Food লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Food লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

অধিব্রীহি

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, যে নামটি দেখছেন, অর্থাৎ অধিব্রীহি, নামটি ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞানী ধানের জাতের নাম দিয়েছেন, আমি পদ্ধতির নাম দিয়েছি। পঞ্চব্রীহি একবার লাগালে পাঁচবার ধান দেয়। আর অধিব্রীহি পদ্ধতি সমপরিমাণ জায়গায় ২ গুণ ধান দেয়।

কি! বিশ্বাস হচ্ছেনা! নতুন পাগলের আগমন!?

না ভাই, পাগল আমি বেশ পুরনো। তবে অধিব্রীহি পদ্ধতির বয়স মাত্র ২ বছর। আর এটা পাগলামি নয় ভাইজান, বিজ্ঞান। ধান তো এমনিতেই বেশি হবেনা! চাষ পদ্ধতির কারণে আপনি এমন পাবেন।

কেমন পাবেন? প্রতি শতাংশ জায়গায় সাধারণত ধান হয় গড়ে সবচেয়ে ভালো হলে ৩০ কেজি। অধিব্রীহি পদ্ধতিতে পাবেন ৬০ কেজি। ৪ বার ধান করতে পারবেন একই জায়গায়। তাতে আসবে ২৪০ কেজি। অর্থাৎ, ৬ মণ ধান।

পদ্ধতিটি কিন্তু একোয়াপনিক এর। তারমানে ধান চাষে আপনার খরচ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি (সাধারণ চাষের তুলনায়) আর একোয়াপনিক হলো মাছ ও সব্জি চাষের একটা অর্গানিক পদ্ধতি, যেখানে স্বল্প জায়গায় অকল্পনীয় হারে বেশি মাছ উৎপাদিত হয়। তেলাপিয়ার একটা হিসাব যদি ধরি, তা সাধারণ পদ্ধতিতে এক শতাংশ পানিতে ২০০ কেজি করা সম্ভব। কিন্তু একোয়াপনিক সিস্টেমে সমপরিমাণ জায়গায় করা যাবে ৪০০০ কেজি। এবার, এই এতো মাছ চাষের জন্য একোয়াপনিক সিস্টেমে লাগবে উদ্ভিদ, তথা সব্জির চাষ। সেখানেই, আমরা করেছি ধান। আর এখানেই পদ্ধতিতে একটু পরিবর্ধন করে ধান করা যাবে ২ গুণ।





শতাংশ প্রতি ধান হবে ২৪০ কেজি বছরে। আর হবে শতভাগ অর্গানিক। যেমন ধান আজ থেকে শত বছর আগে ছিলো।



একোয়াপনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে চারা থেকে শুরু করে কোনো চাষই লাগবে না। এছাড়াও নিড়ানো, সেচ কিছুই লাগবে না। তাহলে কেমন পদ্ধতি বলুনতো! আর আপনি এভাবেই হতে পারবেন স্যুটেড বুটেড একজন কৃষক।





আর নিচের এই ছবিটি হলো অধিব্রীহি সিস্টেমের। ছবিটি সাজানো।


অধিব্রীহি। অধিক ধান ফলানোর একটি সিস্টেম মাত্র।

কেউ যদি অতি খাটো কোনো ধান গাছের আবিষ্কার করেন, তাহলে এই অধিব্রীহি পদ্ধতিতে ধান চাষ আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ দেখা দেবে, ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

বায়োফিল্টার

বায়োফিল্টার এমন একটা ফিল্টারিং, যেখানে কোন বিষাক্ত বর্জ্যকে প্রাকৃতিক কায়দায় নির্বিষ করা হয়।
যদিওবা এই পদ্ধতি কারখানার বর্জ্য বা পৌর-বর্জ্য সহ, বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্যকে নির্বিষ করার কাজে হয়। তবে এখন আমরা আলোচনা করবো RAS এর এমোনিয়া (NH3) ফিল্টারিং এ বায়োফিল্টারিং নিয়ে। তবে খুব সংক্ষিপ্ত।

খুব সোজা জিনিষটা। কিভাবে? হ্যা বলছি।
পৃথিবীতে যত রকম বিষাক্ততা তৈরি হয়, দুর্ঘটনাক্রমে, বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বা নিত্যপ্রয়োজনে, যেভাবেই হোক, সেই বিষাক্ত বর্জ্যকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্নভাবে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্যাক্টেরিয়া সেগুলো থেকে আহার গ্রহণ করে, বংশ বৃদ্ধি করে। আর খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই বিক্রিয়ার মাধ্যমে  যে জৈবিক সংশ্লেষণ ঘটে। তাতে বিষাক্ত অনু ভেঙ্গে অবিষাক্ত একাধিক অনু তৈরি হয়। এভাবে সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখেন।

যাহোক RAS এ মাছ টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এমোনিয়া দুর করতেই হবে। কারণ মাছের বর্জ্য থেকে প্রচুর এমোনিয়া তৈরি হয়। আর এটি পানিতে দ্রবণীয় জীবননাশী নাইট্রোজেন বিষ। এই এমোনিয়া (NH3) কে নাইট্রোসোমোনাস নামক ব্যাক্টেরিয়া অক্সিডাইজড করে নাইট্রাইট (NO2-) এ পরিণত করে। এটাও কিন্তু জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্তক বিষাক্ত। এবার? হ্যা, এরপর আছে আরেক টিম। নাইট্রোব্যাক্টার নামক ব্যাক্টেরিয়া। এরা আরেকটু অক্সিডাইজড করে নাইট্রেট (NO3) এ পরিণত করে। এখানে একটি গ্রাফ দেখুন-


আর নাইট্রেট  (>২০০মিলিগ্রাম/লিটার) মাত্রা পর্যন্ত  RAS এর জন্য ক্ষতিকারক নয়। হয়ে গেলো।

RAS এ বায়োফিল্টারিং এর জন্য কিভাবে কি করবেন?
নাইট্রোসোমোনাস এবং নাইট্রোব্যাক্টার এর জন্য বাড়ি করে দিবেন। 😊
রস করছি না। ব্যাক্টেরিয়াদের জন্য কলোনি করার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে এই ব্যাক্টেরিয়া সমূহ বসবাস সহ বিস্তার লাভ করবে। এমোনিয়া সমৃদ্ধ পানি যখন এই কলোনি সমূহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে, তখন উপরোল্লেখিত  প্রক্রিয়া সমূহ সংগঠিত হতে থাকবে। এবং ...


ব্যাক্টেরিয়ার বাড়ি তৈরিতে যে উপাদান ব্যবহৃত হয়, তার নাম বায়োমিডিয়া
এখানে DIY বায়োমিডিয়া দেখতে পাচ্ছেন। এমনি কোন জিনিষ হলেই হবে। বিভিন্ন দেশে রেডিমেড বায়োমিডিয়া পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি।


আমাদের ব্যবহৃত বায়োমিডিয়া।

তৈরি করুন। কাজে লাগান। কাজ দেবে। অন্যান্য হেল্প এর জন্য যোগাযোগ করতে হলে ...
কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ।

রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

অ্যাকোয়াপনিক (একোয়াপনিক) Aquaponic


আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অ্যাকোয়াপনিক/একোয়াপনিক (Aquaponic) একটি ইংরেজী শব্দ। যদিওবা এটি একক শব্দ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, আসলে কিন্তু দুটি আলাদা শব্দ থেকে এসেছে। Aquaculture এবং Hydroponic দুটি আলাদা পদ্ধতি। একোয়াকালচার হলো পানিতে জন্মে এমন প্রাণীসমূহ  চৌবাচ্চা বা কোন বাক্সে পানি রেখে পোষা বা চাষ করা। সোজা কথা হলো একোরিয়াম। তবে চাষের ক্ষেত্রে তো আর এমন কাচের আধার ব্যবহৃত হয়না। আর হাইড্রোপনিক হলো পানিতে সব্জি জাতিয় ফসল ফলানো সিস্টেম। আর এই দুই সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে একোয়াপনিক সিস্টেম।

একোয়াকালচার

হাইড্রোপনিকস


একোয়াকালচার
হাইড্রোপনিক
জায়গা স্বল্পতার জন্য বা আধুনিক সুবিধার জন্য মানুষ মাছের চাহিদা মেটাতে এই একোয়াকালচার সিস্টেম চালু করে। অল্প স্বল্প জমিতে (যেখানে পুকুর করা সম্ভব নয়) বা বাড়ির ছাদে চৌবাচ্চা তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করে। অনেকগুলো সুবিধার সাথে বড় একটি অসুবিধা হলো পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া। একোরিয়ামের পানি যদি নিয়মিত না পাল্টানো হয়, তাহলে মাছের বিষ্টা এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে মাছ মারা যায়।...

«
»
«
»
«
»
«
»
«
একই কারণে ছাদে বা ঘরোয়া পরিবেশে মাটি
ছাড়া শুধু পানি ব্যবহার করে সব্জি চাষ করেও
অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যেখানে
মাটি থেকে বিভিন্ন সংক্রমণের পরিমাণ অনেক
কম থাকলেও পানিতে উদ্ভিদের খাদ্য হিসাবে
রাসায়নিক সার মেশাতে হয়। ফলন অনেক
ভালো হলেও পুরোপুরি অর্গানিক না হওয়ায়
মানুষের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়।


  
একোয়াকাচা হাড্রোনি             


ঠিক একারণে, একোয়াকালচার আর হাইড্রোপনিক দুই সিস্টেমকে একত্রিকরণ করা হয়, যা উপরের খুবই সাধারণ চার্ট হতে খুব সহজেই বোঝা যায়।

একোয়াপনিক 

একোরিয়াম বা খাঁচায় মাছ চাষ করলে জায়গা স্বল্পতা ও মাটির সংস্পর্শ না থাকায় মাছের উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য জমে খুব স্বল্প সময়েই বিষাক্ত এমোনিয়া তৈরি করে। এর ফলে মাছ মারা যায়। তাই নিয়মিত পানি বদলানো খুবই জরুরী। এদিকে হাইড্রোপনিক সিস্টেমের কথা তো বলেইছি। যেখানে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয়। এখন, একোয়াকালচার আর হাইড্রোপনিক একত্রিত করেই হয়ে গেলো সকল সমস্যার সমাধান। আর নতুন এই সিস্টেমের নামই হলো একোয়াপনিক।

একোয়াপনিক 

একোয়াপনিক সিস্টেমে সামান্য খরচেই মাছ এবং সব্জি চাষ করা যায়। শুধু জায়গা স্বল্পতাই নয়, যারা কৃষি কাজে অভ্যস্ত নয়, বা মাঠে কাজ করতে পারেন না, তাদের জন্য এই পদ্ধতিতে মাছ এবং সব্জি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করাও সম্ভব। এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র মাছকে খাবার দিতে হয়, আর মাছের বর্জ্যসহ পানি সব্জিতে দিতে হয়। মাছের জন্য বিষাক্ত এমোনিয়া ব্যক্টেরিয়া দ্বারা ভেঙ্গে উদ্ভিদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি করে। ফলে সব্জিতে কোন ধরণের সারই প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়েনা। তার মানে, একোয়াপনিক সিস্টেমের চাষাবাদ বিভিন্ন দিক দিয়ে সাশ্রয়ী, এবং অরগানিক হবার কারণে ভীষণ উপকারীও বটে।

একোয়াপনিক 

আজ একোয়াপনিক সিস্টেম সম্বন্ধে জানানো হলো। সামনে বাংলাদেশে খুবই সহজে কিভাবে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায়, তার আলোচনা হবে।

সবার সুস্থতা কামনা করে সামনের পোষ্টের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপাতত বিদায় নিচ্ছি।

মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৬

ফেনায়িত কফি

ধুমায়িত কফির কথা কে না শুনেছেন। প্রচন্ড ঠান্ডায় এককাপ ধুমায়িত কফি আপনার শরীরকে যেমন গরম করে দেয়, তেমনি ক্লান্তিও দূর হয়। তবে আজ বলবো ফেনায়িত কফির কথা।



কাপ্পুচিনু, কফির একটি পদ্ধতিগত নাম। যার আসল বৈশিষ্ট্য হলো ফেনা। যেন তেন ফেনা নয়, ঠোঁটে লেগে থাকার মতো ফেনা। শুধু ঠোঁটেই নয়, লেগে থাকবে আপনার জিহ্বা, এবং স্বভাবতই আপনার অন্তরেও।

দুধ ছাড়া

এবার আসা যাক, কিভাবে তৈরি করা যায়, সেই কথায়। একটি কাপে কফির মিহি পাওডার (পাওডার কে বিশেষ ভাবে দানা আকৃতির করে সাপ্লাই দেয় কোম্পানি) এবং পরিমাণ মতো চিনি নিয়ে সামান্য পানি যোগ করতে হবে। পানি যেন বেশি না হয়। এরপর একটা চা চামচ দিয়ে ১০/১২ মিনিট ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। একদম সাদা হয়ে গেলে নাড়ানো বন্ধ করুন। এবার, ফুটন্ত গরম পানি ঢালুন। দেখবেন ওগুলো উপরে উঠে যাচ্ছে।


আর, দুধ মেশালে গাঢ় গরম দুধ মেশান। আহ্!
ওহ, চুমুকই দেননি! চুমুক টা দিন না, দেখবেন কেমন হলো!


ছবির মতো ফেনা হয়েছে তো? হবে, দু'এক দিন বানান, হিসাব এসে যাবে।


এবার কি খুব একটা সহজ পদ্ধতি বলবো? হ্যা, সহজে বেশি কাপ বানাতে ব্যবহার করুন এই পদ্ধতিটি।
একটা ছোট পানির বোতল নিন। পরিমাণ মতো কফি ও চিনি নিন। হালকা গরম দুধ মেশান। বোতলের মুখ আটকিয়ে ঝাঁকাতে থাকুন। মনে রাখবেন, ভালো ফেনার জন্য ঝাঁকিও তেমন হতে হবে। কেমন লাগলো! ওহ, লোভনীয় বিধায় আগেই টেস্ট নেয়ার কথা বলে ফেলছি। কাপে কাপে মিশ্রণটা নিয়ে গরম পানি মেশান। তারপর..... 


এবার বলবো অন্য কথা। শিল্পের ছোঁয়ায় ফুটিয়ে তুলুন মনের কথা, মনের ভাষা। সামান্য পরিমাণ কফি ছড়িয়ে দিন উপরের ছবির মতো। তারপর, চামচের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলুন নক্সা।


একটি মাত্র দিয়েছি। হাজারো ডিজাইন করতে পারবেন আপনি। শুধু চেষ্টা করে দেখুন।


সবশেষে একটি বিশেষ শতর্কিকরণ বিজ্ঞপ্তি। দিনে এককাপের বেশি কফি গ্রহণ লিভারের জন্য ক্ষতিকর।

সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

করলা ভাজি

আজ আমি একটি ভিন্ন তরিকার রান্না শেখাব। এক সপ্তাহের করলা ভাজি।
জানি, উল্টা পাল্টা লাগছে। তবে আমার মত যারা ব্যাস্ত, একা এবং প্রবাসী, (সর্বোপরি অলস), তাদের জন্য খাসা এক রান্না।

প্যাচাল ছেড়ে আসুন, কাটাকাটি শুরু করি।
 হ্যা, করলা গুলো আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে ভুলবেন না। ফরমালিন তাড়াতে সহজ পথ এটি। মরিচের বোটা ফেলে পানিতে ভেজান। পঞ্চাশ গ্রাম রসূন নিন। ধুয়ে টুকরো করুন। ব্লেন্ডার না থাকলে একটা স্টিলের গ্লাসে নিন। মরিচ গুলোকেও ধুয়ে টুকরো করে রসূনের সাথে রাখুন।

করলা গুলোকে পাতলা করে চাক চাক করে কেটে গরম তেলে ছেড়ে দিন। আর হ্যা, তেল কম খাবেন।

এখন পেঁয়াজেরর পালা। দু'মুখ কেটে খোসা ছড়িয়ে মাঝখানে ফেড়ে পানিতে রাখুন, চোখ জ্বলবে না। পেঁয়াজ পাতলা করে কুচি করুন। সাথে করলা নাড়তে ভুলবেন না। আর লবণ, পরিমাণ মতো দিয়ে দিন।



কাজের মাঝে রসূন মরিচগুলো ছেঁচে রাখুন। করলা যখন নরম হয়ে আসবে, তখন এগুলো দিয়ে দিন।


হলুদ না দিলে সবুজ হবে। আপনি নিজেই নির্বাচন করবেন, কেমন খাবেন। পেঁয়াজ গুলো ঢেলে নাড়ুন।


নাড়ুন। হ্যা,  করলা পেঁয়াজ থেকে বেশি ভাজা হবে। নামিয়ে ফেলুন না। এক সপ্তাহ ধরে খেতে হবে তো।

মনে রাখবেন, তরকারি ফ্রিজে রাখবেন না। স্বাদ - গুনাগুন ঠিক রাখতে এমনিতেই রাখুন। দিনে একবার গরম করলেই ভাল থাকবে।

তেল মসলা কম খান। একদম সাধারণ খান। দেখবেন, ভাল আছেন।


শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫


ছবিটা দেখুন তো, কি মনে হয়?


জানি, এক বাটি ডিম ভাঁজি ছাড়া কি আর বোঝা যাবে।

আসুন দেখি, কাহিনী টা বলি।
একটা ডিম ফ্রাই করা হলো। তার অর্ধেকটা নাস্তার জন্য রেখে বাকি অর্ধেক আলাদা করে ফ্রীজে রেখে দেয়া হলো। এখন নাস্তার অংশ থেকে অর্ধেকটা দিয়ে আটজনে চাপাতি খেল। তার মানে মোট অংশের এক চতুর্থাংশ নিয়ে আসা হলো অফিসে আমাদের জন্য। আর আমরা এগারো জনে চাপাতি খেলাম। (আমি দুইবার)
জানি বিশ্বাস হতে চাইবে না। শিরোনাম দেখে একটু ধারণা হয়ে থাকতে পারে। তবে এই কথা কাউকে শুনাতে গেলে শুনতে হয়েছে অন্য আরেকটি গল্প।
এক মহিলার চিৎকার শুনে আরেকজন এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? মহিলা বলল, তার ভাষায় –“ আর শুনিসনে লো বু। আগের হাটে (৫/৬দিন আগে) এক ছটাক ত্যাল আনিছে। সারা সপ্তা রান্দিছি, বাড়ির সগলি গায় মাথায় মাখে বারেন্দার কুনায় রাখে গিছি। কোন ভরাপড়া আসে গবগব করে ঢালে নিয়ে তো গেছেই, এরপর আবার দ্যাখ খানা পয্যন্ত বায়ে গেছে।“
জানি, যাদের ধারণা নেই, তারা এমন কোন উদাহরণ দিয়ে আমার গল্পটাকে অবাস্তব গল্প হিসাবে দাঁড় করাবে। যা হোক, বাস্তব প্রমাণ দিয়ে দেই, আর যারা উটপাখির ডিম দেখেননি, তাদের জন্য একটা বোনাস সুযোগ। বাস্তবে না হোক, ছবিতে তো।


মাঝখানের ব্যাক্তিটি ডিমটি এনেছিলেন। আর আমি তো ছবি তোলার জন্য সদা প্রস্তত। পাশের দুজন বুঝতে পেরে দ্রুত পোজ নিয়ে নিলেন। ব্যস ...
এতোবড় ডিম আমিও এই প্রথম দেখলাম। বুঝলাম, উটপাখির ডিম। ডিমটির ওজন ছিল ২.৩ কেজি।




ডিম যিনি এনেছেন, তারও একটা ডিম হাতে ছবি নিলাম।
ডিমটি প্রথমে তারা সাধারণ কিচেন নাইফ দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। না পেরে বড় চামচ দিয়ে। ব্যর্থ হয়ে শেষ মেশ হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গেছিলেন।

এবার উটপাখির ছবি দেখুন।


সাইজ বোঝাতে উটপাখির প্রতিযোগিতার একটি ছবিও দিলাম।


ছবিদুটি নেট থেকে নেয়া হয়েছে।




জনাব ইসমাইল হোসেন সাহেব, ছবির জন্য পোজ দিলেন।

বাস্তবে অনেক সাধারণ জিনিষই আমরা দেখতে পাইনা। যারা আগে দেখেননি, তারা দেখলেই আমি ধন্য।
ধন্যবাদ... ওই ভাইকে, নামটা মনে আসছে না। তার বদৌলতে এটি শুধু দেখাই নয়, খাওয়াও হলো। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে তার সকল নিয়ামাত দেখার, উপভোগ করার তাউফিক দিন। আমীন...

বুধবার, ১২ মার্চ, ২০১৪

প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী সাতটি খাবার, 7 fertility-boosting foods

অনেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার ব্যপারে সমস্যায় ভোগেন। অর্থাৎ, প্রজনন ক্ষমতা কম। এটা হতে পারে শারীরিক বিভিন্ন দুর্বলতার কারণে। এগুলোকে যৌন সমস্যা মনে না করে দূর করার কথা ভাবুন। এগুলো দূর করা যায় স্বাভাবিক খাবারে কিছুটা পরিবর্তন এনেই। এখানে সাতটি খাবারের একটি তালিকা দেওয়া হল, যা আপনার প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। আলোচনার আগে নাম গুলো জেনে নেই। ঝিনুক, দুধ, আলমণ্ড বাদাম, মুরগী, ব্রাজিল নাট, ডিম এবং চা।

প্রথম যে খাবারের কথাটি উল্যেখ করব, তা বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে নেবে জানিনা। তবে এটা সী ফুড, যা ধর্মীয় দৃষ্টিতেও জায়েজ। তা হল ঝিনুক




ঝিনুকে জিঙ্কলৌহক্যালসিয়ামসেলেনিয়ামসহ ভিটামিন এ এবং ভিটামিন বি১২-এর ন্যায় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান রয়েছে। তবে খাদ্য শক্তি কম রয়েছে। এক ডজন কাঁচা ঝিনুকে মাত্র ১১০ কিলোক্যালরী শক্তি সঞ্চিত আছে। কাঁচা ভক্ষণ করলেই সবচেয়ে বেশী খাদ্য উপযোগিতা পাওয়া যায়।



প্রাচীনকাল থেকেই ঝিনুক যৌন উদ্দীপনা বৃদ্ধিতে সহায়তাকারীর প্রধান উপাদান হিসেবে বিবেচিত। জিঙ্ক নারী পুরুষ উভয়ের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। একদল আমেরিকা এবং ইতালিয়ান গবেষকগণ বিশ্লষণ করে দেখিয়েছেন যে, ঝিনুকে যথেষ্ট পরিমাণে এমিনো এসিড রয়েছে যা যৌন হরমোন সৃষ্টিতে সহায়কের ভূমিকা পালন করতে পারে। উচ্চমানের জিঙ্কে টেস্টোস্টারোন রয়েছে। এর খোলশ ক্যালসিয়াম কার্বোনেট বা চুনজাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরী।
কাঁচা, সিদ্ধ, ভেজে, রোস্ট ইত্যাদি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের পানীয়ে এর ব্যবহার রয়েছে।

oতাজা দুধ,
স্কিম করা (চর্বি বা শর ওঠানো) নয়, বরং তাজা দুধের সাথে থাকুন। গরুর দুধে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের হরমোনই রয়েছে।


স্কিম করার সময় ইস্ট্রোজেন চর্বির সাথে বাদ পড়ে যায়, দুধের সাথে তখন শুধু পুরুষের হরমোনটি থাকে। ১৮০০০ এর উপর মহিলাদের উপর চালানো একটি গবেষণায় দেখা গেছে, লো ফ্যাট এবং জিরো ফ্যাট দুধের ব্যবহার তাদের ফার্টিলিটি (প্রজনন ক্ষমতা) কমিয়ে দিয়েছে। যেখানে ফুল ফ্যাট বা তাজা দুধ ফার্টিলিটি বাড়ায়। 



কাজুবাদাম ভিটামিন “ই” এর সমৃদ্ধ উৎস। আর ভিটামিন “ই” একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন, যাকে “ফার্টিলিটি ভিটামিন” ও বলা হয়ে থাকে। কারণ, এটি প্রজননস্বাস্থ্য রক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 




মহিলাদের শরীরে হরমোন উৎপাদনকারী চর্বিতে দ্রবণীয় অন্যান্য ভিটামিন শোষণ করতে সাহায্য করে এই ভিটামিন “ই”।  যেসব পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যায় ভুগছেন, তাদেরকে ভিটামিন “ই” দ্বারা চিকিৎসা করে শুক্রাণুর পরিমাণ বৃদ্ধিতে কার্যকর ফলাফল পাওয়া গেছে...

মুরগীর মাংস নিয়াসিন(ভিটামিন B3)) এর একটি সমৃদ্ধ উৎস, যা কিনা যৌন হরমোন সংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 





নারী পুরুষ উভয়ের দেহেই উর্বরতা সমস্যার সাথে নিয়াসিন ঘাটতি জড়িত। কিন্তু প্রতি ৩ আউন্সে ১০.৬ মিলিগ্রাম নিয়াসিন পাওয়া যায়, যা প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ৭৫ শতাংশ বি৩ প্রদান করে।



ব্রাজিলিয়ান বাদাম সেলেনিয়ামএর গুঁড়িপূর্ণ থাকে, যা একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট খনিজ। এটি ডিম্বানু এবং শুক্রাণুর মধ্যকার ক্রোমজোমকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। 




সাধারণত গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে গর্ভপাত এবং জন্মত্রুটি সমূহের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ক্রোমজোমই দায়ী হয়ে থাকে। সেলেনিয়াম পুরুষের সুস্থ্য শুক্রাণু গঠণের জন্য অন্যতম একটি পুষ্টি উপাদান। গবেষণায় দেখা গেছে, সেলেনিয়ামের ঘাটতির জন্য শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়।






একটি জনস্বাস্থ্য বিষয়ক মার্কিন জার্নাল দ্বারা পরিচালিত গবেষণা দেখা গেছে, যারা সোডা বা কফি ত্যাগ করে চা গ্রহণ করেছে, তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।




ধারণা করা হচ্ছে, চা এবং প্রজনন ক্ষমতার মধ্যে একটি যোগসুত্র হিসাবে হাইপোক্স্যান্থাইন (hypoxanthine) নামক জৈবরাসায়নিক যৌগ কাজ করে। আর চায়ের মধ্যে এটি বিদ্যমান আর এই ফলিকুলার (follicularতরলটি ডিম্বানু পরিষ্ফুটনের আগে পরিপক্কতা পেতে সাহায্য করে।


এটি সত্যি অবিশ্বাস্য মনে হবে, যখন জানবেন যে ডিম আপনাকে এমন পুষ্টি ও দিচ্ছে, যা আপনার প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। 




শুধুমাত্র একটি ডিম আপনার দৈনন্দিন চাহিদার খুব বড় একটা অংশ, তথা ১০ শতাংশ আয়রন ও জিঙ্ক প্রদান করে, পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন “বি” এবং প্রাত্যহিক চাহিদা অনুযায়ী ভিটামিন “এ” এর ১৬ শতাংশ প্রদান করে। আর ভিটামিন “এ” একটি চর্বিতে দ্রবণীয় ভিটামিন, যা প্রজনন হরমোন পুনরোৎপাদনে সাহায্য করে।

শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য জরুরী ৭টি খাবার- Seven foods for beautiful skin

ত্বক ভালো রাখতে বাজারে নানান রকম প্রসাধনী পাওয়া যায় এর মধ্যে কোনটা রঙ ফর্সা করার জন্য, আবার কোনটা ত্বক সজীব রাখার জন্য। আসলে প্রসাধনীর চেয়েও ত্বকের জন্য বেশি জরুরী হলো ভেতরের পুষ্টি ত্বক যদি ভেতর থেকে পুষ্টি না পায়, তাহলে হাজার রকম প্রসাধনী ব্যবহার করলেও ত্বককে নির্জীব দেখাবে। আর তাই, এমন কিছু খাবারের কথা বলব, যেগুলো ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টির যোগান দেয়। আর আপনি পেয়ে যাবেন সুন্দর ত্বক।


)মাছ
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী, আর তাই, মাছের কথা দিয়েই শুরু করছি।



ওমেগা ফ্যাট সমৃদ্ধ মাছ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাছ ত্বকের কোষ সজীব রাখে এবং ত্বককে ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা মাছ না খেয়ে সেদ্ধ, গ্রিল করা অথবা সেঁকা তেলে ভাজা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।



)পানি
প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি বা পানি যুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিত। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। 




পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষ সজীব হয়ে ওঠে এবং ত্বকও প্রাণবন্ত দেখায়। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে যায়।



)গাজর
প্রতিদিন একটি করে গাজর আপনার ত্বক রাখবে সজীব উজ্জ্বল। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন তে পরিণত হয়। 


গাজর ত্বকের টিস্যু গুলোকে মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মির  হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কাঁচা অথবা রান্না, দুভাবেই গাজর খেতে পারেন



)ফল-মূল
নিয়মিত ফলমূল খেলে ত্বক ভালো থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল ফলাদি ত্বকের সজীবতার জন্য জরুরী। 



পেয়ারাআনারসপেঁপেনানান রকম বেরি জাতীয় ফল ইত্যাদি ফল ত্বককে ভালো রাখে এবং 
সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।


)বাদাম
বাদাম ভিটামিন এর একটি অন্যতম উৎস। সালাদে, রান্নায় অথবা স্নাক্স হিসাবে বাদাম খেতে পারেন প্রতিদিন। ভারতের আন্দ্রা প্রদেশের অধিবাসীদেরকে দেখেছি, বাদাম ওদের নিয়মিত খাবারের প্রধান অংশ।



নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম রাখলে এর ভিটামিন  ত্বককে আরো সজীব  মোহনীয় করে তুলবে।


)কুমড়ার বিচি

অনেকেই হয়তো জানেন না যে কুমড়া রান্না করার আগে আমরা যেই বিচি
গুলো ফেলে দেই, সেগুলো অত্যন্ত উপকারী এবং ত্বকের জন্য ভালো। আরবদের প্রিয় একটা খাবার এই কুমড়ার বিচি। আমরা যেমন কোথাও বসে চিনাবাদাম খেতে পছন্দ করি, আরবরা তেমনি বিভিন্ন জাতের বা পদের বিচি খেতে খুবই পছন্দ করে, যার মধ্যে কুমড়ার বিচি একটি। মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। তাই নিয়মিত কুমড়ার বিচি খেতে পারলে ত্বক থাকবে সজীব প্রাণবন্ত। 



কুমড়ার বীজ কড়াইয়ে হালকা ভাজি করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।



)ব্রোকলী
ব্রোকলীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ভিটামিন সি ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়। 


ভিটামিন  সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে কিছুটা হলেও রক্ষা করে।


ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য নির্ভর করে ভেতরের সুস্থতার উপর। ত্বক ভেতর থেকে স্বাস্থ্যবান না হলে গাদা গাদা প্রসাধনী ব্যবহার করেও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যাবে না। তাই যেসকল খাবার সমূহ ত্বকের জন্য ভাল, সেগুলো নিয়মিত খান এবং প্রচুর পানি পান করুন। তাহলে আপনার ত্বক কোনো রকমের প্রসাধনী ছাড়াই হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাবন্যময়।