আজ একটা ভিন্নধর্মী লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রসঙ্গ হল উদ্যোক্তা, তরুণ উদ্যোক্তা।
হ্যাঁ, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মেলাতে, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে, যে মহান ব্যক্তি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলার জনগণের সত্যিকারের স্বাধীনতার প্রবক্তা। ড. মুহাম্মদ রফিকুল আমীনের যোগ্য কমান্ডার হিসাবে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির বার্তা নিয়ে, শুষ্ক মরুতে বসন্তের আগমনী ধ্বনি নিয়ে এগিয়ে আসেন এক তরুণ। যার নাম মহিন উদ্দীন খান মানিক। যিনি প্রায় ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রাণপ্রিয়
'মানিক স্যার'। যার উদ্যোগে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর মত একটি যুগোপযোগী আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠান, কুয়েত প্রবাসী হতাশাগ্রস্ত, দূর্দশায় জর্জরিত বাংলাদেশীদের মধ্যে একটি আশার আলো হয়ে পথ দেখানোর সুযোগ পায়।
আর দশজনের মতো তিনিও ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর উদ্যেশ্য নিয়ে কুয়েতে আসেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, আর বুদ্ধির দীপ্ততায় কুয়েতে তিনি ভাল পজিশন তৈরি করতে সক্ষম হন। যা উপার্জন করতেন, তাতে খুব সন্তষ্টই ছিলেন। কিন্তু নিজে সুখী হলে কি হবে, অন্যান্য দেশীয় ভাইয়ের কষ্ট দেখে তিনি মানসিক ভাবে, সত্যিকারের সুখী হতে পারেননি। কিন্তু লাখো প্রবাসীর দূর্দশাকে তিনি একা কিভাবে দূর করতে পারেন!

এই সকল ভাবনা তাঁর সকল সুস্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে লাগল। আর এমনি সময়ে, দেশে ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে পেলেন ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর খোঁজ। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব ড. মুহাম্মদ রফিকুল আমীন সাহেবের সুপরিকল্পিত দিকনির্দেশনা, আর সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কোম্পানির যুগপোযোগিতা, আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তাঁকে মুগ্ধ করল। আর তিনি বুঝতে পারলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের বিরাট অংশ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রবাসীদের দূর্দিন দূর করতে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর বিকল্প আর হয় না।
কিন্তু, যেখানে অধিকাংশ মানুষ স্বল্প বেতন সহ অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে তিনি কিভাবে এটি শুরু করবেন! কে করবে একটু সহযোগিতা! এ চিন্তা বেশিদিন আর করা লাগল না। এগিয়ে এলেন তাঁরই সুযোগ্য ভাই, মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন খান, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বেলায়েত হোসেন সহ আরো অনেকে, যারা এখন ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর সম্মানিত পিএসডি/কামিং ডায়মন্ড। যাহোক, অনেক বাঁধা-বিপত্তি, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবেই এই বর্তমান অবস্থান। ২৫০০০ হতাশা আর বিশাদগ্রস্ত প্রবাসীকে সুস্বপ্ন দেখিয়ে, সুন্দর,ভদ্র ও মার্জিত উপায়ে অর্থোপার্জন করে, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হবার পথ উম্মোচন করেন। যারা হতাশায় দূর্দশায় জর্জরিত হয়ে স্বপ্ন দেখতে ভূলে গিয়েছিল, তারা নতুন করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখতে লাগল।
মহিন উদ্দীন খান মানিক, টেট্রা পিএসডি, যিনি চারটা সেন্টার থেকে পিএসডি পদ অর্জন করেন। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ডায়মন্ড পদটি অর্জন করে, প্রবাসীদের মুখ উজ্জ্বল করবেন, ইনশাল্লাহ।