সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০১৫

করলা ভাজি

আজ আমি একটি ভিন্ন তরিকার রান্না শেখাব। এক সপ্তাহের করলা ভাজি।
জানি, উল্টা পাল্টা লাগছে। তবে আমার মত যারা ব্যাস্ত, একা এবং প্রবাসী, (সর্বোপরি অলস), তাদের জন্য খাসা এক রান্না।

প্যাচাল ছেড়ে আসুন, কাটাকাটি শুরু করি।
 হ্যা, করলা গুলো আগে পানিতে ভিজিয়ে রাখতে ভুলবেন না। ফরমালিন তাড়াতে সহজ পথ এটি। মরিচের বোটা ফেলে পানিতে ভেজান। পঞ্চাশ গ্রাম রসূন নিন। ধুয়ে টুকরো করুন। ব্লেন্ডার না থাকলে একটা স্টিলের গ্লাসে নিন। মরিচ গুলোকেও ধুয়ে টুকরো করে রসূনের সাথে রাখুন।

করলা গুলোকে পাতলা করে চাক চাক করে কেটে গরম তেলে ছেড়ে দিন। আর হ্যা, তেল কম খাবেন।

এখন পেঁয়াজেরর পালা। দু'মুখ কেটে খোসা ছড়িয়ে মাঝখানে ফেড়ে পানিতে রাখুন, চোখ জ্বলবে না। পেঁয়াজ পাতলা করে কুচি করুন। সাথে করলা নাড়তে ভুলবেন না। আর লবণ, পরিমাণ মতো দিয়ে দিন।



কাজের মাঝে রসূন মরিচগুলো ছেঁচে রাখুন। করলা যখন নরম হয়ে আসবে, তখন এগুলো দিয়ে দিন।


হলুদ না দিলে সবুজ হবে। আপনি নিজেই নির্বাচন করবেন, কেমন খাবেন। পেঁয়াজ গুলো ঢেলে নাড়ুন।


নাড়ুন। হ্যা,  করলা পেঁয়াজ থেকে বেশি ভাজা হবে। নামিয়ে ফেলুন না। এক সপ্তাহ ধরে খেতে হবে তো।

মনে রাখবেন, তরকারি ফ্রিজে রাখবেন না। স্বাদ - গুনাগুন ঠিক রাখতে এমনিতেই রাখুন। দিনে একবার গরম করলেই ভাল থাকবে।

তেল মসলা কম খান। একদম সাধারণ খান। দেখবেন, ভাল আছেন।


রবিবার, ২২ মার্চ, ২০১৫

তুঁত ফল

তুঁত (ইংরেজিMulberry) গাছের দুই প্রজাতির বৈজ্ঞানিক নাম যথাক্রমে Morus nigraএবংMorus rubra। তুঁত গাছের পাতা রেশম গুটি পোকার প্রিয় খাদ্য। এর ফল রসাল এবং সুস্বাদু হলেও বাংলাদেশে ফলের জন্য চাষ করা হয় না। তবে আফগানিস্তান, উত্তর ও দক্ষিণ ভারত প্রভৃতি স্থানে তুঁত ফল হিসাবে চাষ করা হয়।



তুঁত গাছ পাতা ঝরা প্রকৃতির ছোট ধরনের বৃক্ষ। পাতা ডিম্বাকার, খসখসে, পাতার প্রান্তভাগ করাতের মত খাঁজ কাটা এবং অগ্রভাগ সূঁচাল। 


 তুঁত একটি গুচ্ছ ফল, অনেকগুলো ক্ষুদ্র ফল মিলে একটি ফল তৈরি করে, ফল বেরী জাতীয়। বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি-মার্চ মৌসুমে তুঁত গাছে প্রচুর ফুল আসে এবং ফল পাকে মার্চ-এপ্রিলে।


কাঁচা ফলের রং সবুজ, আধাপাকা ফল হালকা পিংক, কিন্তু পাকলে টকটকে লাল এবং সম্পূর্ণ পাকলে কালচে রং ধারণ করে। যখন গাছে প্রচুর পরিমাণে কাঁচা পাকা ফল থাকে, তখন তা এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য তৈরি করে।


এদেশে সাধারণত শাখা কলম বা শীতকালে ছাঁটাই করা ডাল মাটিতে পুঁতে নতুন গাছ তৈরি করা হয়। তবে বীজ দিয়েও চারা তৈরি করা যায়। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি তুঁত চাষ করা হয় রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে
তুতেঁর লালচে কালো ফল খুবই রসালো, নরম, মিষ্টি টক ও সুস্বাদু। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা তুঁত ফল উপকারী। এ ছাড়া পাকা ফলের টক-মিষ্টি রস বায়ু ও পিত্তনাশক, দাহনাশক, কফনাশক ও জ্বরনাশক। তুঁত গাছের ছাল ও শিকড়ের রস কৃমিনাশক। পাকা লালচে কালো বা কালচে ফলের প্রজাতি। এদের গাছও তুলনামুলকভাবে খাটো। Morus alba প্রজাতির তুঁত ফল সাদা বর্ণের, পাকলে হয় হালকা গোলাপী সাদা। এ ফল টক নয়, স্বাদে খুব মিষ্টি ও সরালো। মূলত এ প্রজাতির তুঁত ফলের জন্য চাষ করা হয়। পাকা তুঁত ফলের রস থেকে জ্যাম, জেলি ও স্কোয়াশ বা পানীয় তৈরি করা যায়।

দেশীটেক বিজ্ঞান ক্লাব

এইমাত্র, অর্থাৎ ২২/২/১৫, ০:৩০ মিনিটে একটি সিদ্ধান্ত নিলাম।
একটি বিজ্ঞান ক্লাব খুলব। আমাদের কোম্পানির নামের সাথে মিলিয়ে নাম রাখতে চাই
"দেশীটেক বিজ্ঞান ক্লাব"। যা ইংরেজীতে "Deshitech Science Club".



শ্রদ্ধেয় রুহুল আমীন স্যারকে সভাপতি করে রাকিবুল ইসলাম রিয়াজকে প্রস্তাব দিব।

হয়তো প্রশ্ন আসবে, নবকিশোরের কি হবে?
হ্যা, ওটা আমাদের প্রথম ও প্রধান ক্লাব ছিল। কিন্তু ভারতে এনামে ক্লাব আছে।
শিঘ্রই নিতীমালা প্রণয়ন করা হবে ইনশা আল্লাহ।

শনিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৫


ছবিটা দেখুন তো, কি মনে হয়?


জানি, এক বাটি ডিম ভাঁজি ছাড়া কি আর বোঝা যাবে।

আসুন দেখি, কাহিনী টা বলি।
একটা ডিম ফ্রাই করা হলো। তার অর্ধেকটা নাস্তার জন্য রেখে বাকি অর্ধেক আলাদা করে ফ্রীজে রেখে দেয়া হলো। এখন নাস্তার অংশ থেকে অর্ধেকটা দিয়ে আটজনে চাপাতি খেল। তার মানে মোট অংশের এক চতুর্থাংশ নিয়ে আসা হলো অফিসে আমাদের জন্য। আর আমরা এগারো জনে চাপাতি খেলাম। (আমি দুইবার)
জানি বিশ্বাস হতে চাইবে না। শিরোনাম দেখে একটু ধারণা হয়ে থাকতে পারে। তবে এই কথা কাউকে শুনাতে গেলে শুনতে হয়েছে অন্য আরেকটি গল্প।
এক মহিলার চিৎকার শুনে আরেকজন এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে? মহিলা বলল, তার ভাষায় –“ আর শুনিসনে লো বু। আগের হাটে (৫/৬দিন আগে) এক ছটাক ত্যাল আনিছে। সারা সপ্তা রান্দিছি, বাড়ির সগলি গায় মাথায় মাখে বারেন্দার কুনায় রাখে গিছি। কোন ভরাপড়া আসে গবগব করে ঢালে নিয়ে তো গেছেই, এরপর আবার দ্যাখ খানা পয্যন্ত বায়ে গেছে।“
জানি, যাদের ধারণা নেই, তারা এমন কোন উদাহরণ দিয়ে আমার গল্পটাকে অবাস্তব গল্প হিসাবে দাঁড় করাবে। যা হোক, বাস্তব প্রমাণ দিয়ে দেই, আর যারা উটপাখির ডিম দেখেননি, তাদের জন্য একটা বোনাস সুযোগ। বাস্তবে না হোক, ছবিতে তো।


মাঝখানের ব্যাক্তিটি ডিমটি এনেছিলেন। আর আমি তো ছবি তোলার জন্য সদা প্রস্তত। পাশের দুজন বুঝতে পেরে দ্রুত পোজ নিয়ে নিলেন। ব্যস ...
এতোবড় ডিম আমিও এই প্রথম দেখলাম। বুঝলাম, উটপাখির ডিম। ডিমটির ওজন ছিল ২.৩ কেজি।




ডিম যিনি এনেছেন, তারও একটা ডিম হাতে ছবি নিলাম।
ডিমটি প্রথমে তারা সাধারণ কিচেন নাইফ দিয়ে ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। না পেরে বড় চামচ দিয়ে। ব্যর্থ হয়ে শেষ মেশ হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গেছিলেন।

এবার উটপাখির ছবি দেখুন।


সাইজ বোঝাতে উটপাখির প্রতিযোগিতার একটি ছবিও দিলাম।


ছবিদুটি নেট থেকে নেয়া হয়েছে।




জনাব ইসমাইল হোসেন সাহেব, ছবির জন্য পোজ দিলেন।

বাস্তবে অনেক সাধারণ জিনিষই আমরা দেখতে পাইনা। যারা আগে দেখেননি, তারা দেখলেই আমি ধন্য।
ধন্যবাদ... ওই ভাইকে, নামটা মনে আসছে না। তার বদৌলতে এটি শুধু দেখাই নয়, খাওয়াও হলো। আল্লাহ্‌ আমাদেরকে তার সকল নিয়ামাত দেখার, উপভোগ করার তাউফিক দিন। আমীন...

বৃহস্পতিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৫

মধুকরের আসা যাওয়া...

সুন্দর দৃশ্য দেখলে সবারই মন জুড়িয়ে যায়, ভাল লাগে। আর ক্যামেরাবন্দী করতে মন চায়। আর ডিজিটাল ক্যামেরা আসাতে মনের আশা পূরণ কতই না সহজ হয়েছে। আর স্মার্টফোন এসে শুধু এই আশা পূরণই নয়, দৃশ্যগুলো কাছে দূরে তথা বিশ্বব্যাপী সবার সামনে তুলে ধরা হাজার গুন সহজ করে দিয়েছে।
তেমনি একটি ছোট্ট প্রয়াস এটি...
নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদের সামনে ফুলগুলো দেখে ছবি তোলার জন্য মনটা আঁকুপাঁকু করতে লাগল।



তুলে ফেললাম বেশ কয়েকটা ছবি।


ফুলের ছবি তুলতে গিয়ে দেখি মধুকর এসেছে। যেন পোজ নিল ফুলে বসবার, মধু খাবার এবং ফুল ছেড়ে চলে যাবার।


এভাবে ফ্রেমবন্দী করতে পারব ভাবিনি কখনো। 


সত্যিই খুশি খুশি লাগছে।


মৌমাছিটা চলে গেল, কিন্তু ও কি জানে, সে ইতিহাস হয়ে বেঁচে থাকবে ব্লগের পাতায়! 



শেষ মেশ ফুলটার একটা ক্লোজআপ শর্ট নিলাম।
ফুলটার পরিচয় কি জানিনা। তবে জানার আগ্রহ যে নেই, তা কিন্তু নয়। তবে জানতে পারলে আপনাদেরকেও জানাব ইনশা আল্লাহ্‌। এই ব্লগের পাতায়।