বর্নালি জুম। কেমন যেন একটা লাগছে। জুম চাষের কথা শোনেনি এমন ক'জন আছে? তবে এটি একটু ভিন্ন। জুম চাষ করা হয় পাহাড়ে। আর এটি করতে হবে অভাবে।
অভাবে! এটি আবার কেমন কথা! হ্যাঁ, অভাবে, জায়গার অভাবে। যাদের নিজস্ব প্রচুর জায়গা নেই। শহরের বাড়িতে হয়ত ছাদে একটু জায়গা। তারাই, সামান্য জায়গা থেকে সহজে প্রয়োজনীয় শাক সব্জির চাহিদা মেটাতে পারেন এই বর্নালি জুম পদ্ধতিতে।
বর্নালি জুম কেন করবেন? বাজারে আমরা যে সকল শাক সব্জি পাই, তাতে প্রিজারভেটিভ, কীটনাশক প্রভৃতির ভয় থাকে। দামের কথা রেখেই দিলাম। এছাড়াও, নিজের জন্মানো শাক সব্জি খাবার মজাই আলাদা। এর একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি আছে।
হ্যাঁ, চাষ করতে হলে তো অবশ্যই জায়গা লাগবে। নিজের চাহিদা মেটাতে যে জায়গার দরকার, তা আপনার আয়ত্বের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু আয়ত্বের মধ্যে সবার তো জায়গা থাকে না। কারো এমনিতেই জায়গার অভাব, কারো জায়গা আছে, কিন্তু শহরে নেই। তবে কি নিজের হাতের শাক সব্জি খেতে পারবে না?
হ্যাঁ, কেন নয়? বাড়িতে স্বল্প পরিমাণ যতটুকু জায়গা আছে, অথবা ছাদে আমরা চাহিদা মত শাক, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, লাল শাক, স্ট্রবেরি, টমেটো ইত্যাদি সবই চাষ করতে পারি। আর যে পদ্ধতিতে এটা করতে হবে, তার নামই হল বর্নালি জুম পদ্ধতি।
বর্নালি জুম-
জুম চাষের কথা আমরা সবাই জানি, পাহাড়ের অধিবাসীরা পাহাড়ের ঢালু জমিতে একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলায়, যার নাম জুম চাষ। আমাদের আজকের বর্নালি জুম ও তেমনি একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলানোর পথ বলবে।
আপনারা সকলেই টবে চাষ সম্বন্ধে জানেন। অনেকের বাড়িতে বা ছাদে ফলের গাছ আছে। কমছে কম ফুলের টব তো আছেই। তবে এটি একটু আলাদা। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ টি টব, (বেশিও করা যায়), যা একটির উপর একটি সাজানো। প্রত্যেক টবেই চাষ করা যায়।
এবার আসুন, কেমন টব ব্যবহার করতে হবে, সেকথায় আসা যাক। বর্নালি জুমে আসলে বিশেষ ধরণের টব ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচটি টবই ভিন্ন সাইজের। তবে গড়ন একই। প্রথম টব, যেটি সবচেয়ে বড়, তার ব্যস ৩ ফিট। উপরে ৩ ফিট, নিচে ২ ফিট। উচ্চতা ১ ফুট। আর একদম উপরের টবটির ব্যস ১.৫ ফিট। সবগুলোর উচ্চতাই ১ ফুট।
এখানে আবার ৪টি ১ ফুট উচ্চতা এবং ১ ফুট ব্যস বিশিষ্ট পাইপ ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো টবগুলোর মাঝখানে বসাতে হবে। এতে আমাদের মাটির পরিমাণ কম লাগবে। তবে উপরের, অর্থ্যাৎ ৪ নম্বর পাইপের মাথা বন্ধ রাখতে হবে। কারণ, উপরের টবটি ছোট, তাই এটিতে ফাঁকা রাখা লাগবেনা।
~
অভাবে! এটি আবার কেমন কথা! হ্যাঁ, অভাবে, জায়গার অভাবে। যাদের নিজস্ব প্রচুর জায়গা নেই। শহরের বাড়িতে হয়ত ছাদে একটু জায়গা। তারাই, সামান্য জায়গা থেকে সহজে প্রয়োজনীয় শাক সব্জির চাহিদা মেটাতে পারেন এই বর্নালি জুম পদ্ধতিতে।
বর্নালি জুম কেন করবেন? বাজারে আমরা যে সকল শাক সব্জি পাই, তাতে প্রিজারভেটিভ, কীটনাশক প্রভৃতির ভয় থাকে। দামের কথা রেখেই দিলাম। এছাড়াও, নিজের জন্মানো শাক সব্জি খাবার মজাই আলাদা। এর একটা আলাদা আত্মতৃপ্তি আছে।
হ্যাঁ, চাষ করতে হলে তো অবশ্যই জায়গা লাগবে। নিজের চাহিদা মেটাতে যে জায়গার দরকার, তা আপনার আয়ত্বের মধ্যে থাকতে হবে। কিন্তু আয়ত্বের মধ্যে সবার তো জায়গা থাকে না। কারো এমনিতেই জায়গার অভাব, কারো জায়গা আছে, কিন্তু শহরে নেই। তবে কি নিজের হাতের শাক সব্জি খেতে পারবে না?
হ্যাঁ, কেন নয়? বাড়িতে স্বল্প পরিমাণ যতটুকু জায়গা আছে, অথবা ছাদে আমরা চাহিদা মত শাক, পুদিনা পাতা, ধনে পাতা, লাল শাক, স্ট্রবেরি, টমেটো ইত্যাদি সবই চাষ করতে পারি। আর যে পদ্ধতিতে এটা করতে হবে, তার নামই হল বর্নালি জুম পদ্ধতি।
বর্নালি জুম-
জুম চাষের কথা আমরা সবাই জানি, পাহাড়ের অধিবাসীরা পাহাড়ের ঢালু জমিতে একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলায়, যার নাম জুম চাষ। আমাদের আজকের বর্নালি জুম ও তেমনি একই জায়গায় কয়েক প্রকার ফসল ফলানোর পথ বলবে।
আপনারা সকলেই টবে চাষ সম্বন্ধে জানেন। অনেকের বাড়িতে বা ছাদে ফলের গাছ আছে। কমছে কম ফুলের টব তো আছেই। তবে এটি একটু আলাদা। এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ৫ টি টব, (বেশিও করা যায়), যা একটির উপর একটি সাজানো। প্রত্যেক টবেই চাষ করা যায়।
এবার আসুন, কেমন টব ব্যবহার করতে হবে, সেকথায় আসা যাক। বর্নালি জুমে আসলে বিশেষ ধরণের টব ব্যবহার করা হয়েছে। পাঁচটি টবই ভিন্ন সাইজের। তবে গড়ন একই। প্রথম টব, যেটি সবচেয়ে বড়, তার ব্যস ৩ ফিট। উপরে ৩ ফিট, নিচে ২ ফিট। উচ্চতা ১ ফুট। আর একদম উপরের টবটির ব্যস ১.৫ ফিট। সবগুলোর উচ্চতাই ১ ফুট।
এখানে আবার ৪টি ১ ফুট উচ্চতা এবং ১ ফুট ব্যস বিশিষ্ট পাইপ ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো টবগুলোর মাঝখানে বসাতে হবে। এতে আমাদের মাটির পরিমাণ কম লাগবে। তবে উপরের, অর্থ্যাৎ ৪ নম্বর পাইপের মাথা বন্ধ রাখতে হবে। কারণ, উপরের টবটি ছোট, তাই এটিতে ফাঁকা রাখা লাগবেনা।
পাইপ
টবের মধ্যভাগে পাইপটি রাখতে হবে
এভাবে একটার উপর একটা পাইপ রাখাতে মাঝখানে অনেক জায়গা ফাঁকা থাকবে।
এতে করে মাটি কম লাগবে। ছাদের উপর ওজন বাড়বে না।
তবে, উপরের পাইপটি একমুখ বন্ধ অথবা কিছু দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। কারণ, উপরের টবের মাঝে খালি রাখার দরকার নেই।
আমাদের জুম টব প্রস্তুত হয়ে গেল। তবে হ্যাঁ, প্রথমে বড় টবটিকে পছন্দ মত জায়গায় বসিয়ে মাঝখানে পাইপ বসাতে হবে। এরপর দোআঁশ মাটি দিয়ে টবটি এক ইঞ্চি খালি রেখে পূর্ণ করতে হবে। এবার দ্বিতীয় টব ও পাইপটিও একই ভাবে বসাতে হবে। চতুর্থ পাইপটির উপরিভাগ বন্ধ করার কথা মনে রাখতে হবে। আর একমুখ বন্ধ পাইপ হলে তো চিন্তাই নেই। পঞ্চম টবটি মাটি দিয়ে ভরার পর জুম প্রস্তুত।
কি কি চাষ করা সম্ভব? গুল্ম জাতিয় সকল প্রকার শাক বা সব্জিই উৎপাদন করা সম্ভব। একটি জুমে আপনি একই প্রকার চাষ করতে পারেন। তবে যদি এক এক অংশে আলাদা আলাদা ফসল ফলান, যেমন নিচে স্ট্রবেরি, এরপর লালশাক, পালংশাক, পুদিনা এমনি করে চাষ করেন, তাহলে জুমটি বর্নিল হয়ে একটা সৌন্দর্যের বস্তু হয়ে দাঁড়াবে। আর আসলে এজন্যেই এর নামকরণ করা হয়েছে বর্নালি জুম চাষ।
তবে দেরি কেন? আজই শুরু করুন। এবং নিজের উৎপাদিত শাক সব্জি, নো কীটনাশক, নো প্রিজারভেটিভ।
দাওয়াত দিলে খারাপ হয়না। তবে, সৃষ্টিকর্তার জন্য শুকরিয়া আদায় করবেন, যিনি এ সকল জ্ঞান মানুষ কে দিয়েছেন।
~