বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

বায়োফিল্টার

বায়োফিল্টার এমন একটা ফিল্টারিং, যেখানে কোন বিষাক্ত বর্জ্যকে প্রাকৃতিক কায়দায় নির্বিষ করা হয়।
যদিওবা এই পদ্ধতি কারখানার বর্জ্য বা পৌর-বর্জ্য সহ, বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্যকে নির্বিষ করার কাজে হয়। তবে এখন আমরা আলোচনা করবো RAS এর এমোনিয়া (NH3) ফিল্টারিং এ বায়োফিল্টারিং নিয়ে। তবে খুব সংক্ষিপ্ত।

খুব সোজা জিনিষটা। কিভাবে? হ্যা বলছি।
পৃথিবীতে যত রকম বিষাক্ততা তৈরি হয়, দুর্ঘটনাক্রমে, বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বা নিত্যপ্রয়োজনে, যেভাবেই হোক, সেই বিষাক্ত বর্জ্যকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্নভাবে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্যাক্টেরিয়া সেগুলো থেকে আহার গ্রহণ করে, বংশ বৃদ্ধি করে। আর খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই বিক্রিয়ার মাধ্যমে  যে জৈবিক সংশ্লেষণ ঘটে। তাতে বিষাক্ত অনু ভেঙ্গে অবিষাক্ত একাধিক অনু তৈরি হয়। এভাবে সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখেন।

যাহোক RAS এ মাছ টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এমোনিয়া দুর করতেই হবে। কারণ মাছের বর্জ্য থেকে প্রচুর এমোনিয়া তৈরি হয়। আর এটি পানিতে দ্রবণীয় জীবননাশী নাইট্রোজেন বিষ। এই এমোনিয়া (NH3) কে নাইট্রোসোমোনাস নামক ব্যাক্টেরিয়া অক্সিডাইজড করে নাইট্রাইট (NO2-) এ পরিণত করে। এটাও কিন্তু জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্তক বিষাক্ত। এবার? হ্যা, এরপর আছে আরেক টিম। নাইট্রোব্যাক্টার নামক ব্যাক্টেরিয়া। এরা আরেকটু অক্সিডাইজড করে নাইট্রেট (NO3) এ পরিণত করে। এখানে একটি গ্রাফ দেখুন-


আর নাইট্রেট  (>২০০মিলিগ্রাম/লিটার) মাত্রা পর্যন্ত  RAS এর জন্য ক্ষতিকারক নয়। হয়ে গেলো।

RAS এ বায়োফিল্টারিং এর জন্য কিভাবে কি করবেন?
নাইট্রোসোমোনাস এবং নাইট্রোব্যাক্টার এর জন্য বাড়ি করে দিবেন। 😊
রস করছি না। ব্যাক্টেরিয়াদের জন্য কলোনি করার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে এই ব্যাক্টেরিয়া সমূহ বসবাস সহ বিস্তার লাভ করবে। এমোনিয়া সমৃদ্ধ পানি যখন এই কলোনি সমূহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে, তখন উপরোল্লেখিত  প্রক্রিয়া সমূহ সংগঠিত হতে থাকবে। এবং ...


ব্যাক্টেরিয়ার বাড়ি তৈরিতে যে উপাদান ব্যবহৃত হয়, তার নাম বায়োমিডিয়া
এখানে DIY বায়োমিডিয়া দেখতে পাচ্ছেন। এমনি কোন জিনিষ হলেই হবে। বিভিন্ন দেশে রেডিমেড বায়োমিডিয়া পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি।


আমাদের ব্যবহৃত বায়োমিডিয়া।

তৈরি করুন। কাজে লাগান। কাজ দেবে। অন্যান্য হেল্প এর জন্য যোগাযোগ করতে হলে ...
কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ।

ফিল্টারিং

হ্যা, ফিল্টারিং।
এমোনিয়া ফিল্টারিংএর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো একোয়াপনিক। এমোনিয়া ফিল্টারিং সহজই বলা যায়। তবে ময়লা ফিল্টার করতে গেলেই পড়তে হয় ঝামেলায়।
এখানে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য থিতানো এবং ছাকন পদ্ধতির একটি ডেমোর ছবি। ডেমো থেকে বুঝেছি, কার্যক্ষেত্রে আশানুরুপ কাজ দেবে।

 প্রথম স্তরে দিনের বেলা নিচে ৫/৬ ইঞ্চি ময়লা জমে। আর গ্যাসের কারণে পানির উপরে ১.৫/২ ইঞ্চি ময়লার স্তর। থিতানোর জন্য অত্যন্ত স্বল্প জায়গার কারণে দ্বিতীয় স্তরেও প্রচুর ময়লা জমেছে।


এখানে বায়ো ফিল্টার স্তরেও প্রচুর পরিমাণে ময়লা জমেছে। কারণ, ময়লাটা চেক দিতে  ১ম ও ২য় উভয় স্তর ফেল করছে।


উপর থেকে।


১ম স্তরে ভাসমান ময়লার স্তর প্রায় ১.৫ ইঞ্চি।


পানিতে প্রচুর ময়লা।


২য় স্তরে ময়লার পরিমাণ।


১ম স্তর থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন।


পণের টাকা গণা

ছবিটি দেখে হয়তো ভাববেন -
  1. সাগর বা বড় নদীতে রাত্রিকালীন মাছ ধরার দৃশ্য।
  2. নদীর পাড়ে মেলা বা হাটের দৃশ্য।
  3. মশাল হাতে মিছিলের দৃশ্য।
  4. স্টেডিয়ামে আতশবাজির প্রাথমিক দৃশ্যের কথাও ভাবতে পারেন অনেকে।
  5. আরও অনেক কিছু?


আসলে এখানে চলছে "পণের টাকা গণনার কাজ"।


বিয়ের পণ গণা


ছোটবেলায় রান্নাঘরে মায়ের পাশে বসে রান্না করা দেখেনি বা রান্নায় ব্যাপক সমস্যা(!) করেনি, এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। রান্নার সময়ে মাঝে মাঝে দেখা যেত পাতিলের তলায় ক্ষুদে ক্ষুদে আগুন জ্বলছে। ক্ষুদ্র একটা বিন্দু থেকে তা ছড়িয়ে যেতে থাকতো। যেন বিগ ব্যাঙের মতো ছড়াতে থাকতো। মাকে দেখালে বলতো, পণের টাকা গুনছে। পণ কি? বিয়েতে পাত্র পক্ষ কন্যা পক্ষকে যে টাকা দেয়।
বুঝতাম, ফালতু ধারণা। কোথায় কার বিয়ে, আমাদের রান্না ঘরের পাতিলের তলায় তার হিসাব নিকাশ!
এখন তো পণ প্রথা বাংলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ছেলে পক্ষ নিচ্ছে পণ(যৌতুক)। চেয়ে নেয়া ছাড়াও কন্যা পক্ষ মেয়ে-জামাইয়ের ঘর-গৃহস্থালির সব আয়োজনই করে দিচ্ছে।
যাহোক, পণের টাকা গণা দেখতে ভালোই লাগতো।
সুদীর্ঘ সময় পেরিয়ে আজকের এই সময়ে সেই পুরনো দৃশ্য দেখে ফিরে গেলাম সেই পৌণে তিন যুগ আগের দিনে। ছবিটা ক্যামেরাবন্দি করতে ভূল করিনি। তবে লিখতে গিয়ে মাকে ফোন করে একে কি যেন বলে তা শুনে নিয়েছি।

আসলে, পাতিলের তলায় যদি প্রচুর কার্বন (কালি) জমে যায়, তখন কার্বন আবার জ্বলতে থাকে। অতি ক্ষুদ্র আলোক বিন্দু গুলো দ্রুত ছড়াতে থাকে চারিদিকে। এরপর, সবকিছুর মতো এরাও নিশ্বেষ হয়ে যায়।

উপরের ছবিটা সামান্য এডিট করা। নিচে আসল ছবি দেয়া হলো।

কার্বন পোড়া
এটিকে সামান্য এডিট করা হয়েছিল 


সবশেষে, নিভে যাবার আগের মুহূর্তে