বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বনসাই

সম্পূর্ণ সুস্থ সবল গাছকে পূর্ণাঙ্গ বৃহৎ গাছের মতো চেহারা রেখে ঘরে টবে রাখা মতো ক্ষুদ্র আকৃতি করে রাখাকে বনসাই বলে। এটা একটা জীবন্ত শিল্প।

এখানে কিছু নমুনা দেয়া হলো।







































বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২০

কি হবে? যদি আপনি মাত্র চারটা বাদাম খান?

বাদাম একটি দুর্দান্ত খাবার। কারণ, এগুলি প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারে ভরপুর। এগুলি নিয়মিত খেলে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্থূলত্ব এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে বলে মনে করা হয়।
আর যদিওবা এগুলোর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে চর্বি রয়েছে, তবে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ধরণের, যা আসলে আপনার হার্টকে সুরক্ষা দেয়। তবুও, বাদামে বেশ কিছু ক্যালোরি থাকে, তাই এগুলি পরিমিতভাবে খাওয়াই ভালো।

এটি অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে যে প্রতিদিন কেবলমাত্র চারটি বাদাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। তবে এটি আসলেই সত্যি!

এক আউন্স পরিমাণ বাদামে আপনি পাবেন -
ফাইবার                    - ৩.৫  গ্রাম
প্রোটিন                     - ৬.০   গ্রাম
মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট    - ৯.০   গ্রাম

বাদাম প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও বাদামে রয়েছে, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্লাভিন, আয়রন, দস্তা এবং ফসফরাস। যদিও বা তা একটু কম পরিমাণে।

তাহলে বুঝতেই পারছেন।মাত্র চারটি বাদাম আপনার দেহের জন্য কী করতে পারে? আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে চারটি  বাদাম খান। আর নিন সাত সাতটি বেনিফিট।

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

বায়োফিল্টার

বায়োফিল্টার এমন একটা ফিল্টারিং, যেখানে কোন বিষাক্ত বর্জ্যকে প্রাকৃতিক কায়দায় নির্বিষ করা হয়।
যদিওবা এই পদ্ধতি কারখানার বর্জ্য বা পৌর-বর্জ্য সহ, বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্যকে নির্বিষ করার কাজে হয়। তবে এখন আমরা আলোচনা করবো RAS এর এমোনিয়া (NH3) ফিল্টারিং এ বায়োফিল্টারিং নিয়ে। তবে খুব সংক্ষিপ্ত।

খুব সোজা জিনিষটা। কিভাবে? হ্যা বলছি।
পৃথিবীতে যত রকম বিষাক্ততা তৈরি হয়, দুর্ঘটনাক্রমে, বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বা নিত্যপ্রয়োজনে, যেভাবেই হোক, সেই বিষাক্ত বর্জ্যকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্নভাবে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্যাক্টেরিয়া সেগুলো থেকে আহার গ্রহণ করে, বংশ বৃদ্ধি করে। আর খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই বিক্রিয়ার মাধ্যমে  যে জৈবিক সংশ্লেষণ ঘটে। তাতে বিষাক্ত অনু ভেঙ্গে অবিষাক্ত একাধিক অনু তৈরি হয়। এভাবে সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখেন।

যাহোক RAS এ মাছ টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এমোনিয়া দুর করতেই হবে। কারণ মাছের বর্জ্য থেকে প্রচুর এমোনিয়া তৈরি হয়। আর এটি পানিতে দ্রবণীয় জীবননাশী নাইট্রোজেন বিষ। এই এমোনিয়া (NH3) কে নাইট্রোসোমোনাস নামক ব্যাক্টেরিয়া অক্সিডাইজড করে নাইট্রাইট (NO2-) এ পরিণত করে। এটাও কিন্তু জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্তক বিষাক্ত। এবার? হ্যা, এরপর আছে আরেক টিম। নাইট্রোব্যাক্টার নামক ব্যাক্টেরিয়া। এরা আরেকটু অক্সিডাইজড করে নাইট্রেট (NO3) এ পরিণত করে। এখানে একটি গ্রাফ দেখুন-


আর নাইট্রেট  (>২০০মিলিগ্রাম/লিটার) মাত্রা পর্যন্ত  RAS এর জন্য ক্ষতিকারক নয়। হয়ে গেলো।

RAS এ বায়োফিল্টারিং এর জন্য কিভাবে কি করবেন?
নাইট্রোসোমোনাস এবং নাইট্রোব্যাক্টার এর জন্য বাড়ি করে দিবেন। 😊
রস করছি না। ব্যাক্টেরিয়াদের জন্য কলোনি করার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে এই ব্যাক্টেরিয়া সমূহ বসবাস সহ বিস্তার লাভ করবে। এমোনিয়া সমৃদ্ধ পানি যখন এই কলোনি সমূহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে, তখন উপরোল্লেখিত  প্রক্রিয়া সমূহ সংগঠিত হতে থাকবে। এবং ...


ব্যাক্টেরিয়ার বাড়ি তৈরিতে যে উপাদান ব্যবহৃত হয়, তার নাম বায়োমিডিয়া
এখানে DIY বায়োমিডিয়া দেখতে পাচ্ছেন। এমনি কোন জিনিষ হলেই হবে। বিভিন্ন দেশে রেডিমেড বায়োমিডিয়া পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি।


আমাদের ব্যবহৃত বায়োমিডিয়া।

তৈরি করুন। কাজে লাগান। কাজ দেবে। অন্যান্য হেল্প এর জন্য যোগাযোগ করতে হলে ...
কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ।

ফিল্টারিং

হ্যা, ফিল্টারিং।
এমোনিয়া ফিল্টারিংএর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো একোয়াপনিক। এমোনিয়া ফিল্টারিং সহজই বলা যায়। তবে ময়লা ফিল্টার করতে গেলেই পড়তে হয় ঝামেলায়।
এখানে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য থিতানো এবং ছাকন পদ্ধতির একটি ডেমোর ছবি। ডেমো থেকে বুঝেছি, কার্যক্ষেত্রে আশানুরুপ কাজ দেবে।

 প্রথম স্তরে দিনের বেলা নিচে ৫/৬ ইঞ্চি ময়লা জমে। আর গ্যাসের কারণে পানির উপরে ১.৫/২ ইঞ্চি ময়লার স্তর। থিতানোর জন্য অত্যন্ত স্বল্প জায়গার কারণে দ্বিতীয় স্তরেও প্রচুর ময়লা জমেছে।


এখানে বায়ো ফিল্টার স্তরেও প্রচুর পরিমাণে ময়লা জমেছে। কারণ, ময়লাটা চেক দিতে  ১ম ও ২য় উভয় স্তর ফেল করছে।


উপর থেকে।


১ম স্তরে ভাসমান ময়লার স্তর প্রায় ১.৫ ইঞ্চি।


পানিতে প্রচুর ময়লা।


২য় স্তরে ময়লার পরিমাণ।


১ম স্তর থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন।


পণের টাকা গণা

ছবিটি দেখে হয়তো ভাববেন -
  1. সাগর বা বড় নদীতে রাত্রিকালীন মাছ ধরার দৃশ্য।
  2. নদীর পাড়ে মেলা বা হাটের দৃশ্য।
  3. মশাল হাতে মিছিলের দৃশ্য।
  4. স্টেডিয়ামে আতশবাজির প্রাথমিক দৃশ্যের কথাও ভাবতে পারেন অনেকে।
  5. আরও অনেক কিছু?


আসলে এখানে চলছে "পণের টাকা গণনার কাজ"।


বিয়ের পণ গণা


ছোটবেলায় রান্নাঘরে মায়ের পাশে বসে রান্না করা দেখেনি বা রান্নায় ব্যাপক সমস্যা(!) করেনি, এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। রান্নার সময়ে মাঝে মাঝে দেখা যেত পাতিলের তলায় ক্ষুদে ক্ষুদে আগুন জ্বলছে। ক্ষুদ্র একটা বিন্দু থেকে তা ছড়িয়ে যেতে থাকতো। যেন বিগ ব্যাঙের মতো ছড়াতে থাকতো। মাকে দেখালে বলতো, পণের টাকা গুনছে। পণ কি? বিয়েতে পাত্র পক্ষ কন্যা পক্ষকে যে টাকা দেয়।
বুঝতাম, ফালতু ধারণা। কোথায় কার বিয়ে, আমাদের রান্না ঘরের পাতিলের তলায় তার হিসাব নিকাশ!
এখন তো পণ প্রথা বাংলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ছেলে পক্ষ নিচ্ছে পণ(যৌতুক)। চেয়ে নেয়া ছাড়াও কন্যা পক্ষ মেয়ে-জামাইয়ের ঘর-গৃহস্থালির সব আয়োজনই করে দিচ্ছে।
যাহোক, পণের টাকা গণা দেখতে ভালোই লাগতো।
সুদীর্ঘ সময় পেরিয়ে আজকের এই সময়ে সেই পুরনো দৃশ্য দেখে ফিরে গেলাম সেই পৌণে তিন যুগ আগের দিনে। ছবিটা ক্যামেরাবন্দি করতে ভূল করিনি। তবে লিখতে গিয়ে মাকে ফোন করে একে কি যেন বলে তা শুনে নিয়েছি।

আসলে, পাতিলের তলায় যদি প্রচুর কার্বন (কালি) জমে যায়, তখন কার্বন আবার জ্বলতে থাকে। অতি ক্ষুদ্র আলোক বিন্দু গুলো দ্রুত ছড়াতে থাকে চারিদিকে। এরপর, সবকিছুর মতো এরাও নিশ্বেষ হয়ে যায়।

উপরের ছবিটা সামান্য এডিট করা। নিচে আসল ছবি দেয়া হলো।

কার্বন পোড়া
এটিকে সামান্য এডিট করা হয়েছিল 


সবশেষে, নিভে যাবার আগের মুহূর্তে

মঙ্গলবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮

বৃহৎ আকৃতির ধূমকেতু 13,000 বছর আগে পৃথিবীতে স্বল্প সময়ের বরফ যুগের কারণ হতে পারে



বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন যে পৃথিবীর হাজার হাজার বছর পূর্বে একটি বিশাল ইভেন্টের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট পৃথিবীর বিবর্তনকে প্রভাবিত করেছে।

রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৭

অ্যাকোয়াপনিক (একোয়াপনিক) Aquaponic


আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ
অ্যাকোয়াপনিক/একোয়াপনিক (Aquaponic) একটি ইংরেজী শব্দ। যদিওবা এটি একক শব্দ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে, আসলে কিন্তু দুটি আলাদা শব্দ থেকে এসেছে। Aquaculture এবং Hydroponic দুটি আলাদা পদ্ধতি। একোয়াকালচার হলো পানিতে জন্মে এমন প্রাণীসমূহ  চৌবাচ্চা বা কোন বাক্সে পানি রেখে পোষা বা চাষ করা। সোজা কথা হলো একোরিয়াম। তবে চাষের ক্ষেত্রে তো আর এমন কাচের আধার ব্যবহৃত হয়না। আর হাইড্রোপনিক হলো পানিতে সব্জি জাতিয় ফসল ফলানো সিস্টেম। আর এই দুই সিস্টেমের সমন্বয়ে তৈরি হয়েছে একোয়াপনিক সিস্টেম।

একোয়াকালচার

হাইড্রোপনিকস


একোয়াকালচার
হাইড্রোপনিক
জায়গা স্বল্পতার জন্য বা আধুনিক সুবিধার জন্য মানুষ মাছের চাহিদা মেটাতে এই একোয়াকালচার সিস্টেম চালু করে। অল্প স্বল্প জমিতে (যেখানে পুকুর করা সম্ভব নয়) বা বাড়ির ছাদে চৌবাচ্চা তৈরি করে মাছ চাষ শুরু করে। অনেকগুলো সুবিধার সাথে বড় একটি অসুবিধা হলো পানি নষ্ট হয়ে যাওয়া। একোরিয়ামের পানি যদি নিয়মিত না পাল্টানো হয়, তাহলে মাছের বিষ্টা এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট জমে পরিবেশ বিষাক্ত হয়ে মাছ মারা যায়।...

«
»
«
»
«
»
«
»
«
একই কারণে ছাদে বা ঘরোয়া পরিবেশে মাটি
ছাড়া শুধু পানি ব্যবহার করে সব্জি চাষ করেও
অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যেখানে
মাটি থেকে বিভিন্ন সংক্রমণের পরিমাণ অনেক
কম থাকলেও পানিতে উদ্ভিদের খাদ্য হিসাবে
রাসায়নিক সার মেশাতে হয়। ফলন অনেক
ভালো হলেও পুরোপুরি অর্গানিক না হওয়ায়
মানুষের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়।


  
একোয়াকাচা হাড্রোনি             


ঠিক একারণে, একোয়াকালচার আর হাইড্রোপনিক দুই সিস্টেমকে একত্রিকরণ করা হয়, যা উপরের খুবই সাধারণ চার্ট হতে খুব সহজেই বোঝা যায়।

একোয়াপনিক 

একোরিয়াম বা খাঁচায় মাছ চাষ করলে জায়গা স্বল্পতা ও মাটির সংস্পর্শ না থাকায় মাছের উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য জমে খুব স্বল্প সময়েই বিষাক্ত এমোনিয়া তৈরি করে। এর ফলে মাছ মারা যায়। তাই নিয়মিত পানি বদলানো খুবই জরুরী। এদিকে হাইড্রোপনিক সিস্টেমের কথা তো বলেইছি। যেখানে কেমিক্যাল ব্যবহার করতে হয়। এখন, একোয়াকালচার আর হাইড্রোপনিক একত্রিত করেই হয়ে গেলো সকল সমস্যার সমাধান। আর নতুন এই সিস্টেমের নামই হলো একোয়াপনিক।

একোয়াপনিক 

একোয়াপনিক সিস্টেমে সামান্য খরচেই মাছ এবং সব্জি চাষ করা যায়। শুধু জায়গা স্বল্পতাই নয়, যারা কৃষি কাজে অভ্যস্ত নয়, বা মাঠে কাজ করতে পারেন না, তাদের জন্য এই পদ্ধতিতে মাছ এবং সব্জি চাষ করে পারিবারিক চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করাও সম্ভব। এই পদ্ধতিতে শুধুমাত্র মাছকে খাবার দিতে হয়, আর মাছের বর্জ্যসহ পানি সব্জিতে দিতে হয়। মাছের জন্য বিষাক্ত এমোনিয়া ব্যক্টেরিয়া দ্বারা ভেঙ্গে উদ্ভিদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় উপাদান তৈরি করে। ফলে সব্জিতে কোন ধরণের সারই প্রয়োগ করার প্রয়োজন পড়েনা। তার মানে, একোয়াপনিক সিস্টেমের চাষাবাদ বিভিন্ন দিক দিয়ে সাশ্রয়ী, এবং অরগানিক হবার কারণে ভীষণ উপকারীও বটে।

একোয়াপনিক 

আজ একোয়াপনিক সিস্টেম সম্বন্ধে জানানো হলো। সামনে বাংলাদেশে খুবই সহজে কিভাবে এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা যায়, তার আলোচনা হবে।

সবার সুস্থতা কামনা করে সামনের পোষ্টের আমন্ত্রণ জানিয়ে আপাতত বিদায় নিচ্ছি।