শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫


ছবিটা দেখুন তো, কি মনে হয়?


জানি, এক বাটি ডিম ভাঁজি ছাড়া কি আর বোঝা যাবে।

আসুন দেখি, কাহিনী টা বলি।
একটা ডিম ফ্রাই করা হলো। তার অর্ধেকটা নাস্তার জন্য রেখে বাকি অর্ধেক আলাদা করে ফ্রীজে রেখে দেয়া হলো। এখন নাস্তার অংশ থেকে অর্ধেকটা দিয়ে আটজনে চাপাতি খেল। তার মানে মোট অংশের এক চতুর্থাংশ নিয়ে আসা হলো অফিসে আমাদের জন্য। আর আমরা এগারো জনে চাপাতি খেলাম। (আমি দুইবার)
জানি বিশ্বাস হতে চাইবে না। শিরোনাম দেখে একটু ধারণা হয়ে থাকতে পারে। তবে এই কথা কাউকে শুনাতে গেলে শুনতে হয়েছে অন্য আরেকটি গল্প।
এক মহিলার চিৎকার শুনে আরেকজন এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? মহিলা বলল, তার ভাষায় –“ আর শুনিসনে লো বু। আগের হাটে (৫/৬দিন আগে) এক ছটাক ত্যাল আনিছে। সারা সপ্তা রান্দিছি, বাড়ির সগলি গায় মাথায় মাখে বারেন্দার কুনায় রাখে গিছি। কোন ভরাপড়া আসে গবগব করে ঢালে নিয়ে তো গেছেই, এরপর আবার দ্যাখ খানা পয্যন্ত বায়ে গেছে।“
জানি, যাদের ধারণা নেই, তারা এমন কোন উদাহরণ দিয়ে আমার গল্পটাকে অবাস্তব গল্প হিসাবে দাঁড় করাবে। যা হোক, বাস্তব প্রমাণ দিয়ে দেই, আর যারা উটপাখির ডিম দেখেননি, তাদের জন্য একটা বোনাস সুযোগ। বাস্তবে না হোক, ছবিতে তো।


মাঝখানের ব্যাক্তিটি ডিমটি এনেছিলেন। আর আমি তো ছবি তোলার জন্য সদা প্রস্তত। পাশের দুজন বুঝতে পেরে দ্রুত পোজ নিয়ে নিলেন। ব্যস ...
এতোবড় ডিম আমিও এই প্রথম দেখলাম। বুঝলাম, উটপাখির ডিম। ডিমটির ওজন ছিল ২.৩ কেজি।




ডিম যিনি এনেছেন, তারও একটা ডিম হাতে ছবি নিলাম।
ডিমটি প্রথমে তারা সাধারণ কিচেন নাইফ দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। না পেরে বড় চামচ দিয়ে। ব্যর্থ হয়ে শেষ মেশ হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গেছিলেন।

এবার উটপাখির ছবি দেখুন।


সাইজ বোঝাতে উটপাখির প্রতিযোগিতার একটি ছবিও দিলাম।


ছবিদুটি নেট থেকে নেয়া হয়েছে।




জনাব ইসমাইল হোসেন সাহেব, ছবির জন্য পোজ দিলেন।

বাস্তবে অনেক সাধারণ জিনিষই আমরা দেখতে পাইনা। যারা আগে দেখেননি, তারা দেখলেই আমি ধন্য।
ধন্যবাদ... ওই ভাইকে, নামটা মনে আসছে না। তার বদৌলতে এটি শুধু দেখাই নয়, খাওয়াও হলো। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে তার সকল নিয়ামাত দেখার, উপভোগ করার তাউফিক দিন। আমীন...

বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৫

মধুকরের আসা যাওয়া...

সুন্দর দৃশ্য দেখলে সবারই মন জুড়িয়ে যায়, ভাল লাগে। আর ক্যামেরাবন্দী করতে মন চায়। আর ডিজিটাল ক্যামেরা আসাতে মনের আশা পূরণ কতই না সহজ হয়েছে। আর স্মার্টফোন এসে শুধু এই আশা পূরণই নয়, দৃশ্যগুলো কাছে দূরে তথা বিশ্বব্যাপী সবার সামনে তুলে ধরা হাজার গুন সহজ করে দিয়েছে।
তেমনি একটি ছোট্ট প্রয়াস এটি...
নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদের সামনে ফুলগুলো দেখে ছবি তোলার জন্য মনটা আঁকুপাঁকু করতে লাগল।



তুলে ফেললাম বেশ কয়েকটা ছবি।


ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে দেখি মধুকর এসেছে। যেন পোজ নিল ফুলে বসবার, মধু খাবার এবং ফুল ছেড়ে চলে যাবার।


এভাবে ফ্রেমবন্দী করতে পারব ভাবিনি কখনো। 


সত্যিই খুশি খুশি লাগছে।


মৌমাছিটা চলে গেল, কিন্তু ও কি জানে, সে ইতিহাস হয়ে বেঁচে থাকবে ব্লগের পাতায়! 



শেষ মেশ ফুলটার একটা ক্লোজআপ শর্ট নিলাম।
ফুলটার পরিচয় কি জানিনা। তবে জানার আগ্রহ যে নেই, তা কিন্তু নয়। তবে জানতে পারলে আপনাদেরকেও জানাব ইনশা আল্লাহ্‌। এই ব্লগের পাতায়।