ত্বক ভালো রাখতে বাজারে নানান রকম প্রসাধনী পাওয়া যায়। এর মধ্যে কোনটা রঙ ফর্সা করার জন্য, আবার কোনটা ত্বক সজীব রাখার জন্য। আসলে প্রসাধনীর চেয়েও ত্বকের জন্য বেশি জরুরী হলো ভেতরের পুষ্টি। ত্বক যদি ভেতর থেকে পুষ্টি না পায়, তাহলে হাজার রকম প্রসাধনী ব্যবহার করলেও ত্বককে নির্জীব দেখাবে। আর তাই, এমন কিছু খাবারের কথা বলব, যেগুলো ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টির যোগান দেয়। আর আপনি পেয়ে যাবেন সুন্দর ত্বক।
১)মাছ
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী, আর তাই, মাছের কথা দিয়েই শুরু করছি।
৭)ব্রোকলী
ব্রোকলীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ভিটামিন সি ও ই ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়।
১)মাছ
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী, আর তাই, মাছের কথা দিয়েই শুরু করছি।
ওমেগা ৩ ফ্যাট সমৃদ্ধ মাছ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাছ ত্বকের কোষ সজীব রাখে এবং ত্বককে ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা মাছ না খেয়ে সেদ্ধ, গ্রিল করা অথবা সেঁকা তেলে ভাজা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২)পানি
প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি বা পানি যুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিত। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়।
পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষ সজীব হয়ে ওঠে এবং ত্বকও প্রাণবন্ত দেখায়। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে যায়।
৩)গাজর
প্রতিদিন একটি করে গাজর আপনার ত্বক রাখবে সজীব ও উজ্জ্বল। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়।
প্রতিদিন একটি করে গাজর আপনার ত্বক রাখবে সজীব ও উজ্জ্বল। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন এ তে পরিণত হয়।
গাজর ত্বকের টিস্যু গুলোকে মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কাঁচা অথবা রান্না, দুভাবেই গাজর খেতে পারেন।
৪)ফল-মূল
নিয়মিত ফলমূল খেলে ত্বক ভালো থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল ফলাদি ত্বকের সজীবতার জন্য জরুরী।
পেয়ারা, আনারস, পেঁপে, নানান রকম বেরি জাতীয় ফল ইত্যাদি ফল ত্বককে ভালো রাখে এবং
সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
৫)বাদাম
বাদাম ভিটামিন ই এর একটি অন্যতম উৎস। সালাদে, রান্নায় অথবা স্নাক্স হিসাবে বাদাম খেতে পারেন প্রতিদিন। ভারতের আন্দ্রা প্রদেশের অধিবাসীদেরকে দেখেছি, বাদাম ওদের নিয়মিত খাবারের প্রধান অংশ।
নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম রাখলে এর ভিটামিন ই ত্বককে আরো সজীব ও মোহনীয় করে তুলবে।
৬)কুমড়ার বিচি
অনেকেই হয়তো জানেন না যে কুমড়া রান্না করার আগে আমরা যেই বিচি
গুলো ফেলে দেই, সেগুলো অত্যন্ত উপকারী এবং ত্বকের জন্য ভালো। আরবদের প্রিয় একটা খাবার এই কুমড়ার বিচি। আমরা যেমন কোথাও বসে চিনাবাদাম খেতে পছন্দ করি, আরবরা তেমনি বিভিন্ন জাতের বা পদের বিচি খেতে খুবই পছন্দ করে, যার মধ্যে কুমড়ার বিচি একটি। মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। তাই নিয়মিত কুমড়ার বিচি খেতে পারলে ত্বক থাকবে সজীব ও প্রাণবন্ত।
কুমড়ার বীজ কড়াইয়ে হালকা ভাজি করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।
ব্রোকলীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ই এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ভিটামিন সি ও ই ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়।
ভিটামিন ই সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে কিছুটা হলেও রক্ষা করে।
ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য নির্ভর করে ভেতরের সুস্থতার উপর। ত্বক ভেতর থেকে স্বাস্থ্যবান না হলে গাদা গাদা প্রসাধনী ব্যবহার করেও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যাবে না। তাই যেসকল খাবার সমূহ ত্বকের জন্য ভাল, সেগুলো নিয়মিত খান এবং প্রচুর পানি পান করুন। তাহলে আপনার ত্বক কোনো রকমের প্রসাধনী ছাড়াই হয়ে উঠবে উজ্জ্বল ও লাবন্যময়।