রবিবার, ৭ জুলাই, ২০২৪

অধিব্রীহি

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, যে নামটি দেখছেন, অর্থাৎ অধিব্রীহি, নামটি ডক্টর আবেদ চৌধুরীর পঞ্চব্রীহি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নেয়া হয়েছে। তবে বিজ্ঞানী ধানের জাতের নাম দিয়েছেন, আমি পদ্ধতির নাম দিয়েছি। পঞ্চব্রীহি একবার লাগালে পাঁচবার ধান দেয়। আর অধিব্রীহি পদ্ধতি সমপরিমাণ জায়গায় ২ গুণ ধান দেয়।

কি! বিশ্বাস হচ্ছেনা! নতুন পাগলের আগমন!?

না ভাই, পাগল আমি বেশ পুরনো। তবে অধিব্রীহি পদ্ধতির বয়স মাত্র ২ বছর। আর এটা পাগলামি নয় ভাইজান, বিজ্ঞান। ধান তো এমনিতেই বেশি হবেনা! চাষ পদ্ধতির কারণে আপনি এমন পাবেন।

কেমন পাবেন? প্রতি শতাংশ জায়গায় সাধারণত ধান হয় গড়ে সবচেয়ে ভালো হলে ৩০ কেজি। অধিব্রীহি পদ্ধতিতে পাবেন ৬০ কেজি। ৪ বার ধান করতে পারবেন একই জায়গায়। তাতে আসবে ২৪০ কেজি। অর্থাৎ, ৬ মণ ধান।

পদ্ধতিটি কিন্তু একোয়াপনিক এর। তারমানে ধান চাষে আপনার খরচ প্রায় শূন্যের কাছাকাছি (সাধারণ চাষের তুলনায়) আর একোয়াপনিক হলো মাছ ও সব্জি চাষের একটা অর্গানিক পদ্ধতি, যেখানে স্বল্প জায়গায় অকল্পনীয় হারে বেশি মাছ উৎপাদিত হয়। তেলাপিয়ার একটা হিসাব যদি ধরি, তা সাধারণ পদ্ধতিতে এক শতাংশ পানিতে ২০০ কেজি করা সম্ভব। কিন্তু একোয়াপনিক সিস্টেমে সমপরিমাণ জায়গায় করা যাবে ৪০০০ কেজি। এবার, এই এতো মাছ চাষের জন্য একোয়াপনিক সিস্টেমে লাগবে উদ্ভিদ, তথা সব্জির চাষ। সেখানেই, আমরা করেছি ধান। আর এখানেই পদ্ধতিতে একটু পরিবর্ধন করে ধান করা যাবে ২ গুণ।





শতাংশ প্রতি ধান হবে ২৪০ কেজি বছরে। আর হবে শতভাগ অর্গানিক। যেমন ধান আজ থেকে শত বছর আগে ছিলো।



একোয়াপনিক পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে চারা থেকে শুরু করে কোনো চাষই লাগবে না। এছাড়াও নিড়ানো, সেচ কিছুই লাগবে না। তাহলে কেমন পদ্ধতি বলুনতো! আর আপনি এভাবেই হতে পারবেন স্যুটেড বুটেড একজন কৃষক।





আর নিচের এই ছবিটি হলো অধিব্রীহি সিস্টেমের। ছবিটি সাজানো।


অধিব্রীহি। অধিক ধান ফলানোর একটি সিস্টেম মাত্র।

কেউ যদি অতি খাটো কোনো ধান গাছের আবিষ্কার করেন, তাহলে এই অধিব্রীহি পদ্ধতিতে ধান চাষ আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরুপ দেখা দেবে, ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বনসাই

সম্পূর্ণ সুস্থ সবল গাছকে পূর্ণাঙ্গ বৃহৎ গাছের মতো চেহারা রেখে ঘরে টবে রাখা মতো ক্ষুদ্র আকৃতি করে রাখাকে বনসাই বলে। এটা একটা জীবন্ত শিল্প।

এখানে কিছু নমুনা দেয়া হলো।







































বুধবার, ২২ জানুয়ারী, ২০২০

কি হবে? যদি আপনি মাত্র চারটা বাদাম খান?

বাদাম একটি দুর্দান্ত খাবার। কারণ, এগুলি প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারে ভরপুর। এগুলি নিয়মিত খেলে আপনার স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ, স্থূলত্ব এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে বলে মনে করা হয়।
আর যদিওবা এগুলোর মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে চর্বি রয়েছে, তবে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর মনোস্যাচুরেটেড ধরণের, যা আসলে আপনার হার্টকে সুরক্ষা দেয়। তবুও, বাদামে বেশ কিছু ক্যালোরি থাকে, তাই এগুলি পরিমিতভাবে খাওয়াই ভালো।

এটি অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে যে প্রতিদিন কেবলমাত্র চারটি বাদাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক কিছু করতে পারে। তবে এটি আসলেই সত্যি!

এক আউন্স পরিমাণ বাদামে আপনি পাবেন -
ফাইবার                    - ৩.৫  গ্রাম
প্রোটিন                     - ৬.০   গ্রাম
মনস্যাচুরেটেড ফ্যাট    - ৯.০   গ্রাম

বাদাম প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ম্যাঙ্গানিজ এবং ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও বাদামে রয়েছে, ক্যালসিয়াম, রাইবোফ্লাভিন, আয়রন, দস্তা এবং ফসফরাস। যদিও বা তা একটু কম পরিমাণে।

তাহলে বুঝতেই পারছেন।মাত্র চারটি বাদাম আপনার দেহের জন্য কী করতে পারে? আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে চারটি  বাদাম খান। আর নিন সাত সাতটি বেনিফিট।

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১৮

বায়োফিল্টার

বায়োফিল্টার এমন একটা ফিল্টারিং, যেখানে কোন বিষাক্ত বর্জ্যকে প্রাকৃতিক কায়দায় নির্বিষ করা হয়।
যদিওবা এই পদ্ধতি কারখানার বর্জ্য বা পৌর-বর্জ্য সহ, বিভিন্ন বিষাক্ত বর্জ্যকে নির্বিষ করার কাজে হয়। তবে এখন আমরা আলোচনা করবো RAS এর এমোনিয়া (NH3) ফিল্টারিং এ বায়োফিল্টারিং নিয়ে। তবে খুব সংক্ষিপ্ত।

খুব সোজা জিনিষটা। কিভাবে? হ্যা বলছি।
পৃথিবীতে যত রকম বিষাক্ততা তৈরি হয়, দুর্ঘটনাক্রমে, বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বা নিত্যপ্রয়োজনে, যেভাবেই হোক, সেই বিষাক্ত বর্জ্যকে বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া বিভিন্নভাবে সেগুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। ব্যাক্টেরিয়া সেগুলো থেকে আহার গ্রহণ করে, বংশ বৃদ্ধি করে। আর খাবার গ্রহণের প্রক্রিয়ায় সেখানে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংগঠিত হয়। সেই বিক্রিয়ার মাধ্যমে  যে জৈবিক সংশ্লেষণ ঘটে। তাতে বিষাক্ত অনু ভেঙ্গে অবিষাক্ত একাধিক অনু তৈরি হয়। এভাবে সৃষ্টিকর্তা তাঁর সৃষ্টিকে টিকিয়ে রাখেন।

যাহোক RAS এ মাছ টিকিয়ে বা বাঁচিয়ে রাখতে হলে এমোনিয়া দুর করতেই হবে। কারণ মাছের বর্জ্য থেকে প্রচুর এমোনিয়া তৈরি হয়। আর এটি পানিতে দ্রবণীয় জীবননাশী নাইট্রোজেন বিষ। এই এমোনিয়া (NH3) কে নাইট্রোসোমোনাস নামক ব্যাক্টেরিয়া অক্সিডাইজড করে নাইট্রাইট (NO2-) এ পরিণত করে। এটাও কিন্তু জলজ প্রাণীর জন্য মারাত্তক বিষাক্ত। এবার? হ্যা, এরপর আছে আরেক টিম। নাইট্রোব্যাক্টার নামক ব্যাক্টেরিয়া। এরা আরেকটু অক্সিডাইজড করে নাইট্রেট (NO3) এ পরিণত করে। এখানে একটি গ্রাফ দেখুন-


আর নাইট্রেট  (>২০০মিলিগ্রাম/লিটার) মাত্রা পর্যন্ত  RAS এর জন্য ক্ষতিকারক নয়। হয়ে গেলো।

RAS এ বায়োফিল্টারিং এর জন্য কিভাবে কি করবেন?
নাইট্রোসোমোনাস এবং নাইট্রোব্যাক্টার এর জন্য বাড়ি করে দিবেন। 😊
রস করছি না। ব্যাক্টেরিয়াদের জন্য কলোনি করার ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে এই ব্যাক্টেরিয়া সমূহ বসবাস সহ বিস্তার লাভ করবে। এমোনিয়া সমৃদ্ধ পানি যখন এই কলোনি সমূহের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে, তখন উপরোল্লেখিত  প্রক্রিয়া সমূহ সংগঠিত হতে থাকবে। এবং ...


ব্যাক্টেরিয়ার বাড়ি তৈরিতে যে উপাদান ব্যবহৃত হয়, তার নাম বায়োমিডিয়া
এখানে DIY বায়োমিডিয়া দেখতে পাচ্ছেন। এমনি কোন জিনিষ হলেই হবে। বিভিন্ন দেশে রেডিমেড বায়োমিডিয়া পাওয়া গেলেও আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি।


আমাদের ব্যবহৃত বায়োমিডিয়া।

তৈরি করুন। কাজে লাগান। কাজ দেবে। অন্যান্য হেল্প এর জন্য যোগাযোগ করতে হলে ...
কমেন্ট করুন।
ধন্যবাদ।

ফিল্টারিং

হ্যা, ফিল্টারিং।
এমোনিয়া ফিল্টারিংএর জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো একোয়াপনিক। এমোনিয়া ফিল্টারিং সহজই বলা যায়। তবে ময়লা ফিল্টার করতে গেলেই পড়তে হয় ঝামেলায়।
এখানে ময়লা পরিষ্কার করার জন্য থিতানো এবং ছাকন পদ্ধতির একটি ডেমোর ছবি। ডেমো থেকে বুঝেছি, কার্যক্ষেত্রে আশানুরুপ কাজ দেবে।

 প্রথম স্তরে দিনের বেলা নিচে ৫/৬ ইঞ্চি ময়লা জমে। আর গ্যাসের কারণে পানির উপরে ১.৫/২ ইঞ্চি ময়লার স্তর। থিতানোর জন্য অত্যন্ত স্বল্প জায়গার কারণে দ্বিতীয় স্তরেও প্রচুর ময়লা জমেছে।


এখানে বায়ো ফিল্টার স্তরেও প্রচুর পরিমাণে ময়লা জমেছে। কারণ, ময়লাটা চেক দিতে  ১ম ও ২য় উভয় স্তর ফেল করছে।


উপর থেকে।


১ম স্তরে ভাসমান ময়লার স্তর প্রায় ১.৫ ইঞ্চি।


পানিতে প্রচুর ময়লা।


২য় স্তরে ময়লার পরিমাণ।


১ম স্তর থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন।