শনিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৩

ত্বকের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য জরুরী ৭টি খাবার- Seven foods for beautiful skin

ত্বক ভালো রাখতে বাজারে নানান রকম প্রসাধনী পাওয়া যায় এর মধ্যে কোনটা রঙ ফর্সা করার জন্য, আবার কোনটা ত্বক সজীব রাখার জন্য। আসলে প্রসাধনীর চেয়েও ত্বকের জন্য বেশি জরুরী হলো ভেতরের পুষ্টি ত্বক যদি ভেতর থেকে পুষ্টি না পায়, তাহলে হাজার রকম প্রসাধনী ব্যবহার করলেও ত্বককে নির্জীব দেখাবে। আর তাই, এমন কিছু খাবারের কথা বলব, যেগুলো ত্বককে ভেতর থেকে পুষ্টির যোগান দেয়। আর আপনি পেয়ে যাবেন সুন্দর ত্বক।


)মাছ
আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী, আর তাই, মাছের কথা দিয়েই শুরু করছি।



ওমেগা ফ্যাট সমৃদ্ধ মাছ ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মাছ ত্বকের কোষ সজীব রাখে এবং ত্বককে ক্যান্সারের থেকে রক্ষা করে। তবে অতিরিক্ত তেল দিয়ে ভাজা মাছ না খেয়ে সেদ্ধ, গ্রিল করা অথবা সেঁকা তেলে ভাজা মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন।



)পানি
প্রতিদিন অন্তত দেড় থেকে দুই লিটার পানি বা পানি যুক্ত খাদ্য খাওয়া উচিত। পানি শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান ঘামের মাধ্যমে বের করে দেয়। 




পর্যাপ্ত পানি পেলে ত্বকের কোষ সজীব হয়ে ওঠে এবং ত্বকও প্রাণবন্ত দেখায়। পরিমিত পানি খেলে ব্রণের উপদ্রবও কমে যায়।



)গাজর
প্রতিদিন একটি করে গাজর আপনার ত্বক রাখবে সজীব উজ্জ্বল। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন আছে যা শরীরে গিয়ে ভিটামিন তে পরিণত হয়। 


গাজর ত্বকের টিস্যু গুলোকে মেরামত করে এবং ক্ষতিকর সূর্য রশ্মির  হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সহায়তা করে। কাঁচা অথবা রান্না, দুভাবেই গাজর খেতে পারেন



)ফল-মূল
নিয়মিত ফলমূল খেলে ত্বক ভালো থাকে। বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফল ফলাদি ত্বকের সজীবতার জন্য জরুরী। 



পেয়ারাআনারসপেঁপেনানান রকম বেরি জাতীয় ফল ইত্যাদি ফল ত্বককে ভালো রাখে এবং 
সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।


)বাদাম
বাদাম ভিটামিন এর একটি অন্যতম উৎস। সালাদে, রান্নায় অথবা স্নাক্স হিসাবে বাদাম খেতে পারেন প্রতিদিন। ভারতের আন্দ্রা প্রদেশের অধিবাসীদেরকে দেখেছি, বাদাম ওদের নিয়মিত খাবারের প্রধান অংশ।



নিয়মিত খাবারের তালিকায় বাদাম রাখলে এর ভিটামিন  ত্বককে আরো সজীব  মোহনীয় করে তুলবে।


)কুমড়ার বিচি

অনেকেই হয়তো জানেন না যে কুমড়া রান্না করার আগে আমরা যেই বিচি
গুলো ফেলে দেই, সেগুলো অত্যন্ত উপকারী এবং ত্বকের জন্য ভালো। আরবদের প্রিয় একটা খাবার এই কুমড়ার বিচি। আমরা যেমন কোথাও বসে চিনাবাদাম খেতে পছন্দ করি, আরবরা তেমনি বিভিন্ন জাতের বা পদের বিচি খেতে খুবই পছন্দ করে, যার মধ্যে কুমড়ার বিচি একটি। মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে। জিঙ্ক ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব করে এবং ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায়। তাই নিয়মিত কুমড়ার বিচি খেতে পারলে ত্বক থাকবে সজীব প্রাণবন্ত। 



কুমড়ার বীজ কড়াইয়ে হালকা ভাজি করে খোসা ছাড়িয়ে খেতে পারেন।



)ব্রোকলী
ব্রোকলীতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। ভিটামিন সি ত্বকে গভীর থেকে পুষ্টি যোগায়। 


ভিটামিন  সূর্যের অতি বেগুনী রশ্মির ক্ষতি থেকে ত্বককে কিছুটা হলেও রক্ষা করে।


ত্বকের বাহ্যিক সৌন্দর্য নির্ভর করে ভেতরের সুস্থতার উপর। ত্বক ভেতর থেকে স্বাস্থ্যবান না হলে গাদা গাদা প্রসাধনী ব্যবহার করেও সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা যাবে না। তাই যেসকল খাবার সমূহ ত্বকের জন্য ভাল, সেগুলো নিয়মিত খান এবং প্রচুর পানি পান করুন। তাহলে আপনার ত্বক কোনো রকমের প্রসাধনী ছাড়াই হয়ে উঠবে উজ্জ্বল লাবন্যময়।

শুক্রবার, ৯ আগস্ট, ২০১৩

আমার দেখা কুয়েত - Journey in Kuwait

ভ্রমণ, শুনলেই খুব ভালো লাগা এবং উৎসাহ কাজ করে। নতুন জায়গা, নতুন জিনিষ। একটা ভাবনাই আলাদা, তবে ভালো লাগা ভাবনা। দিন গুনতে গুনতে শেষের দিনগুলি যেন যেতেই চায় না। এবার, আমার কিছু ভ্রমণ নিয়ে লেখা। এখানে ছবি সহ পোস্ট করছি। আসলে ভ্রমণ কাহিনী পড়তেও খুব ভালো লাগে। আর অজানাকে জানার আগ্রহই এর কারণ। আর তাই, প্রচুর ছবি দিয়ে পোস্ট টি সমৃদ্ধ করব ইনশাল্লাহ।


শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৩

বর্নালি জুম চাষ (Bornali zum)

বর্নালি জুম। কেমন যেন একটা লাগছে। জুম চাষের কথা শোনেনি এমন ক'জন আছে? তবে এটি একটু ভিন্ন। জুম চাষ করা হয় পাহাড়ে। আর এটি করতে হবে অভাবে।

অভাবে! এটি আবার কেমন কথা! হ্যাঁ, অভাবে, জায়গার অভাবে। যাদের নিজস্ব প্রচুর জায়গা নেই। শহরের বাড়িতে হয়ত ছাদে একটু জায়গা। তারাই, সামান্য জায়গা থেকে সহজে প্রয়োজনীয় শাক সব্জির চাহিদা মেটাতে পারেন এই বর্নালি জুম পদ্ধতিতে।

বর্নালি জুম কেন করবেন? বাজারে আমরা যে সকল শাক সব্জি পাই, তাতে প্রিজারভেটিভ, কীটনাশক প্রভৃতির ভয় থাকে। দামের কথা রেখেই দিলাম। এছাড়াও, নিজের জন্মানো শাক সব্জি খাবার মজাই আলাদা। এর একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি আছে।

হ্যাঁ, চাষ করতে হলে তো অবশ্যই জায়গা লাগবে। নিজের চাহিদা মেটাতে যে জায়গার দরকার, তা আপনার আয়ত্বের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু আয়ত্বের মধ্যে সবার তো জায়গা থাকে না। কারো এমনিতেই জায়গার অভাব, কারো জায়গা আছে, কিন্তু শহরে নেই। তবে কি নিজের হাতের শাক সব্জি খেতে পারবে না?

হ্যাঁ, কেন নয়? বাড়িতে স্বল্প পরিমাণ যতটুকু জায়গা আছে, অথবা ছাদে আমরা চাহিদা মত শাক, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, লাল শাক, স্ট্রবেরি, টমেটো ইত্যাদি সবই চাষ করতে পারি। আর যে পদ্ধতিতে এটা করতে হবে, তার নামই হল বর্নালি জুম পদ্ধতি।

বর্নালি জুম-
জুম চাষের কথা আমরা সবাই জানি, পাহাড়ের অধিবাসীরা পাহাড়ের ঢালু জমিতে একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলায়, যার নাম জুম চাষ। আমাদের আজকের বর্নালি জুম ও তেমনি একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলানোর পথ বলবে।

আপনারা সকলেই টবে চাষ সম্বন্ধে জানেন। অনেকের বাড়িতে বা ছাদে ফলের গাছ আছে। কমছে কম ফুলের টব তো আছেই। তবে এটি একটু আলাদা। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ টি টব, (বেশিও করা যায়), যা একটির উপর একটি সাজানো। প্রত্যেক টবেই চাষ করা যায়।



এবার আসুন, কেমন টব ব্যবহার করতে হবে, সেকথায় আসা যাক। বর্নালি জুমে আসলে বিশেষ ধরণের টব ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচটি টবই ভিন্ন সাইজের। তবে গড়ন একই। প্রথম টব, যেটি সবচেয়ে বড়, তার ব্যস ৩ ফিট। উপরে ৩ ফিট, নিচে ২ ফিট। উচ্চতা ১ ফুট। আর একদম উপরের টবটির ব্যস ১.৫ ফিট। সবগুলোর উচ্চতাই ১ ফুট।
এখানে আবার ৪টি ১ ফুট উচ্চতা এবং ১ ফুট ব্যস বিশিষ্ট পাইপ ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো টবগুলোর মাঝখানে বসাতে হবে। এতে আমাদের মাটির পরিমাণ কম লাগবে। তবে উপরের, অর্থ্যাৎ ৪ নম্বর পাইপের মাথা বন্ধ রাখতে হবে। কারণ, উপরের টবটি ছোট, তাই এটিতে ফাঁকা রাখা লাগবেনা।


পাইপ

টবের মধ্যভাগে পাইপটি রাখতে হবে

এভাবে একটার উপর একটা পাইপ রাখাতে মাঝখানে অনেক জায়গা ফাঁকা থাকবে।
এতে করে মাটি কম লাগবে। ছাদের উপর ওজন বাড়বে না।

তবে, উপরের পাইপটি একমুখ বন্ধ অথবা কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কারণ, উপরের টবের মাঝে খালি রাখার দরকার নেই।

আমাদের জুম টব প্রস্তুত হয়ে গেল। তবে হ্যাঁ, প্রথমে বড় টবটিকে পছন্দ মত জায়গায় বসিয়ে মাঝখানে পাইপ বসাতে হবে। এরপর দোআঁশ মাটি দিয়ে টবটি এক ইঞ্চি খালি রেখে পূর্ণ করতে হবে। এবার দ্বিতীয় টব ও পাইপটিও একই ভাবে বসাতে হবে। চতুর্থ পাইপটির উপরিভাগ বন্ধ করার কথা মনে রাখতে হবে। আর একমুখ বন্ধ পাইপ হলে তো চিন্তাই নেই। পঞ্চম টবটি মাটি দিয়ে ভরার পর জুম প্রস্তুত।

কি কি চাষ করা সম্ভব? গুল্ম জাতিয় সকল প্রকার শাক বা সব্জিই উৎপাদন করা সম্ভব। একটি জুমে আপনি একই প্রকার চাষ করতে পারেন। তবে যদি এক এক অংশে আলাদা আলাদা ফসল ফলান, যেমন নিচে স্ট্রবেরি, এরপর লালশাক, পালংশাক, পুদিনা এমনি করে চাষ করেন, তাহলে জুমটি বর্নিল হয়ে একটা সৌন্দর্যের বস্তু হয়ে দাঁড়াবে। আর আসলে এজন্যেই এর নামকরণ করা হয়েছে বর্নালি জুম চাষ।

তবে দেরি কেন? আজই শুরু করুন। এবং নিজের উৎপাদিত শাক সব্জি, নো কীটনাশক, নো প্রিজারভেটিভ।
দাওয়াত দিলে খারাপ হয়না। তবে, সৃষ্টিকর্তার জন্য শুকরিয়া আদায় করবেন, যিনি এ সকল জ্ঞান মানুষ কে দিয়েছেন।



~

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৩

ভিনেগারের অবিশ্বাস্য ব্যবহারসমূহ - Incredible uses of vinegar

ভিনেগার, বা সিরকা। একটি টক জাতিয়, এবং খাবার কাজে ব্যবহার যোগ্য তরল পদার্থ। আর একথাটি প্রায় সবারই জানার কথা। আজ এর কিছু অবিশ্বাস্য ব্যবহারের কথা তুলে ধরছি। আশা করি আপনিও যথেষ্ট উপকৃত হবেন।


হেয়ার কন্ডিশনার হিসাবেঃ-

আপনি আপনার প্রিয় ব্র্যান্ডের কন্ডিশনারের পেছনে না ছুটে চমৎকার প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা সম্পন্ন চুল পেতে পারেন। হ্যাঁ, ভিনেগার কথাই বলছি। অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহারের পরই বুঝতে পারবেন, এটি কত বড় দক্ষ হেয়ার কন্ডিশনার। ডাই ন্যাচারাল হাউজহোল্ড ক্লিনারস এর সহ রচয়িতা বেটসি জ্যাবস তাঁর স্বামীর সাথে একমত হয়ে এই সাজেশন দিয়েছেন।

ব্যবহার বিধি- এক টেবিল চামচ ভিনেগার এক কাপ পানির সাথে স্প্রে বোতলে নিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর আপনার ভেজা চুলে স্প্রে করুন। ভালো ম্যাসেজ করুন। এরপর ২/১ মিনিট অপেক্ষা। শুকিয়ে যেতে দিন। হ্যাঁ, আপনার চুল হবে মসৃণ, রেশমি। তবে ভিনেগারের কোন গন্ধই পাবেন না।






পিঁপড়ার আক্রমণ ঠেকাতেঃ-



বসন্ত এবং গ্রীষ্ম কালে প্রায়ই বসতবাড়িতে পিঁপড়ার আক্রমণ হতে দেখা যায়। এরা খাবার জিনিষ, বিশেষ করে মরিচ, আটা সহ অন্যান্য খাবার জিনিষ নষ্ট করে, যেখানে পিঁপড়ার স্প্রে বা স্পিরিট ব্যবহার করা সম্ভব নয়। মাকু মুশকিল, (no problem) ভিনেগার আছেনা? সাদা ভিনেগার আপনাকে রেহায় দেবে। পিঁপড়াদের চলাচলের পথ, ফাটল, পাত্র রাখার জায়গা এবং এর আশপাশে এটি স্প্রে করে দিন। ব্যস। হয়ে গেল। এবার নিশ্চিন্তে কাজে মন দিন।





আটকে যাওয়া ড্রেইন খোলাঃ-

পরিবেশবিদ এলিজাবেথ রোজার্স পানি আটকে যাওয়া ড্রেইনের জন্য একটি সস্তা, বিষমুক্ত সমাধান দিয়েছেন। তিনি ড্রেইনের মধ্যে এক কাপ বেকিং সোডা ফেলে দেন। এরপর এর পেছনে লেলিয়ে দেন এক কাপ সাদা ভিনেগার। চমৎকার! পাঁচ মিনিটের মধ্যেই এদের দুইয়ের জাদুকরী ক্ষমতায় আপনার ড্রেইন ক্লিয়ার! ফাইনালি, তিনি অবশ্য আট কাপ আধা ফুটন্ত পানি ফ্ল্যাশ করে ড্রেইন পরিষ্কার করতেন।





রং ওঠা এবং গুলে গিয়ে অন্য কাপড়কে নষ্ট করা থেকে বাঁচতেঃ-







কখনও কখনও, এমনকি আপনি যদি উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙয়ের কাপড়কে আলাদাও করেন, তবুও কোন নতুন কাপড়ের রং গুলে গিয়ে কোন হালকা বর্ণের জিন্সের কাপড়কে খারাপ বা ছোপ দাগ ফেলতে পারে। এটাকে প্রতিরোধ করতে আধোয়া কাপড়গুলোকে ৫০/৫০ অনুপাতে পানি এবং সাদা ভিনেগারে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর, অন্যান্য রঙ্গিন কাপড়ের সাথেই এগুলোকে ধুয়ে ফেলুন। (ভিনেগার কাপড়কে ভবিষ্যতের রং গুলে যাওয়াকেও বন্ধ করতে পারে, যদিও এটা ১০০ ভাগ কটনের জন্য প্রযোজ্য।)






আপনার কর্মস্থলের কাপড় রিফ্রেশ করুনঃ-

আর্দ্রতা নিরোধক আণ্ডারওয়্যার বা খেলার পোশাক তীব্র ঘামের সময় হয়ত ঘাম শুষে নিতে পারে, তবে ধোয়ার পরেও ভয়াবহ দুর্গন্ধ থাকতে পারে। ডোন্না স্মেলিন, "দ্য ওয়ান মিনিট ক্লিনার প্লেইন অ্যান্ড সিম্পল" এর লেখিকা বলেছেন, যদি এই দুর্গন্ধ আপনি না চান, তাহলে কাপড় গুলোকে পুনরায় ওয়াশিং মেশিনে দিন এবং এক কাপ সাদা ভিনেগার মেশান। এক পাক ঘুরান। এরপর আধা কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে আরেক পাক। সাধারণভাবে ধুয়ে শুকিয়ে ফেলুন। চমৎকার ফলাফল!


ফলকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত করুনঃ-





আপনি নিজের পরিবারের জন্য বা কোন পার্টিতে, অথবা আপনি প্রফেশনাল কুক হিসাবে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত ফল ফলাদি পরিবেশন করতে চান। তবে কি ব্যাকটেরিয়া নাশক সাবান, বা স্যাভলন/ডেটল দিয়ে ফল ধুবেন!? তাহলে? না, চিন্তার কোন কারণ নেই। ভিনেগার এখানে বিজয়ী হবে। একটি স্প্রে বোতলে তিন কাপ পানির সাথে এক কাপ সাদা ভিনেগার মেশান। টমেটো, আপেল, তথা মসৃণ ত্বকের ফল, অন্যান্য ফল বা সব্জিতে ৬ বার স্প্রে করুন। পরিবেশনের আগে ধুয়ে নিন। ব্যাকটেরিয়া? শূন্যের কোঠায়।




গন্ধ দূর করতেঃ-





আপনি রান্নাঘর থেকে ভাজা মাছের গন্ধটা দূর করতে চাচ্ছেন, এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করেছেন। কিন্তু মাছ ভাজা গন্ধটা যাচ্ছেই না। কিছুই নয়, সামান্য একটা ট্রিক খাটান। একটা পাত্রে কিছুটা সাদা ভিনেগার ঢেলে রান্নাঘরে রেখে আসুন। রাতারাতি ওটা রান্নার গন্ধটা শোষণ করে নেবে।



আগাছা দমনেঃ-





আপনি যদি ফল বা শাকসবজি ফলান, আর তা খাবারের উদ্দেশ্যে না হলেও নিশ্চয় বাগানে কীটনাশক ব্যবহার করতে চাইবেন না। শুধুই ভিনেগার (কোনকিছু মেশানো ছাড়াই) আগাছার উপর স্প্রে করুন। এর অম্লতা ছোট বড় সব আগাছাই মেরে ফেলবে। (আগাছা বেশি বড় হলে শেকড় খুঁজে উপড়ে ফেলতে হতে পারে)।




জেলিফিশ এর কাঁটার আঘাত হতে রেহায়ঃ-

অধিকাংশ জেলিফিশের কাঁটার আঘাতই ক্ষতিকর নয়, কিন্তু যদি এমনটি হয়ে পড়ে? যন্ত্রণা আপনার সৈকতে ঘোরার আনন্দের বারোটা বাজিয়ে দেবে। তবে হ্যাঁ, ডঃ অজ এর দ্রুত পরিত্রাণ পাবার পদ্ধতি আপনাকে আবার আনন্দময় করে দেবে। একটা পাত্রে ভিনেগার নিন এবং আপনার আক্রান্ত এরিয়া ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। ভিনেগারের এসিটিক এসিড, আপনার চামড়ার মধ্যে জেলিফিশের ফুটে থাকা কাঁটাগুলোকে অনবরত বিষ ছাড়ার কাজে বাঁধা দেবে। আর আপনিও পরিত্রাণ পাবেন । (তবে ডঃ অজ বলেছেন, যাদের এলার্জির সমস্যা আছে, বা রিউমেটিক ফেবার আছে, তাদেরকে জরুরী চিকিৎসা দিতে হবে।)




 সব্জির তরতাজা ভাব ফিরিয়ে আনতেঃ-





সাদা ভিনেগার লেটুসের তরতাজা অবস্থা ফিরিয়ে আনতে জাদুকরী ক্ষমতা রাখে। এক গামলা ভিনেগার মেশানো ঠাণ্ডা পানিতে ১০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর এগুলোকে ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি লেটুস পাতা সালাদে দিতে চান, এটা সালাদ স্পিনারের মাধ্যমে শুকিয়ে নিন। (ভেজা পাতায় সস ধরবে না)।ভিন্ন স্বাদের জন্যে ভিন্ন ভিন্ন ভিনেগার মেশানো যেতে পারে।
কাঁচের পাত্র সমূহের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতেঃ-






আপনার শোকেস এ রাখা কাঁচ পাত্রে হালকা ধুলোর একটা স্তর পড়ে উজ্জ্বলতা নষ্ট করেছে? চকচকে পরিষ্কার করার জন্য আপনি কি করবেন? হ্যাঁ, তিন ভাগ পানিতে এক ভাগ ভিনেগার মেশান, দুই এক ফোঁটা ডিশ ওয়াশিং লিকুইড মেশান, এবং জিনিসগুলি ভেজান। এরপর গরম পানিতে ধুয়ে সুতী কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন। নতুনের মতো উজ্জ্বল চকচকে হয়ে গেছে!








খড়খড়ি (blinds) পরিষ্কার করতেঃ-






কাঠ, ধাতু বা প্লাস্টিকের পর্দা তো ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ধুলোমুক্ত করা যায়। কিন্তু ধুলোর স্তর যদি বসে গিয়ে নোংরা শক্ত আবরণ তৈরি করে? একটি পুরোন (পরিষ্কার) মোজা হাতে পরে নিন। ভিনেগারে ডুবিয়ে মুছে নিন। খুব সহজেই নোংরা আবরণ দূর হয়ে যাবে।


আশা করি। সবাই উপকৃত হবেন।
ধন্যবাদ।

শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

সত্যিকারের স্পাইডার ম্যান, আলাইন রবার্ট - The real 'Spiderman' Alain Robert

রাস্তার শত শত মানুষ দৃশ্যটি উপভোগ করছিল, আর বলছিল, ফ্রান্সের স্পাইডার ম্যান, আলাইন রবার্ট। যিনি কোনকিছু ছাড়াই 'ল্যান্ডমার্ক হাবানা লিব্রে হোটেল' বাহিরের দিক দিয়ে বেয়ে উঠছিলেন। তার ভাষায়, এটা কোন শক্ত কাজ নয়।

নিম্নে ১২ টি ছবিসহ তার মাকড়ামির কিছু খবর দেয়া হল।





আলাইন রবার্ট, ফ্রান্স নিবাসী। যিনি মানুষের কাছে "মাকড়মানব" বা স্পাইডার ম্যান নামে পরিচিত। ছবিতে হাবানা লিব্রে হোটেল এ বেয়ে উঠছেন। তারিখ, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩।
সুত্রঃ রয়টার্স/র‍্যামোন এস্পিনোসা/পূল










ফ্রেন্স আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব বা স্পাইডারম্যান হিসাবে পরিচিত, হাবানা লিব্রে হোটেল বেয়ে উঠছেন। এটি ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারীখে হাভানা থেকে তোলা। মাকড়মানব রবার্ট, যিনি  বিশ্বের প্রায় সকল আকাশচুম্বী ভবনে কোনপ্রকার সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই বাহির দিক দিয়ে বেয়ে উঠেছেন। তিনি সফলতার সাথে ১২৬ মিটার, তথা ৪১৩ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট হোটেলে আরোহন করেন। 
সুত্রঃ- রয়টার্স/ডেসমন্ড বয়লান



মাকড়মানব বা স্পাইডারম্যান, ফ্রেন্স আলাইন রবার্ট, হাভানার হাবানা লিব্রে হোটেলের বাহির দিক দিয়ে বেয়ে উঠছেন। যা ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারীখে হাভানা থেকে তোলা। মাকড়মানব রবার্ট, যিনি  বিশ্বের প্রায় সকল আকাশচুম্বী ভবনে কোনপ্রকার সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই বাহির দিক দিয়ে বেয়ে উঠেছেন। তিনি সফলতার সাথে ১২৬ মিটার, তথা ৪১৩ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট হোটেলে আরোহন করেন। 
সুত্রঃ- রয়টার্স/ডেসমন্ড বয়লান






দুরন্ত ডানপিটে ফরাসি ভবনারোহী আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব, মানে স্পাইডারম্যান হিসাবে পরিচিত,  হাভানার হাবানা লিব্রে হোটেলের বাহির দিক দিয়ে, ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে বেয়ে উঠছেন। রবার্ট হোটেলটির ২২ তলা, যা কিনা ৭০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট, মাত্র ২৮ মিনিটে  আরোহন করেন। তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম ১০০ 'র ও বেশি টাওয়ারে উঠেছেন, যার মধ্যে আছে দুবাইয়ের ৮২৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট 'বুরজ আল খলিফা', কুয়ালালামপুরের 'পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার', ইউনাইটেড স্টেটসের চিকাগোর 'সিয়ার্স টাওয়ার, এবং চায়নার সাংহাই এ অবস্থিত ৮৮ তলা বিশিষ্ট  'জিন মাও ভবন'।
- এএফপি ফটো












দুরন্ত ডানপিটে ফরাসি ভবনারোহী আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব, মানে স্পাইডারম্যান হিসাবে পরিচিত,  হাভানার হাবানা লিব্রে হোটেলের বাহির দিক দিয়ে, ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে বেয়ে উঠার সময়ে সবাইকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।









মাকড়মানব, সিনেমার মাকড়মানবের মতো হাত দিয়ে সূতা বের হয়না, তিনি সূতা বা রশি ব্যবহার ও করেন না। তবে হাত ফস্কে যেন না যায়, তাই হাতে খড়িমাটি লাগিয়ে নিচ্ছেন। আর কোন কিছু ছাড়াই তিনি ১২৬ মিটার বা ৪১৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হোটেলটিতে সফল ভাবেই আরোহণ করেন।












আর কারো কি হয় জানিনা, আমার তো পিলে (প্লীহা) চমকে যাবে। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি প্রায় ছাদের কিনারে পৌঁছে গেছেন।





ওয়াও! মাকড়মানব। সাবাস! অবশেষে ছাদে উঠে গিয়ে বিজয়ীর বেশে কিউবান পতাকা উড়াচ্ছেন। সত্যিকারের এই মাকড়মানব/স্পাইডারম্যান দেখিয়ে দিলেন, ইচ্ছা শক্তি এবং সাহস দিয়ে কি না হয়! মানুষ ইচ্ছা করলে অসাধ্যকে সাধ্য করতে পারে, আলাইন তার বাস্তব উদাহরণ।







বিজয়ীর বেশে আলাইন রবার্ট।











আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব।
















হোটেলের নিচে কৌতূহলী দর্শক ছবি তুলছে।














সত্যিকারের মাকড়মানব, দ্যা স্পাইডারম্যানকে এখানে নিজ চোখে একনজর দেখার জন্য জনতার ভিড়।







বুক ভরা সাহস আর তার সঠিক ব্যবহার আপনাকে করে তুলতে পারে জনপ্রিয়।