Success story লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Success story লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

অধিব্রীহি

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, যে নামটি দেখছেন, অর্থাৎ অধিব্রীহি, নামটি ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞানী ধানের জাতের নাম দিয়েছেন, আমি পদ্ধতির নাম দিয়েছি। পঞ্চব্রীহি একবার লাগালে পাঁচবার ধান দেয়। আর অধিব্রীহি পদ্ধতি সমপরিমাণ জায়গায় ২ গুণ ধান দেয়।

কি! বিশ্বাস হচ্ছেনা! নতুন পাগলের আগমন!?

না ভাই, পাগল আমি বেশ পুরনো। তবে অধিব্রীহি পদ্ধতির বয়স মাত্র ২ বছর। আর এটা পাগলামি নয় ভাইজান, বিজ্ঞান। ধান তো এমনিতেই বেশি হবেনা! চাষ পদ্ধতির কারণে আপনি এমন পাবেন।

কেমন পাবেন? প্রতি শতাংশ জায়গায় সাধারণত ধান হয় গড়ে সবচেয়ে ভালো হলে ৩০ কেজি। অধিব্রীহি পদ্ধতিতে পাবেন ৬০ কেজি। ৪ বার ধান করতে পারবেন একই জায়গায়। তাতে আসবে ২৪০ কেজি। অর্থাৎ, ৬ মণ ধান।

পদ্ধতিটি কিন্তু একোয়াপনিক এর। তারমানে ধান চাষে আপনার খরচ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি (সাধারণ চাষের তুলনায়) আর একোয়াপনিক হলো মাছ ও সব্জি চাষের একটা অর্গানিক পদ্ধতি, যেখানে স্বল্প জায়গায় অকল্পনীয় হারে বেশি মাছ উৎপাদিত হয়। তেলাপিয়ার একটা হিসাব যদি ধরি, তা সাধারণ পদ্ধতিতে এক শতাংশ পানিতে ২০০ কেজি করা সম্ভব। কিন্তু একোয়াপনিক সিস্টেমে সমপরিমাণ জায়গায় করা যাবে ৪০০০ কেজি। এবার, এই এতো মাছ চাষের জন্য একোয়াপনিক সিস্টেমে লাগবে উদ্ভিদ, তথা সব্জির চাষ। সেখানেই, আমরা করেছি ধান। আর এখানেই পদ্ধতিতে একটু পরিবর্ধন করে ধান করা যাবে ২ গুণ।





শতাংশ প্রতি ধান হবে ২৪০ কেজি বছরে। আর হবে শতভাগ অর্গানিক। যেমন ধান আজ থেকে শত বছর আগে ছিলো।



একোয়াপনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে চারা থেকে শুরু করে কোনো চাষই লাগবে না। এছাড়াও নিড়ানো, সেচ কিছুই লাগবে না। তাহলে কেমন পদ্ধতি বলুনতো! আর আপনি এভাবেই হতে পারবেন স্যুটেড বুটেড একজন কৃষক।





আর নিচের এই ছবিটি হলো অধিব্রীহি সিস্টেমের। ছবিটি সাজানো।


অধিব্রীহি। অধিক ধান ফলানোর একটি সিস্টেম মাত্র।

কেউ যদি অতি খাটো কোনো ধান গাছের আবিষ্কার করেন, তাহলে এই অধিব্রীহি পদ্ধতিতে ধান চাষ আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ দেখা দেবে, ইনশাআল্লাহ।

সোমবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৭

দশের লাঠি একের বোঝা

দশের লাঠি একের বোঝা। কথাটি ছোট বেলায় দেখেছিলাম, বইয়ের পাতায়। কথাটির যে ভাব, তা সম্প্রসারণ করে অনেক কিছু পেতাম, বুঝতাম, বা বুঝাতাম। সুন্দর একটা বাস্তব কথা। তবে আমি এখন যদি বলি যে, কথাটি মিথ্যা, তাহলে কি বিশ্বাস করবেন? করবেন না জানি। তবে মিথ্যাই যদি না হবে, তার প্রয়োগ নেই কেন?!?

আজ সমাজের যেদিকে তাকাই, দেখি নিরাশাবাদীরা ঘুরছে। তারা কাজ পায়না। দেশ ছেড়ে সোনার হরিণের খোঁজে লাখ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশে পাড়ি জমায়। তারপর! থাক। এটা নিয়ে এখন বলছি না। তবে কিছু মানুষ উপার্জনের জন্য কোন চাকরী, মানে যে কোন চাকরী খোঁজে। নাহলে হা হুতাশ করতে করতে পরিবেশ দূষিত করে ফেলে।

আমি সবসময়ই একটা কথা বিশ্বাস করি, তা হলো, আমাদের দেশে কাজের অভাব নেই। খুব ভালো কাজ করা যায় এবং খুব ভালোভাবে উপার্জন করা যায়। তবে কিভাবে কি করলে আসবে এই সুন্দর উপার্জন? সত্যিই তো! একটা প্রশ্ন এসে যাচ্ছে তাই না?

আমাদের দেশে কি কোন কাজ নেই?!

নিরাশাবাদীরা বলবে কই! দেশে কাজ কই? আবার বলবে, কাজ ঠিকই আছে, তবে পয়সা দেবে কে? মানে পুঁজি। হ্যা, পুঁজি ছাড়া অনেক কিছু হয়না। আবার অনেক কিছুই হয়। এখানেই আমার সেই কথাটি আসছে। আপনার আলো লাগবে এবং তা ১০০ ওয়াট পরিমাণ। আপনার কাছে আছে ১০ ওয়াট পরিমাণ কয়েকটি। জলদি লাগিয়ে ফেলুন, দেখবেন যতটি বাল্ব লাগিয়েছেন, তত গুণ আলো বেড়েছে। অর্থাৎ, ১০০ ওয়াটের জন্য আপনার ১০ টি বাল্ব লাগবে। এখানে বাল্বের সাথে উপার্জনের কি সম্পর্ক! আশ্চর্য হচ্ছেন? এবার আসুন,  আপনি নিজেকে যদি ১০ ওয়াট মনে করেন, ১০০ ওয়াটের জন্য আপনার মতো আরো ৯ জনকে খুঁজুন। হয়ে গেলো। দশটা লাঠি একসাথে বোঝা তৈরি করে ঠিকই, তবে দশজনের জন্যে একেকটা লাঠিই, বোঝা নয়। কথাটিকে শুধু বইয়ের পাতায় রাখলে হবে না। বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে দেখুন, সত্যিই ফল পাবেন।

আমাদের দেশের শিক্ষার কোন মূল্যই নেই। কি মূল্য আছে বলুন? সার্টিফিকেট অর্জনের জন্যই শুধু শিক্ষার দরকার ছিল। সার্টিফিকেট পেয়ে গেলে শিক্ষাটা মূল্যহীন। কাজেই যদি না লাগাতে পারি, তাহলে এই শিক্ষা বা বিদ্যার কি মূল্য? আমাদের দেশে বিদ্যাটা গ্রন্থগতই রয়ে যায়। প্রয়োজনে যদি কাজে লাগে, ওটাতো কোন বিদ্যাই নয়! তাহলে? কি হবে বস্তা বস্তা বই পড়ে?

যাহোক, প্যাঁচাল বেশি হয়ে যাচ্ছে। আমি বলতে চাচ্ছি, অন্য দেশে মানুষ কয়েকজনে মিলে সমবায় তৈরি করে। তৈরি করে কোম্পানি। ছোট থেকে আস্তে আস্তে বিশাল অস্তিত্ব তৈরি হয়। নিজেদের পাশাপাশি বিরাট কর্মসংস্থান তৈরি করে বিপুল লোকের উপার্জনের উপায় তৈরি হয়। আর আমরা! একজনের সাথে আরেকজন মিশতেই পারিনা।




পরদেশে গিয়ে তাদের কর্মচারী হয়ে তাদের উন্নয়নে জীবন পার করছেন। সেই কর্মচারী হতেও আপনাকে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তো ব্যয় যখন করছেন, তখন নিজে কর্মচারী না হয়ে কর্মচারী রাখুন না। স্ব-কোম্পানির কর্মকর্তা হোন, ফ্যাক্টরির মালিক হোন। পারবেন। শুধু চেষ্টা করে দেখুন।

বিখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন ইয়াহুর জন্ম কিভাবে জানেন? বা নোকিয়া কোম্পানির জন্ম কাহিনী? বেকার কিছু যুবক, কর্মহীন অবস্থায় শুধু পরিবারেরই নয়, সমাজেরও যেন বোঝা হয়ে গিয়েছিল ওরা। পরে নিজেদের কার কি করার মতো ক্ষমতা আছে, সে সেই ধরণের কাজের বর্ণনা তুলে ধরল। তারপর সিদ্ধান্ত নিলো ইলেক্ট্রোনিক্স রিপেয়ারিং শপ দেবে। দিলোও তাই। নাম দিলো নিজেদের শহরের নামে, নোকিয়া। সেই বেকারদের কোম্পানি সারা বিশ্ব অনেকদিন কাঁপিয়েছে।

আসুন, আপনার মেধা কাজে লাগান। পরোপকারী কারো সহায়তা নিন। নিজের মেধার প্রকাশ এভাবেই করুন।
দশের লাঠি একের বোঝা, এর ইংরেজী কিন্তু খুবই সহজ এবং এর দ্বারা অর্থটা বুঝতেও সহজ হবে। ওরা বলে টীমওয়ার্ক (teamwork)।  এই টীমকে আমরা এভাবে দেখতে পারি।


Togather
Everyone
Achive
More
}

TEAM


একটা কাজ একা না করে একটা পুরা টীম মিলে যদি করা হয়, তাহলে খুবই সহজ হয়ে যায়। পিঁপড়েরা টীম ধরে কাজের মাধ্যমে কত অসাধ্যই না সাধন করে। বৃহৎ এবং শক্তিশালী শত্রুর হাত থেকে বাঁচতেও সহায়তা করে এই টীম বা দলবদ্ধতা।



তাই সবার কাছে আহ্বান, দলবদ্ধ হোন, টীম তৈরি করুন, বা তৈরি করুন একটা কোম্পানি। পরদেশে না গিয়ে দেশে বসেই, নিজের যতটুকু আছে, সমবায় বা কোম্পানি তৈরির মাধ্যমে ভিত পোক্ত করুন, নিজে বড় হোন, দেশকেও বড় করুন।

মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

ইনকাম(income) / উপার্জন

               উপার্জন শব্দটার সন্ধি-বিচ্ছেদ করলে আমরা পাচ্ছি উপ+অর্জনইংরেজীতে যা ইনকাম (income) ভাগ ভাগ করে অর্থ সবসময় তো আর মেলে না। বাংলায় যেমন উপ শব্দটার অর্থ সহযোগী, সহকারী, কাছাকাছি, পাশাপাশি ইত্যাদি। ইংরেজীতে আলাদা ভাবে অর্থ করলে পাওয়া যাচ্ছে in মানে মধ্যে বা ভেতরে, আর come মানে আসা।

       যাহোক, উপার্জন যদি সহযোগী বা পাশাপাশি অর্জন হয়, তবে অর্জনটা কি? হ্যাঁ, আমার ও প্রশ্ন এটা। তবে আমি যে সমাধানটা পেয়েছি তা জানাচ্ছি। কোন কিছু আশা করে বা লক্ষ্য করে কাজের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে যেতে সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়াটাই  হল অর্জন। যার ইংরেজী হল achievement.

       তারমানে, কোন লক্ষ্য নিয়ে কাজে নেমে লক্ষ্য পূরণ বা সেই কাঙ্ক্ষিত অর্জন পাওয়া পর্যন্ত যা পাওয়া যায়, তা হল উপার্জন। এক্ষেত্রে উপার্জনটা আমাদের লক্ষ্য হওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। ভালো কোনও উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য নিয়ে কাজে লেগে পড়ুন, মন দিয়ে কাজ করুন, অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবেন। মাঝ দিয়ে আপনার উপার্জন তো আছেই।

উপার্জন করতে গিয়ে আমরা বরাবরই যে ভূল করে থাকি তা হলঃ-
লক্ষ্যের ধার ধারিনা। ভালো কিছু হব বা করব, এটার কথা মাথায় না এনে শুধু উপার্জন দরকার ভেবে কাজ খোঁজা।
আসলে এটা আমাদের সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারো লক্ষ্য কি হওয়া উচিৎ, তা তার মেধা, তার নিজের ইচ্ছায় হবে, নিজে লক্ষ্য নির্ধারণ করবে। সেই অনুযায়ী নিজেকে গড়ে তুলবে, লেখাপড়া করবে। লক্ষ্য অর্জনে নিরলস কাজ করতে করতে একদিন লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। অভিভাবক বা সমাজ তাকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। কিন্তু লক্ষ্য বেঁধে দেবেনা। আসলে কি তাই হয়? কস্মিন কালেও নয়। আমাদের অভিভাবকগণ নিজের ইচ্ছেমত সন্তানের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। কখনো ভেবে দেখেন না, তার সন্তানের মধ্যে কোন ধরণের প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে।

         কোনও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রকে খুব আগ্রহের সাথে ডি সি ম্যাগনেটিক মোটরের উন্নয়ন বা তৈরি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। হতাশ হলাম। বলল, “ভাইয়া, জাস্ট তত্বগুলো পড়েছি, বাস্তব জিনিষের কিছুই বুঝিনি। বললাম, “তাহলে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব, এখন কি করবে?” বলল, “দেখি, কোন চাকরী টাকরি...

        রইস উদ্দিনকে বলেছিলাম লেখাপড়ার পাশাপাশি কিছু করতে। তার কথা হলো, টাকা ছাড়া কিছুই সম্ভব নয়। অনেক করে বুঝালাম, অনেক যুক্তি দেখালাম, উদ্যোগ থাকলে লক্ষ্য অর্জনে টাকা কোন বাঁধা নয়। কিন্তু তার একই কথা, টাকা ছাড়া নাকি দুনিয়ায় কোনোকিছুই সম্ভব নয়। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, লেখাপড়া শেষ করে কি করবে। বলেছিল, দেখি, একটা চাকরী বাকরি। গরীব মানুষ, এছাড়া আর কিই বা করার আছে।

       আর যখন কটা কামারের উদ্ভাবনী দৃষ্টিভঙ্গি দেখে রইসউদ্দীনের কথাটি বলেছিলাম, তখন সজোরে মাথা নাড়িয়ে বলল, "কি হয়ে যাচ্ছে দিন দিন মানুষ গুলো। তাদের লক্ষ্যই যদি এতোটুকু হয়, তাদের থেকে দেশ কি আশা করবে!"

      কামার, অথচ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সে আমার কাছে আর দশজনার মতো নয়, বিশেষ মানুষ হিসেবেই ধরা পড়েছে। তার কথা, বড় কিছুর স্বপ্ন দেখতে হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করে এগিয়ে যেতে যেতে অবশ্যই একদিন লক্ষ্যভেদ হবেই। না হলেও কাছাকাছি তো হবে। তবে স্বপ্ন ছোট হলে তো... বড় কিছুর আশা করাটাই ভূল।

        দুঃখ হলো। আশেপাশে এমনি হাজারো রইস উদ্দীন লেখাপড়া করছে শুধুমাত্র একটা চাকরীর আশায়। তারা জানেনা, কি চাকরী করবে, কে দেবে চাকরী। আর কেনই বা দেবে। তাদের লক্ষ্য কোনও মতো উপার্জন। কোনকিছু অর্জন করার কথা তারা ভাবেও না। এরা উপার্জন করতে গিয়ে ন্যায়-নীতির তোয়াক্কা করে না। আর এভাবেই সমাজ, তথা দেশ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে।
দেশে বিদেশে হাজারো উপার্জনওয়ালাদের দেখেছি। তারা কিছু পয়সার জন্য দেশকে (দেশের মান সম্মানকে) বেচে দিতে মোটেও দ্বিধা করে না। নচিকেতার সেই গানের মতো, কিছু পয়সা পেলে তারা বাপকেও দেবে বেচে। তারা বলে, লজ্জা/সম্মান নাকি তারা এয়ারপোর্টে রেখে গেছে। বিদেশে আবার লজ্জা কিসের! দেশে ফেরার সময় আবার এয়ারপোর্ট থেকে নিয়ে ফিরবে। দেশের মানুষ চায়ও তাই। তারা অর্থ দেখে। কিভাবে কামাচ্ছে তা কখনো দেখে না।

         এটাই কি মানুষের জীবন হওয়া উচিৎ?
কখনই নয়। আমি যাই করিনা কেন, একটা উদ্দ্যেশ্য থাকতে হবে। মানুষ হয়ে জন্মেছি। কোনমতো এদিক সেদিক করে জীবনটা কাটিয়ে দিলেই কি হলো! তাহলে তো সক্রেটিসকে চিনতাম না। আলেকজান্ডারকে জানতাম না। সম্রাট বাবর, আকবর, মাওলানা ভাসানী, শের ই বাংলা এ কে ফজলুল হক। হাজারো নয়, লাখো নয়, অগণিত মানুষের নাম আছে সারা দুনিয়ার ইতিহাসের পাতায়। আমাদের মতো ভাবলে তাঁরাও কিন্তু হারিয়ে যেতেন কালের গর্ভে।

        যাহোক। উপার্জন নিয়ে কথা বলতে এত কথা। হ্যাঁ। আয় উপার্জন করা লাগে। নাহলে সংসার তো চলবে না। তবে আপনি যাই করুন না কেন, আপনার কর্মের সাথে সততা, নিষ্ঠতা, নিজের সবথেকে ভালোটুকু দুনিয়াকে দিন। সেও আপনাকে মনে রাখবে। দারোয়ান, তবে খুব ভালো দারোয়ান। গাড়িচালক, তবে খুব ভালো গাড়িচালক। ব্যবসায়ী, খুব ভালো ব্যবসায়ী। ডাক্তার হয়েছেন। ভালো, আপনার উপার্জন কিন্তু কম নয়। কিন্তু তারপরও কেন মরা রোগীকে নিয়ে ব্যবসা করবেন! কত দরকার  আপনার?!? সর্দীই তো লেগেছে। তাহলে সাতটা চেকআপ কেনো!?! আবার সেই নচিকেতার কথা মনে পড়ে গেলো। হাসপাতালের বেডে, টিবি রোগীর সাথে, খেলা করে শুয়োরের বাচ্চা।

        আমি যা বলতে চাইছি তাহলো, ভালো পথে রোজগার করুন। ন্যায় পথে নীতির সাথে রোজগার করুন। অসৎ পন্থা কখনোই অবলম্বন করবেন না। কারণ, অসৎ পথে অর্থ আসবে ঠিকই, তাকে উপার্জন বলা যাবেনা। আর অর্জন, সেতো অনেক দূরের কথা।

        উকীল, পুলিস, শিক্ষক, যাই হোন না কেন। উদ্দেশ্য রাখুন ভালো কিছু করার। পৃথীবি আপনাকে মনে রাখবে। ভয় নেই। আপনার উপার্জন বন্ধ হবে না। সাথে পেয়ে যাবেন বিরাট এক অর্জন।

শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

সত্যিকারের স্পাইডার ম্যান, আলাইন রবার্ট - The real 'Spiderman' Alain Robert

রাস্তার শত শত মানুষ দৃশ্যটি উপভোগ করছিল, আর বলছিল, ফ্রান্সের স্পাইডার ম্যান, আলাইন রবার্ট। যিনি কোনকিছু ছাড়াই 'ল্যান্ডমার্ক হাবানা লিব্রে হোটেল' বাহিরের দিক দিয়ে বেয়ে উঠছিলেন। তার ভাষায়, এটা কোন শক্ত কাজ নয়।

নিম্নে ১২ টি ছবিসহ তার মাকড়ামির কিছু খবর দেয়া হল।





আলাইন রবার্ট, ফ্রান্স নিবাসী। যিনি মানুষের কাছে "মাকড়মানব" বা স্পাইডার ম্যান নামে পরিচিত। ছবিতে হাবানা লিব্রে হোটেল এ বেয়ে উঠছেন। তারিখ, ৪ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩।
সুত্রঃ রয়টার্স/র‍্যামোন এস্পিনোসা/পূল










ফ্রেন্স আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব বা স্পাইডারম্যান হিসাবে পরিচিত, হাবানা লিব্রে হোটেল বেয়ে উঠছেন। এটি ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারীখে হাভানা থেকে তোলা। মাকড়মানব রবার্ট, যিনি  বিশ্বের প্রায় সকল আকাশচুম্বী ভবনে কোনপ্রকার সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই বাহির দিক দিয়ে বেয়ে উঠেছেন। তিনি সফলতার সাথে ১২৬ মিটার, তথা ৪১৩ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট হোটেলে আরোহন করেন। 
সুত্রঃ- রয়টার্স/ডেসমন্ড বয়লান



মাকড়মানব বা স্পাইডারম্যান, ফ্রেন্স আলাইন রবার্ট, হাভানার হাবানা লিব্রে হোটেলের বাহির দিক দিয়ে বেয়ে উঠছেন। যা ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারীখে হাভানা থেকে তোলা। মাকড়মানব রবার্ট, যিনি  বিশ্বের প্রায় সকল আকাশচুম্বী ভবনে কোনপ্রকার সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই বাহির দিক দিয়ে বেয়ে উঠেছেন। তিনি সফলতার সাথে ১২৬ মিটার, তথা ৪১৩ ফিট উচ্চতা বিশিষ্ট হোটেলে আরোহন করেন। 
সুত্রঃ- রয়টার্স/ডেসমন্ড বয়লান






দুরন্ত ডানপিটে ফরাসি ভবনারোহী আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব, মানে স্পাইডারম্যান হিসাবে পরিচিত,  হাভানার হাবানা লিব্রে হোটেলের বাহির দিক দিয়ে, ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে বেয়ে উঠছেন। রবার্ট হোটেলটির ২২ তলা, যা কিনা ৭০ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট, মাত্র ২৮ মিনিটে  আরোহন করেন। তিনি বিশ্বের দীর্ঘতম ১০০ 'র ও বেশি টাওয়ারে উঠেছেন, যার মধ্যে আছে দুবাইয়ের ৮২৮ মিটার উচ্চতা বিশিষ্ট 'বুরজ আল খলিফা', কুয়ালালামপুরের 'পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার', ইউনাইটেড স্টেটসের চিকাগোর 'সিয়ার্স টাওয়ার, এবং চায়নার সাংহাই এ অবস্থিত ৮৮ তলা বিশিষ্ট  'জিন মাও ভবন'।
- এএফপি ফটো












দুরন্ত ডানপিটে ফরাসি ভবনারোহী আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব, মানে স্পাইডারম্যান হিসাবে পরিচিত,  হাভানার হাবানা লিব্রে হোটেলের বাহির দিক দিয়ে, ৪ঠা ফেব্রুয়ারী, ২০১৩ তারিখে বেয়ে উঠার সময়ে সবাইকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে।









মাকড়মানব, সিনেমার মাকড়মানবের মতো হাত দিয়ে সূতা বের হয়না, তিনি সূতা বা রশি ব্যবহার ও করেন না। তবে হাত ফস্কে যেন না যায়, তাই হাতে খড়িমাটি লাগিয়ে নিচ্ছেন। আর কোন কিছু ছাড়াই তিনি ১২৬ মিটার বা ৪১৩ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট হোটেলটিতে সফল ভাবেই আরোহণ করেন।












আর কারো কি হয় জানিনা, আমার তো পিলে (প্লীহা) চমকে যাবে। এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি প্রায় ছাদের কিনারে পৌঁছে গেছেন।





ওয়াও! মাকড়মানব। সাবাস! অবশেষে ছাদে উঠে গিয়ে বিজয়ীর বেশে কিউবান পতাকা উড়াচ্ছেন। সত্যিকারের এই মাকড়মানব/স্পাইডারম্যান দেখিয়ে দিলেন, ইচ্ছা শক্তি এবং সাহস দিয়ে কি না হয়! মানুষ ইচ্ছা করলে অসাধ্যকে সাধ্য করতে পারে, আলাইন তার বাস্তব উদাহরণ।







বিজয়ীর বেশে আলাইন রবার্ট।











আলাইন রবার্ট, মাকড়মানব।
















হোটেলের নিচে কৌতূহলী দর্শক ছবি তুলছে।














সত্যিকারের মাকড়মানব, দ্যা স্পাইডারম্যানকে এখানে নিজ চোখে একনজর দেখার জন্য জনতার ভিড়।







বুক ভরা সাহস আর তার সঠিক ব্যবহার আপনাকে করে তুলতে পারে জনপ্রিয়।

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১২

তরুণ উদ্যোক্তা, মহিন উদ্দীন খান মানিক (টেট্রা পিএসডি, ডেসটিনি ২০০০ লিঃ, ২০১২)

আজ একটা ভিন্নধর্মী লেখা নিয়ে হাজির হয়েছি। প্রসঙ্গ হল উদ্যোক্তা, তরুণ উদ্যোক্তা।

হ্যাঁ, বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মেলাতে, বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে, যে মহান ব্যক্তি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই স্বপ্নদ্রষ্টা, বাংলার জনগণের সত্যিকারের স্বাধীনতার প্রবক্তা। ড. মুহাম্মদ রফিকুল আমীনের যোগ্য কমান্ডার হিসাবে, প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির বার্তা নিয়ে, শুষ্ক মরুতে বসন্তের আগমনী ধ্বনি নিয়ে এগিয়ে আসেন এক তরুণ। যার নাম মহিন উদ্দীন খান মানিক। যিনি প্রায় ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রাণপ্রিয় 'মানিক স্যার'। যার উদ্যোগে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর মত একটি যুগোপযোগী আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠান, কুয়েত প্রবাসী হতাশাগ্রস্ত, দূর্দশায় জর্জরিত বাংলাদেশীদের মধ্যে একটি আশার আলো হয়ে পথ দেখানোর সুযোগ পায়।



আর দশজনের মতো তিনিও ভাগ্যের চাকা ঘুরানোর উদ্যেশ্য নিয়ে কুয়েতে আসেন। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানি, আর বুদ্ধির দীপ্ততায় কুয়েতে তিনি ভাল পজিশন তৈরি করতে সক্ষম হন। যা উপার্জন করতেন, তাতে খুব সন্তষ্টই ছিলেন। কিন্তু নিজে সুখী হলে কি হবে, অন্যান্য দেশীয় ভাইয়ের কষ্ট দেখে তিনি মানসিক ভাবে, সত্যিকারের সুখী হতে পারেননি। কিন্তু লাখো প্রবাসীর দূর্দশাকে তিনি একা কিভাবে দূর করতে পারেন!

এই সকল ভাবনা তাঁর সকল সুস্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে লাগল। আর এমনি সময়ে, দেশে ছুটিতে বেড়াতে গিয়ে পেলেন ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর খোঁজ। কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জনাব ড. মুহাম্মদ রফিকুল আমীন সাহেবের সুপরিকল্পিত দিকনির্দেশনা, আর সুদক্ষ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কোম্পানির যুগপোযোগিতা, আর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তাঁকে মুগ্ধ করল। আর তিনি বুঝতে পারলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খাতের বিরাট অংশ, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী প্রবাসীদের দূর্দিন দূর করতে ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর বিকল্প আর হয় না।


কিন্তু, যেখানে অধিকাংশ মানুষ স্বল্প বেতন সহ অন্যান্য সমস্যায় জর্জরিত, সেখানে তিনি কিভাবে এটি শুরু করবেন! কে করবে একটু সহযোগিতা! এ চিন্তা বেশিদিন আর করা লাগল না। এগিয়ে এলেন তাঁরই সুযোগ্য ভাই, মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন খান, ঘনিষ্ঠ বন্ধু বেলায়েত হোসেন সহ আরো অনেকে, যারা এখন ডেসটিনি ২০০০ লিঃ এর সম্মানিত পিএসডি/কামিং ডায়মন্ড। যাহোক, অনেক বাঁধা-বিপত্তি, চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবেই এই বর্তমান অবস্থান। ২৫০০০ হতাশা আর বিশাদগ্রস্ত প্রবাসীকে সুস্বপ্ন দেখিয়ে, সুন্দর,ভদ্র ও মার্জিত উপায়ে অর্থোপার্জন করে, অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন হবার পথ উম্মোচন করেন। যারা হতাশায় দূর্দশায় জর্জরিত হয়ে স্বপ্ন দেখতে ভূলে গিয়েছিল, তারা নতুন করে জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখতে লাগল।

মহিন উদ্দীন খান মানিক, টেট্রা পিএসডি, যিনি চারটা সেন্টার থেকে পিএসডি পদ অর্জন করেন। আর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ডায়মন্ড পদটি অর্জন করে, প্রবাসীদের মুখ উজ্জ্বল করবেন, ইনশাল্লাহ।