভয় থাকে। দামের কথা রেখেই দিলাম। এছাড়াও, নিজের জন্মানো শাক সব্জি খাবার মজাই আলাদা। এর একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি আছে।

হ্যাঁ, চাষ করতে হলে তো অবশ্যই জায়গা লাগবে। নিজের চাহিদা মেটাতে যে জায়গার দরকার, তা আপনার আয়ত্বের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু আয়ত্বের মধ্যে সবার তো জায়গা থাকে না। কারো এমনিতেই জায়গার অভাব, কারো জায়গা আছে, কিন্তু শহরে নেই। তবে কি নিজের হাতের শাক সব্জি খেতে পারবে না?

হ্যাঁ, কেন নয়? বাড়িতে স্বল্প পরিমাণ যতটুকু জায়গা আছে, অথবা ছাদে আমরা চাহিদা মত শাক, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, লাল শাক, স্ট্রবেরি, টমেটো ইত্যাদি সবই চাষ করতে পারি। আর যে পদ্ধতিতে এটা করতে হবে, তার নামই হল বর্নালি জুম পদ্ধতি।

বর্নালি জুম-
জুম চাষের কথা আমরা সবাই জানি, পাহাড়ের অধিবাসীরা পাহাড়ের ঢালু জমিতে একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলায়, যার নাম জুম চাষ। আমাদের আজকের বর্নালি জুম ও তেমনি একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলানোর পথ বলবে।

আপনারা সকলেই টবে চাষ সম্বন্ধে জানেন। অনেকের বাড়িতে বা ছাদে ফলের গাছ আছে। কমছে কম ফুলের টব তো আছেই। তবে এটি একটু আলাদা। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ টি টব, (বেশিও করা যায়), যা একটির উপর একটি সাজানো। প্রত্যেক টবেই চাষ করা যায়।



এবার আসুন, কেমন টব ব্যবহার করতে হবে, সেকথায় আসা যাক। বর্নালি জুমে আসলে বিশেষ ধরণের টব ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচটি টবই ভিন্ন সাইজের। তবে গড়ন একই। প্রথম টব, যেটি সবচেয়ে বড়, তার ব্যস ৩ ফিট। উপরে ৩ ফিট, নিচে ২ ফিট। উচ্চতা ১ ফুট। আর একদম উপরের টবটির ব্যস ১.৫ ফিট। সবগুলোর উচ্চতাই ১ ফুট।
এখানে আবার ৪টি ১ ফুট উচ্চতা এবং ১ ফুট ব্যস বিশিষ্ট পাইপ ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো টবগুলোর মাঝখানে বসাতে হবে। এতে আমাদের মাটির পরিমাণ কম লাগবে। তবে উপরের, অর্থ্যাৎ ৪ নম্বর পাইপের মাথা বন্ধ রাখতে হবে। কারণ, উপরের টবটি ছোট, তাই এটিতে ফাঁকা রাখা লাগবেনা।


পাইপ

টবের মধ্যভাগে পাইপটি রাখতে হবে

এভাবে একটার উপর একটা পাইপ রাখাতে মাঝখানে অনেক জায়গা ফাঁকা থাকবে।
এতে করে মাটি কম লাগবে। ছাদের উপর ওজন বাড়বে না।

তবে, উপরের পাইপটি একমুখ বন্ধ অথবা কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কারণ, উপরের টবের মাঝে খালি রাখার দরকার নেই।

আমাদের জুম টব প্রস্তুত হয়ে গেল। তবে হ্যাঁ, প্রথমে বড় টবটিকে পছন্দ মত জায়গায় বসিয়ে মাঝখানে পাইপ বসাতে হবে। এরপর দোআঁশ মাটি দিয়ে টবটি এক ইঞ্চি খালি রেখে পূর্ণ করতে হবে। এবার দ্বিতীয় টব ও পাইপটিও একই ভাবে বসাতে হবে। চতুর্থ পাইপটির উপরিভাগ বন্ধ করার কথা মনে রাখতে হবে। আর একমুখ বন্ধ পাইপ হলে তো চিন্তাই নেই। পঞ্চম টবটি মাটি দিয়ে ভরার পর জুম প্রস্তুত।

কি কি চাষ করা সম্ভব? গুল্ম জাতিয় সকল প্রকার শাক বা সব্জিই উৎপাদন করা সম্ভব। একটি জুমে আপনি একই প্রকার চাষ করতে পারেন। তবে যদি এক এক অংশে আলাদা আলাদা ফসল ফলান, যেমন নিচে স্ট্রবেরি, এরপর লালশাক, পালংশাক, পুদিনা এমনি করে চাষ করেন, তাহলে জুমটি বর্নিল হয়ে একটা সৌন্দর্যের বস্তু হয়ে দাঁড়াবে। আর আসলে এজন্যেই এর নামকরণ করা হয়েছে বর্নালি জুম চাষ।

তবে দেরি কেন? আজই শুরু করুন। এবং নিজের উৎপাদিত শাক সব্জি, নো কীটনাশক, নো প্রিজারভেটিভ।
দাওয়াত দিলে খারাপ হয়না। তবে, সৃষ্টিকর্তার জন্য শুকরিয়া আদায় করবেন, যিনি এ সকল জ্ঞান মানুষ কে দিয়েছেন।



~

সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

দ্রুত ওজন কমাতে ৭ দিনের কর্মসুচী...

GM ডায়েট এর উপকারিতাঃ 
 এই সাত দিনের প্লান ছিল জেনারেল মটরস এর কর্মীদের জন্য। এই প্রোগ্রাম এর প্রধান লক্ষ্য ছিল সুস্বাস্থ্য এবং ফিটনেস রক্ষায় অংশগ্রহণ।













মঙ্গলবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৩

deshitech: Fring - old version for android

deshitech: Fring - old version for android: Are you know about fring? This is a social co-op service. Fring have full free service with fring to fring user. Mobile and Android system ...

সোমবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৩

সর্দি-কাশি তে কি খাবেন?









 সর্দি - কাশিতে ভোগা অবস্থায় 
আপনার খাদ্যাভ্যাস আপনাকে দ্রুত 

রোগ থেকে মুক্ত করতে পারে।











প্রথমত, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান। এটি মূলত মানুষের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা কে শক্তিশালী করে, ফলে দেহ রোগ-জীবানুর সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়। কয়েকটি উচ্চ ভিটামিন সি যুক্ত খাবার হলো আমলকি, কমলা, জাম্বুরা বা বাতাবি লেবু, টমেটো, আনারস, কাচামরিচ এবং আলু।







দ্বীতিয়ত, জিঙ্ক সর্দি থেকে আরোগ্য লাভের অন্যতম সহায়িকা। গবেষনায় দেখা গেছে, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম থেকেই জিঙ্কযুক্ত খাবার খেলে দ্রুত আরোগ্য হয়। জিঙ্ক যুক্ত খাবারের মধ্যে আছে, গরুর পায়া, লবস্টার, কাকড়া, কাজু বাদাম, আমন্ড বাদাম, টকদই ও দুধ।




তৃতীয়ত, সর্দি-কাশিতে ভোগা অবস্থার অন্যতম খাবার হলো চিকেন সূপ। নিউইয়র্ক টাইমস হেলথ গাইড (New York Times Health Guide) এর বক্তব্য অনুযায়ী চিকেন সূপ সর্দির জমাটবদ্ধতা কাটাতে ও ঠান্ডা জনিত গা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এর সঙ্গে সব্জী যোগ করলে তা ভিটামিন এর যোগানও দেয়। তবে হাই প্রেসার এর রোগীদের প্যাকেট সূপ না খাওয়াই ভালো, কারণ, এতে লবন বেশী থাকে।


চতুর্থত, মশলাযুক্ত খাবার খান। সর্দি-কাশিতে খাওয়ার রুচি কমে যায়। মশলাযুক্ত খাবার রুচি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মশলার মধ্যে সবচেয়ে ভালো হলো, কাচামরিচ (ভিটামিন সি তে পূর্ণ), রসুন (এতে থাকা alliin সর্দিবদ্ধতা কাটাতে সহায়তা করে) এবং আদা।



এবং সর্বশেষে পানিশূণ্যতা এড়াতে প্রচুর পানীয় খান। কফি বা কোক/পেপসির বদলে পানি অথবা ফলের জুস খান। গরম পানীয় খেতে চাইলে লেবুর রস, আদা ও মধু দিয়ে বানানো ফ্লু স্পেশাল চা খেতে পারেন। সর্দি নিরাময়ে এর ভুমিকা অসামান্য।

তথ্যসূত্রঃ
http://www.ivillage.co.uk/7-healing-foods-fight-colds-and-flu/78805
http://www.livestrong.com/article/116839-foods-treat-common-cold/
http://www.learningherbs.com/flu_home_remedy_tea.html
 —